দেশ

মোদি জমানায় আর্থিক দৈন্য প্রকাশ্যে, বৃদ্ধির হার দু’বছরে সর্বনিম্ন 

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: টানা কয়েক বছর ধরে সবথেকে বড় বিপদ সঙ্কেত কী? মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব। অর্থনীতির কোন প্রধান চালিকাশক্তিকে মোদি সরকার গুরুত্বই দেয়নি? সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। আর শুক্রবার তার পরিণতি বেআব্রু হয়ে গেল সরকারেরই দেওয়া পরিসংখ্যানে। আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধির হার সব হিসেব ও প্রত্যাশা উড়িয়ে বিপজ্জনকভাবে কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৪ শতাংশে। ৬ শতাংশের নীচে জিডিপি শেষবার ছিল ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে—৪.৩ শতাংশ। সবে তখন কোভিডের অন্ধকার কাটছে। কিন্তু এখন? গত দু’বছরে তো কোনও মহামারী নেই! অভ্যন্তরীণ অশান্তির অজুহাত দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি। তারপরও জিডিপি বৃদ্ধির হার এভাবে কমে যাওয়ায় চরম অস্বস্তি এবং আশঙ্কার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে অর্থমন্ত্রক, প্রত্যেকেই দফায় দফায় দাবি করেছিল, সাড়ে ৬ থেকে ৭ শতাংশ হতে চলেছে আর্থিক বৃদ্ধির হার। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কেন এই আর্থিক দৈন্য? আম জনতা মূল্যবৃদ্ধির আগুনে নাজেহাল। সঞ্চয় কমছে। এবং বেকারত্বের হার ঊর্ধ্বগামী। অথচ কেন্দ্র এই কঠিন বাস্তবের একটিও স্বীকার করেনি। জিডিপি বৃদ্ধিহারের  এই বেহাল দশার অন্যতম কারণ হিসেবে কর্পোরেট মহল ও আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থাগুলি আঙুল তুলেছে প্রধানত দু’টি ফ্যাক্টরের দিকে। প্রথমত, গ্রাম ও শহর দুই ক্ষেত্রেই ক্রয় প্রবণতা কমে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, ডিমান্ড কমে যাওয়ায় সাপ্লাই তথা উৎপাদন মার খাওয়া। 
প্রশ্ন উঠছে, কর্পোরেট এবং আম জনতাও যা জানে, তা সরকার স্বীকার করছে না কেন? শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃষি এবং পরিষেবা সেক্টর ছাড়া অর্থনীতির প্রতিটি বিভাগে বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর—তিন মাসের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ঠিক এই সময়সীমায় কোর সেক্টর সহ খনি থেকে শ্রমদিবস, প্রতিটি ক্ষেত্রেই কমেছে বৃদ্ধিহার। তাহলে প্রশ্ন হল, গোটা অর্থবর্ষের আর্থিক বৃদ্ধির হার কীভাবে সাড়ে ৭ শতাংশ হবে? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পূর্বাভাস কিন্তু তেমনই ছিল। কৃষি ও শিল্প, এই দু’টির উপর ভিত্তি করেই যদি কেন্দ্র সাড়ে ৭ শতাংশ বৃদ্ধির হারের দাবি তুলে থাকে, তাহলে এই দু’টি সেক্টরের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন? দেশে কৃষি ও শিল্প কেমন চলছে, সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মসংস্থান কী অবস্থায় আছে, সামগ্রিক আর্থিক সক্রিয়তা গ্রাম-শহরে কেমন—এই প্রতিটি ফ্যাক্টর নিয়ে সমীক্ষা করে সরকার। একে বলে আর্থিক সেন্সাস। শোনা যাচ্ছে, আগামী এপ্রিলেই এমন সেন্সাস শুরু হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ২০১৯ সালে যে আর্থিক সেন্সাস হয়েছিল, তার রিপোর্ট কোথায়? কোভিডকে ঢাল বানিয়ে সেটাও কি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে? ব্যর্থতার বহর কি তাতে এতই চওড়া ছিল? তাই কি নতুন সেন্সাসের সিদ্ধান্ত? রাজনৈতিক মহলের মতে, স্বীকার না করলেও সরকার জানে যে, গত তিন বছরে আর্থিক অবস্থা মোটেই আশাব্যঞ্জক ছিল না। তাহলে প্রত্যাশার পাহাড় নির্মাণ করা হচ্ছিল কেন? ঘোষণা ছিল ভারতীয় অর্থনীতিকে নরেন্দ্র মোদি ৫ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাবেন। কিন্তু চাকা তো উল্টো ঘুরছে! কারণ, সাড়ে ৫ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধিহার ২০১৯ সালেও হয়েছে। 
3d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৭৩ টাকা৮৫.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৮৫ টাকা১০৯.৬১ টাকা
ইউরো৮৭.৮২ টাকা৯১.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
1st     December,   2024
দিন পঞ্জিকা