দেশ

কেন্দ্রের বিষনজরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও

সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি: ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার পর মোদি সরকারের নিশানায় বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা! প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ক্ষেত্রেও এবার চাপিয়ে দেওয়া হল শর্ত, কেন্দ্রের নামই ব্যবহার করতে হবে। তবেই মিলবে টাকা। না হলে বন্ধ হয়ে যাবে যাবতীয় অনুদান। অর্থাৎ রাজ্যে যত সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র চলে, সেই সবের উপরই নামতে চলেছে ভারত সরকারের খাঁড়া। সংবিধান যতই বলুক, ‘স্বাস্থ্য’ রাজ্যের বিষয়। তা সত্ত্বেও রাজ্যের কোনওরকম পদক্ষেপ বা ভাবনা বরদাস্ত করা হবে না। বরং ফল ভোগার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
দেশের নতুন স্বাস্থ্যসচিব সুধাংশ পন্থ এদিন বলেছেন, ‘ন্যাশনাল হেলথ মিশনের অধীনে প্রথমে চালু হয়েছিল ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশন। পরে ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশন। মূলত সরকারি বড় হাসপাতালের ভিড় কমাতেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পুর এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা বাড়াতে এই প্রকল্প। কিন্তু ইদানীং অনেক রাজ্যই নিজেদের নামে এই স্বাস্থ্য প্রকল্প চালাচ্ছে। আবার কেন্দ্রের আর্থিক সহযোগিতাও নিচ্ছে। এটা চলবে না। নিজেদের নামে প্রকল্প করলে কেন্দ্রের ন্যাশনাল হেলথ মিশনের অর্থ সাহায্য মিলবে না।’ দিল্লি এবং পাঞ্জাবে আম আদমি সরকারের মহল্লা ক্লিনিকের বিষয়টি এ ব্যাপারে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি। সরাসরি বাংলার নাম না করলেও সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র যে কেন্দ্রের বিষনজরে রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিভিন্ন রাজ্যের পুর এলাকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে আলোচনার জন্য দিল্লিতে বসেছিল সম্মেলন। ন্যাশনাল আরবান হেলথ কনক্লেভ। সেখানেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘পিএম আয়ুষ্মান ভারত হেলথ ইনফ্রাস্ট্রকচার মিশন প্রকল্পে ২০২৬ সাল পর্যন্ত ৬৪ হাজার ১৮০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এর মধ্যে কেন্দ্র দেবে ৩৬ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। বাকি রাজ্যের। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মতোও খরচ হবে ৭০ হাজার কোটি। আরবান হেলথ ওয়েলনেস সেন্টারের পাশাপাশি ব্লকস্তরে স্বাস্থ্য প঩রিকাঠামো তৈরিই এর উদ্দেশ্য।’
সম্মেলনে ঠিক হয়েছে, পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেই এবার সাধারণ জ্বর, সর্দির চিকিৎসা করানোর জন্য জোর দেওয়া হবে। এমনটা না হলে বড় হাসপাতালে ভিড় কমবে না। এক্ষেত্রে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের প্রশংসাই হয়েছে কনক্লেভে। পুরসভার যেসব এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি নাগরিক বাস করেন, সেখানেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা দেওয়া স্বাস্থ্য মিশনের লক্ষ্য। কলকাতা পুরসভা নিউ সিটি প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট ইউনিট তৈরি করে আরবান হেলথ মিশনে উল্লেখযোগ্য কাজ করছে। তাই পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রর পুর স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মডেল বলেই প্রশংসা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব এল এস চাঙ্গসান। তবে এর মাঝে দায় ঝেড়ে ফেলার সুরও শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিনিধিদের গলায়। স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাতেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্পূর্ণ হবে না।’ তাহলে কী চাই? বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিতে হবে। প্রয়োজনে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করার জন্য রয়েছে দরাজহস্ত মোদি সরকার। ইঙ্গিতটা কী? সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবারও বেসরকারিকরণ?
12Months ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা