দক্ষিণবঙ্গ

পলসন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে শিক্ষক নেই একজনও

সংবাদদাতা, তেহট্ট: বেশ কিছু স্কুলে ছাত্রের অনুপাতে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বেশি। সেখান থেকে অতিরিক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সেইসব স্কুলে বদলি করা হবে, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকা কম। শিক্ষাদপ্তর সূত্রে এই খবর শুনে আশায় বুক বাঁধছে পলাশীপাড়া থানার পলসন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি থেকে ছাত্রীরা। তবে সেই আশার কবে পূরণ হবে, সেই দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁরা। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পলসন্ডা সহ আশপাশের এলাকার চাহিদা ছিল একটি বালিকা বিদ্যালয়ের। এলাকায় উচ্চ বিদ্যালয় থাকলেও ছিল না কোনও বালিকা বিদ্যালয়। এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানিয়েছিলেন। সেই দাবি পূরণ হয় তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর। ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের হাত ধরে এই এলাকায় একটি জুনিয়র গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়। সেই সময় এই স্কুল শুরু হয়েছিল মাত্র ৩৪ জন ছাত্রীকে নিয়ে। তখন ছয়জন শিক্ষকের পদ তৈরি হয়েছিল। তখন কোনও শিক্ষক এই স্কুলে ছিলেন না। এরপর আস্তে আস্তে এই স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালে এই স্কুলকে মাধ্যমিক পর্যন্ত করে রাজ্যের শিক্ষাদপ্তর। মাধ্যমিক পর্যন্ত হলেও স্কুলে কোনও শিক্ষক আসেননি। ২০২২ সালে এই স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিক করা হয়। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত করা হলেও এখনও পর্যন্ত নেই কোনও স্থায়ী শিক্ষক। এমনকী কোনও পার্শ্ব শিক্ষকও নেই। মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য গ্রামবাসীরা গ্রামের উচ্চশিক্ষিত মেধাবী মেয়ে ও ছেলেদের ওই স্কুলে পড়াতে বলেন। সেইভাবে এলাকার ছয়জন ছেলেমেয়ে এখন ওই ছাত্রীদের লেখাপড়া শেখান। বর্তমানে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক স্কুলের অতিথি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন। 
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে বর্তমান ছাত্রীর সংখ্যা ৫৩৬ জন। এমনকী যেহেতু স্কুলটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়েছে, সেই জন্য এবার ৫৮ জন মাধ্যমিক পাশ করে ওই স্কুলে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে। স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে ভুগছে ওই স্কুল। স্কুলে পড়ায় মোকাদ্দেস হোসেন, সারজিনা খাতুন, শেলী বিশ্বাস, শ্রাবণী খাতুন, সেলিনা খাতুন, হাসিবুল শেখ। এঁরা কেউ ইংরেজি, কেউ ভুগোল, কেউ দর্শন, কেউ বাংলাতে অনার্স শেষ করে বসে আছেন। তাঁরা নিজেদের গ্রামের স্কুলের প্রতি ভালবাসা থেকে বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করান। এঁদের কাউকে ১৫০০, আবার কাউকে ২০০০ টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা ছাত্রীদের ভর্তির টাকা থেকে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। ওই ছেলেমেয়েরা বলেন, আমরা শুধুমাত্র ভালোবেসে এই কাজ করি। যদি না করতাম, তাহলে স্কুল শিক্ষকের অভাবে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেত।  এলাকার বাসিন্দা চইনুদ্দিন শেখ বলেন, মানিকবাবুর চেষ্টায় এই স্কুল তৈরি হয়েছে। এখন আটজন শিক্ষকের পদ অনুমোদিত হলেও কোনও শিক্ষক নেই। আমরা এই সমস্যার কথা মানিকবাবুকে বলেছিলাম। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।  এখন আমরা শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানতে পেরেছি, স্কুলের অতিরিক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলি করা হবে যে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই বা কম আছে। এবার আমরা একটু হলেও আশার আলো দেখতে পারছি। এবার নিশ্চয় আমরা স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা  পাব। 
8d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মস্থলে আকস্মিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। দুপুরের পর থেকে জটিলতা মুক্তি ও কর্মে উন্নতি। ভ্রমণ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৮৫ টাকা৮৫.৫৯ টাকা
পাউন্ড১০৬.১০ টাকা১০৯.৮৬ টাকা
ইউরো৮৭.৯১ টাকা৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা