নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাধারণ গ্রাহক যাতে প্রতারিত না হন, তার জন্য নিয়ম আরও জোরালো করছে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ট্রাই। গ্রাহকের ফোনে ইউআরএল, ওটিটি, এপিকে সংক্রান্ত যে লিঙ্কগুলি ভেসে ওঠে, সেগুলি যাতে মোবাইল সংস্থাগুলির অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকেই আসে, তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে ট্রাই। কারণ, বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এমন কিছু লিঙ্ক গ্রাহকের মোবাইলে পাঠানো হচ্ছে, যার মধ্যে লুকিয়ে আছে কোনও ফাঁদ। সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করাই মূল লক্ষ্য। অন্যদিকে, গ্রাহকদের কাছে যে টেলি মার্কেটিং বা ব্যবসায়িক স্বার্থযুক্ত যে ফোনগুলি আসে, সেগুলি মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলির অনুমোদিত কি না, তা যাচাই করার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ অনুমোদিত সংস্থাগুলি থেকেই যাতে টেলি মার্কেটিং কল আসে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বিএসএনএল, ভিআই, এয়ারটেল বা জিও’র মতো সংস্থাগুলিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, মোবাইল সংস্থাগুলির সংগঠন সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (কোয়াই) দাবি করেছে, ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে যে অ্যাপগুলিতে ভয়েস কল বা মেসেজ পাঠানোর সুবিধা চালু আছে, সেগুলিকেও সরকার বিধির মধ্যে আনুক। কারণ, মোবাইল সংস্থাগুলি যে ভয়েস বা মেসেজ পরিষেবা দেয়, অ্যাপগুলিও একই ধরনের পরিষেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু তাদের পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করার কোনও পরিকাঠামো বা নিয়ম এদেশে নেই। এই ব্যাপারে কোয়াইয়ের ইঙ্গিত অবশ্য হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, গুগল মিটের মতো অ্যাপগুলিকে নিয়ে।
সংগঠনটির কর্তারা বলছেন, গ্রাহকের সুরক্ষার জন্য দু’টি বিষয় জরুরি। তা হল চিহ্নিতকরণ, অন্যটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা। অর্থাৎ, কোনও কল বা মেসেজ কোথা থেকে আসছে, তা চিহ্নিতকরণ যেমন জরুরি, তেমনই কল বা মেসেজে গ্রাহকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় থাকছে কি না, তাও নিশ্চিত করা দরকার। কিন্তু ইন্টারনেট ভিত্তিক অ্যাপগুলিতে এর কোনওটিই বজায় থাকে না, অভিযোগ এমনই। অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাপগুলির সাহায্যে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, যেখানে শুধুমাত্র আইন বা নিয়মের অভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। সংগঠনের কর্তাদের প্রশ্ন, যেখানে আগামী ১ নভেম্বর থেকে মোবাইল সংস্থাগুলির সব রকম মেসেজের উৎস এবং কে সেই মেসেজ পাচ্ছেন, তার সবটুকুই চিহ্নিতকরণ সম্ভব হবে, সেখানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেই একই পরিষেবাকে কেন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না?