নয়াদিল্লি: আত্মঘাতী হামলা থেকে শুরু করে বিস্ফোরণ। স্বাধীনতা দিবসে দেশের একাধিক জায়গায় নাশকতার ছক কষছে পাক জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে এমনই চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে সীমান্তে বাহিনীর চেকপোস্ট সহ একাধিক ভিভিআইপি এবং জনবহুল এলাকা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, লস্কর-ই-তোইবা, জয়েশ-ই-মহম্মদ সহ একাধিক পাক জঙ্গিগোষ্ঠী হামলার ষড়যন্ত্র করেছে। আর প্রচ্ছন্ন মদত দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। অর্থ সাহায্যের পাশাপাশি পাঠানো হচ্ছে অত্যাধুনিক অস্ত্রও। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একাধিক জঙ্গি হামলার সাক্ষী থেকেছে জম্মু ও কাশ্মীর।  সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে রাজধানী দিল্লি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েক সপ্তাহ ধরে সীমান্ত দিয়ে এদেশে আইইডি এবং আগ্নেয়াস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। এই কাজের জন্য ড্রোনের সাহায্য নিচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব সীমান্তে একাধিক ড্রোন ধ্বংস করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী,  জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটাতে অত্যাধুনিক আইইডি ব্যবহার করতে পারে জঙ্গিরা। ইতিমধ্যে একাধিক আইইডি দেশে পাঠানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সন্দেহজনক বস্তু নিয়ে জিআরপি, স্থানীয় পুলিস এবং আধাসামরিক বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে বসে হামলার ব্লুপ্রিন্ট বানাচ্ছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটিলে বসে সীমান্তের চেকপোস্টে জঙ্গি হামলার ছক কষছে লস্করের ছ’জন কমান্ডার।