দক্ষিণবঙ্গ

মমতার আমলেই হাল ফিরেছে নতুনগ্রামের কাঠশিল্পীদের

সংবাদদাতা, কাটোয়া: মমতাতেই ভরসা পূর্বস্থলী ২ ব্লকের নতুনগ্রামের কাঠ শিল্পীদের। এখানকার কাঠের প্যাঁচা বিখ্যাত। ঘর সাজানোর জন্য এই কাঠের পেঁচার চাহিদা আছে। তবে এক সময়ে নতুনগ্রামের কাঠের পুতুল জেলা তো দূরের কথা, গ্রামের গন্ডিই টপকাতো না। সে জায়গায় এখন রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে তো বটেই, ভিন রাজ্যেও পৌঁছে যাচ্ছে। সৌজন্যে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মেলা। নতুনগ্রামের ৫০টি পরিবার বংশ পরম্পরায় কাঠের পেঁচা তৈরি করেন। শুধু প্যাঁচা নয়, কাঠের রাজা-রানি, গৌর-নিতাই ইত্যাদি পুতুলেরও বেশ কদর আছে। ইদানীং এখানকার কাঠের পুতুল বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বই সহ বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি দেয়। মমতার জমানায় কাঠের পুতুল তৈরি করে গ্রামের অর্থনৈতিক হাল ফিরেছে। 
নতুনগ্রামের স্কুলের বাঁদিকের ঢালাই রাস্তা ধরে এগলে কাঠশিল্পীদের পাড়ায় যাওয়া যায়। প্রতিদিন সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ কাঠের পেঁচা কিনেতে আসেন। শিল্পী গৌরাঙ্গ ভাস্কর, গৌতম ভাস্কর বলেন, মূল বিষয় হল মার্কেটিং। হাতের কাজ বিক্রি করতে না পারলে পেট চলবে না। আগে বাম আমলে গতানুগতিক বছরে দুটো মেলা হতো। এখন মমতার আমলে সারাবছর প্রচুর মেলা হয়। সেখানেই আমাদের শিল্পকর্ম বিক্রি হয়। মেলা হলে গ্রামের বহু মানুষ কাজ পান। কেউ জিনিসপত্র গাড়িতে তোলেন। কেউ আসবাবের দড়ি পাকিয়ে দেন। সবার কর্মসংস্থান হয়। এক একটা মেলা থেকে শিল্পীদের প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার বেশি শিল্পকর্ম বিক্রি হয়। বহু সংসার মেলার দিকেই তাকিয়ে থাকে। এসব কি আগে হতো? পেঁচায় খড়ি মাটির প্রলেপ দিতে দিতে আরেক শিল্পী উত্তম ভাস্কর বলেন, দেখুন এখন খাদি বোর্ড থেকে শিল্পীদের জন্য ওয়ার্কশপ করে দিয়েছে। যেহেতু পর্যটকরা গ্রামে আসেন, তাই তাঁদের কথা ভেবে খাদি বোর্ড আমাদের গেস্ট হাউস করে দিয়েছে। একটা কাঠ চেরাইয়ের মিল করে দিয়েছে। শিল্পীদের জন্য এত সুযোগ আগে কেউ দেয়নি। এখন আমরা ভালো আছি। তবে গ্রামে রাস্তাঘাট, পথবাতি এসব করলে আরও ভালো হবে। তাছাড়া ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের জন্য ঋণ দেওয়া হয় সরকারি ভাবে। কিন্তু ব্যাঙ্ক আমাদের ঋণ দিতে চায় না। এদিকটা আরেকটু নজর দিলে ভালো হয়। জিআই তো ঘোষণা করেছে। গ্রামে কাঠপুতুল তৈরি শেষ করে কলে জল নিচ্ছিলেন পূর্ণিমা ভাস্কর। তিনি বলেন, লকডাউনে আমাদের শিল্প শেষ হতে বসেছিল। কিন্তু তখন থেকেই আমরা অনলাইনেও জিনিসপত্র বিক্রি শুরু করি। এখন সেটা আমাদের আরও কাজে দিয়েছে। তবে বছরে যত মেলা পাই তাতে আমাদের সংসার অনায়াসে চলে যায়। শিল্পী ছাড়াও বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। 
আরেক শিল্পী অমল ভাস্কর বলেন, আমাদের মতো হস্তশিল্পীরা মেলা ছাড়া বাঁচে না। সরকার থেকে আমাদের আর্টিজান পরিচয়পত্র করে দিয়েছে। সেই সূত্রেই সারাবছর বিভিন্ন জেলায় মেলার জন্য ডাক পাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আমাদের মতো শিল্পীদের মুখে ভাত জুগিয়েছে। দিদি আমাদের মূল ভরসা। লক্ষ্মীর বাহন আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতাতেই শিল্পীদের লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে।  পূর্বস্থলীর নতুনগ্রামে কাঠের পুতুল তৈরি করছেন শিল্পীরা-নিজস্ব চিত্র
5Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.০৯ টাকা৮৪.৮৩ টাকা
পাউন্ড১০৯.৪৭ টাকা১১৩.০৪ টাকা
ইউরো৯১.০৬ টাকা৯৪.২৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা