বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ

ছয় মাসের খাবার ও জ্বালানি মজুত রেখে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের দীর্ঘ আন্দোলনের পথে কৃষকেরা!

নয়াদিল্লি, ১৩ ফেব্রুয়ারি: লোকসভা ভোটের আগে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামলেন কৃষকেরা। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই পরিকল্পনামাফিক আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে কৃষকদের মিছিল থামাতে ড্রোনের মাধ্যমে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিস। যদিও কৃষকদের মিছিলটি ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে চলেছে দিল্লির দিকে। আন্দোলনরত কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ করা থেকে রুখতে রাস্তায় কনক্রিটের ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছে দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিস।
এর আগে ২০২০ সালে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে যেভাবে আন্দোলন চালিয়েছিলেন তাঁরা, ফের একবার সেই দিকেই মোড় নিতে চলেছে কৃষকদের এই আন্দোলন বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। যার জন্য কয়েক মাস আগের থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা। তা ধরা দিয়েছে একাধিক চিত্রে। শুধু পাঞ্জাব থেকেই ১৫০০টি ট্র্যাক্টর, ৫০০ গাড়ি নিয়ে দিল্লি অভিযানে আসছেন কৃষকেরা। ওই গাড়িতেই প্রায় ছয় মাসের খাবার ও জ্বালানি মজুত রেখেছেন কৃষকেরা। দেশের নানা প্রান্ত থেকে দিল্লির উদ্দেশে যাওয়ার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা।
 আজকের কৃষকদের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এক দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন মমতা।
আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, 'কৃষকরা তাঁদের মৌলিক অধিকারের জন্য লড়াই করছেন। তাঁদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হলে আমাদের দেশ কীভাবে এগিয়ে যাবে? দেশের কৃষকদের উপর বিজেপির এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা, নিরর্থক পিআর স্টান্ট, 'বিকশিত ভারত'-এর বিভ্রম প্রকাশ করেছে কৃষক ও শ্রমিকরা। তাদের প্রতিবাদকে দমন করার পরিবর্তে বিজেপির উচিত নিজেদের স্ফীত অহংকার, ক্ষমতার ক্ষুধার্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে কমানো উচিত। আমাদের জাতির ক্ষতি করেছে তারা। নিজেদের প্রশাসনের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত বিজেপির। মনে রাখবেন, উচ্চ শ্রেণি এবং পরাক্রমশালী সহ আমাদের সকলকে টিকিয়ে রাখে এই কৃষকরাই। এই সরকারি বর্বরতার বিরুদ্ধে কৃষকদের সাথে একাত্ম হয়ে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে চাই আমি।'
এবারে কৃষকদের আন্দোলনের মূল দাবি, ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্য বিষয়ক আইন তৈরি করুক কেন্দ্র। গতকাল, সোমবার কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় সরকার পক্ষ। সেই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, অর্জুন মুন্ডা ও নিত্যানন্দ রাই। গতকাল, সোমবার সন্ধ্যা ছ’টায় বৈঠক শুরু হয়। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা জানান, বৈঠকে কোনও সুরাহা হয়নি। ফলে মঙ্গলবার দিল্লি চলো অভিযান হচ্ছেই। সরকারের কাছে নির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব নেই। তাঁদের দাবি, কেন্দ্র-কৃষক বৈঠক আবারও ব্যর্থ হয়েছে। সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল, ২০২০ প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছে কেন্দ্র। লখিমপুর খেরি কাণ্ডে নিহত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতেও রাজি হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০২০ সালের কৃষক আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছিল পুলিস, সেগুলো প্রত্যাহারের আশ্বাসও দিয়েছে সরকার। তবে এমএসপিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে কোনও ঐকমত্য হয়নি। যাতেই ভেস্তে গিয়েছে গতকালের বৈঠক।
11Months ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পরিবারের কারওর চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ততার যোগ। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হবেন।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৪৮ টাকা৮৭.২২ টাকা
পাউন্ড১০৫.০৯ টাকা১০৮.৮১ টাকা
ইউরো৮৮.৪৭ টাকা৯১.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা