দেশ

কল্পনার ভবিষ্যৎ ঠিক করবেন ঝাড়খণ্ডবাসী: হেমন্ত

টানা প্রচার চালাচ্ছেন। গলা একটু বসে গিয়েছে। কিন্তু গোটা রাজ্য চষে বেড়ানোয় খামতি নেই। তুমুল ব্যস্ততার মধ্যেও রাঁচির সিএম হাউসে সাক্ষাৎকারের জন্য সময় দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। নির্বাচনের কাউন্টডাউন, স্ত্রী কল্পনার রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের ভবিষ্যৎ—একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে ‘বর্তমান’-এর সামনে অকপট ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার চেয়ারম্যান। 
প্রশ্ন: ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গেও মেরুকরণের রাজনীতি কাজে লাগিয়ে সরকার গড়তে চেয়েছিল বিজেপি। এবার ঝাড়খণ্ডেও কি গেরুয়া শিবিরের একই স্ট্র্যাটেজি? তারা কি সফল হবে?
উ: ওরা অলীক স্বপ্ন দেখছে। হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি ব্যর্থ হবে। এখানেও দেখবেন, ওদের ভরাডুবি নিশ্চিত। উন্নয়নমূলক কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। তাই বিভাজন ও জাতপাতের রাজনীতিই মোদি-শাহের একমাত্র অস্ত্র। 
প্রশ্ন: আপনাকে পাঁচ মাস জেলে থাকতে হয়েছে। আজও আপনার ব্যক্তিগত সচিবের বাড়িতে আয়কর তল্লাশি চলছে...
উ: (প্রশ্ন শেষ করার আগেই থামিয়ে দিয়ে) আচ্ছা বলুন তো, প্রতিটি বিরোধী দলের নেতানেত্রী অসৎ, দুর্নীতিগ্রস্ত আর ওরা সবাই সৎ? এটা কোনওদিন সম্ভব? আমাকে যে চক্রান্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তা আজ সবার কাছে স্পষ্ট। আজকের তল্লাশির বিষয়ে মিডিয়ার বন্ধুদের থেকেই শুনলাম। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন এমন তল্লাশি সাম্প্রতিক কালে কোথাও হয়েছে বলে মনে পড়ছে না। নির্বাচন এলেই এসব উৎপাত আপনাদের বাংলাতেও তো কম হয় না। কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে না। মানুষ জানে কে কী লক্ষ্যে কাজ করছে। 
প্রশ্ন: বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে? 
উ: একাধিকবার। নির্বাচনে ওঁর পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। প্রয়োজন পড়লেই আমরা ওঁকে এখানে আমন্ত্রণ জানাব। 
প্রশ্ন: আদিবাসী ভোটে জোর দিচ্ছে বিজেপি। কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে বলে মনে হয়?
উ: আদিবাসীরা জানেন, তাঁদের জন্য শিবু সোরেন কী কী করেছেন আর আমাদের সরকার কী কাজ করেছে। তাই বিজেপির আদিবাসী ভোটে ভাগ বসানো নিয়ে আমরা একেবারেই চিন্তিত নই। 
প্রশ্ন: তাহলে দুশ্চিন্তা কী নিয়ে? 
উ: (একটু ভেবে নিয়ে) ওরা সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসী ভোট টানতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। যদিও কিছুই করতে পারবে না। প্রাকৃতিক কারণে আমাদের খনিজ সম্পদ এখনও অক্ষত রয়েছে। ওদের টার্গেট আদিবাসীদের উন্নয়ন নয়, বরং মাটির নীচের খনিজ সম্পদ। ওদের কাছে সবটাই টাকার খেলা। 
প্রশ্ন: বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ আদিবাসীদের অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলছে বলে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। কীভাবে এর মোকাবিলা করছেন?
উ: এখানে তো যুগ যুগ ধরে বাঙালি ভাষাভাষীদের বাস। অনেক কেন্দ্রে তো প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভাষাই হল বাংলা। এসব দিয়ে ভোট হয় না। 
প্রশ্ন: চম্পই সোরেন কতটা ফ্যাক্টর হবে? 
উ: (একটু মুচকি হেসে) বিজেপির কাজই হচ্ছে বিধায়ক-সাংসদ ভাঙিয়ে বিরোধীকে দুর্বল করা। কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় চলে যায়, তাহলে একরকম। আর কাউকে যদি জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়, তার প্রভাব আরেক রকম। আদৌ কোনও প্রভাব পড়ল কি না, পরিষ্কার হয়ে যাবে ২৩ নভেম্বর। 
প্রশ্ন: আপনি মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার উন্নতির কথা বলছেন। কিন্তু ঝাড়খণ্ড এখনও পিছিয়ে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। 
উ: বিজেপি গত ২০ বছরে ঝাড়খণ্ডের জন্য  কিছুই করেনি। আদিবাসীদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ঝাড়খণ্ড খনিজ সম্পদে এক নম্বর। কিন্তু কেন্দ্রের জিএসটি ও অন্যান্য নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে। 
প্রশ্ন: বিগত পাঁচ বছরে আপনার সরকারের কাজ নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত মতামত কী? 
উ: গত পাঁচ বছরের মধ্যে অনেকটা সময় কোভিড খেয়ে নিয়েছে। তারপরও আমরা যা যা কাজ করেছি, তার ফলে ঝাড়খণ্ড আজ অনেকটা এগিয়েছে। কয়লা বাবদ আমাদের ১ লক্ষ ৩৬ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সেই টাকা পেলে আরও অনেক কাজ করা যেত। এসবের মধ্যেই প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে মাইয়া সম্মান যোজনা, আবুয়া আবাস যোজনা, গুরুজি স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রকল্প চালু করা হয়েছে। 
প্রশ্ন: আপনি জেলে থাকাকালীন কল্পনা সোরেনের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ। রান্নাঘর থেকে সোজা রাজনীতির ময়দানে। কী বলবেন? 
উ: দেখুন, ও সময়ের সৃষ্টি। যে ভাবে ও কাজ করেছে এবং করে চলেছে, সবাই দেখছেন। ওকে ঝাড়খণ্ডের মানুষ আজ এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। তারাই ওর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঠিক করবে। 
24d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৮৮ টাকা৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৯ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৭.২৫ টাকা৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা