দক্ষিণবঙ্গ

পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে জমা

নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান ও আসানসোল: ট্যাব কেলেঙ্কারির এপিসেন্টার মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুর। তদন্তে নেমে পুলিস প্রাথমিকভাবে এমনটাই জানতে পেরেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস উত্তর দিনাজপুরের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। সেখানে কয়েকটি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে তারা কথাও বলেছে। পূর্ব বর্ধমানের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমানেও তিনটি স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা কারচুপি হয়েছে। দু’টি স্কুলের ক্ষেত্রেই টাকা গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের অন্য অ্যাকাউন্টে। তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা পড়ুয়ারা না পাওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যসচিব শিক্ষা সচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করতেই নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা দপ্তর। প্রতিটি স্কুলে এই প্রকল্পের কী অবস্থা তা যাচাই করার জন্য বৃহস্পতিবার ছুটির দিন সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক, টিআইসিদের সঙ্গে বৈঠক করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা শিক্ষাদপ্তর। জেলার ৩৭ হাজার পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে কিনা তা বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে। শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, এই বছরই একাদশ ও দ্বাদশ দুই শ্রেণির পড়ুয়ারাই তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে দশ হাজার টাকা করে পাচ্ছে। পড়ুয়াদের সংখ্যা বেশি, টাকার অঙ্কও যথেষ্ট। সেই কারণেই প্রকল্পের প্রতি নজর পড়েছে সাইবার প্রতারকদের।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। কতজন পড়ুয়ার টাকা অন্য‌ অ্যাকাউন্টে গিয়েছে তা সেই তালিকায় থাকবে। এছাড়া টেকনিক্যাল কারণে কতজন পড়ুয়া টাকা পায়নি সেটাও জানাতে বলা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের এক আধিকারিক বলেন, বেশকিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কোথা থেকে কারচুপি করা হয়েছে সেটাও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। 
মঙ্গলবার আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়, তাদের সাতজন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার জন্য দেওয়া দশ হাজার টাকা ঢোকেনি। স্কুলের টিআইসি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বাড়মুন্ডিয়া শাখায় পড়ুয়াদের নিয়ে হাজির হন। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন, ওই সাত জন পড়ুয়ার টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। সেই ব্রাঞ্চটি হল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কাছে হাপটিয়া। স্কুলের টিআইসি জানিয়েছেন, এই ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্ট নম্বর শুরু হচ্ছে ০৭ সংখ্যা দিয়ে। সেই অ্যাকাউন্টগুলির প্রথম নম্বর রয়েছে ১১ দিয়ে শুরু। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এত বড় ভুল হল! একই ঘটনা ঘটেছে কাঁকসা থানার মলানদিঘি দুর্গাদাস বিদ্যামন্দিরে। সেখানে মোট ১৪৯জন পড়ুয়া রয়েছে। তারমধ্যে ১৫জনের টাকা চলে গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের একজনের অ্যাকাউন্টে। প্রধান শিক্ষক শোভনলাল সাহা বলেন, আমরা দ্রুত সেখানকার ব্রাঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করি। জানা যায়, যেদিন টাকা ঢুকেছে সেইদিনই পাঁচটি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। দশটি অ্যাকাউন্টে তখনও টাকা ছিল। তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। 
একই ঘটনার সাক্ষী বেনাচিতি হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। পশ্চিম বর্ধমানের ডিআই অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই স্কুলের ২০জন পড়ুয়া টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার একের পর এক স্কুলে বেনিয়ম প্রকাশ্যে আসতেই এবার তা নিয়ে সক্রিয় হল শিক্ষাদপ্তর। এদিন সন্ধ্যায় জেলার ১৬৭ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। যাতে অন্য কোন স্কুলেও সাইবার প্রতারণা হয়ে থাকলে তা যেন প্রকাশ্যে আসে। অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
25d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

স্বদেশের বা বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালাভের সুযোগ পেতে পারেন। সব কাজে কমবেশি সাফল্যের যোগ। আয়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৭৩ টাকা৮৫.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৮৫ টাকা১০৯.৬১ টাকা
ইউরো৮৭.৮২ টাকা৯১.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
1st     December,   2024
দিন পঞ্জিকা