দক্ষিণবঙ্গ

বন্ধ দু’টি স্কুল চালুর দাবিতে অবস্থান আন্দোলনে প্রাক্তন পড়ুয়া, শিক্ষকরা

সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানার অধীনে থাকা দু’টি উচ্চ বিদ্যালয় খোলার দাবিতে রবিবার রাস্তার পাশে প্রতীকী অবস্থানে বসেন প্রাক্তন পড়ুয়া সহ শিক্ষকরা। এলাকার দুঃস্থ পড়ুয়াদের দুর্ভোগ দূর করতে প্রবীণ শিক্ষকরা তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করেই প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান করে চলেছেন। অভিযোগ, প্রায় ১০বছর ধরে নানাভাবে লড়াই চালিয়ে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই রাস্তায় নেমে আন্দোলন জারি রেখেছেন তাঁরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার স্কুল পরিদর্শক(মাধ্যমিক) বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
আন্দোলনরত পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের পাশাপাশি দুর্গাপুরে রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা মাইনিং অ্যান্ড অ্যালায়েড মেশিনারি কর্পোরেশন(এমএএমসি) তৈরি হয়েছিল। ১৯৬৫ সালে এমএএমসি চালু হয়। কারখানার কর্মীদের জন্য টাউনশিপ গড়ে তোলা হয়। টাউনশিপে আবাসন, স্কুল, হাসপাতাল সহ সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়। ২০০২ সালে কারখানাটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ওই টাউনশিপে থাকা একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও একটি উচ্চ বিদ্যালয়ও বন্ধ হয়ে যায়। যদিও ওই স্কুল দু’টির প্রাথমিক বিদ্যালয় বর্তমানেও চালু রয়েছে। তবে উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টাউনশিপে বসবাসকারী পড়ুয়ারা বিপাকে পড়ছে। বাড়ি থেকে তাদের প্রায় তিন থেকে  সাত কিলোমিটার দূরের স্কুলগুলিতে যেতে হয়। আন্দোলনকারী স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া অনিন্দিতা রেড্ডি ও কুন্তল কুমার বলেন, এলাকার পড়ুয়াদের সুবিধার্থে আমরা ২০১৪ সাল থেকে স্কুল দু’টি খোলার চেষ্টায় আন্দোলন করে চলেছি। স্থানীয় প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের শিক্ষাদপ্তর পর্যন্ত একাধিকবার আবেদন করেছি। ২০১৬-’১৭ সালে শিক্ষা দপ্তরের এস আই এসে ইন্সপেকশন করে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। বিশাল স্কুল দু’টির পরিকাঠামো এখনও ভালো রয়েছে। কিন্তু ঝোপজঙ্গলে ভরে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমরা চাই স্কুলটি পুনরায় চালু হোক। প্রাক্তন পড়ুয়া সৌমেন রাউত ও সুমিত রায় বলেন, একসময় ওই দু’টি স্কুলে প্রায় আড়াই হাজার পড়ুয়া ছিল। প্রায় ১৫০জন শিক্ষক ছিলেন। আমরা কর্মজীবনে কেউ দেশে ও বিদেশে থাকি। আমরা এবং স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষকরা এলাকার পড়ুয়াদের সুবিধার্থে ফের স্কুল দু’টিকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাই। আমরা দেড় মাস ধরে এই প্রতীকী আন্দোলন করে চলেছি। সরকারের সহযোগিতা চাই। স্কুল খোলার জন্য সরকার পদক্ষেপ নিক। পাশাপাশি স্কুল দু’টি সরকারিভাবে ইংরেজি মাধ্যম করা হোক। দুঃস্থ পরিবারের পড়ুয়ারা টাকার অভাবে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করতে পারে না।
আন্দোলনকারী প্রাক্তন শিক্ষক অসিত সাহা ও বিপদরঞ্জন পাল বলেন, কারখানা বন্ধ হওয়ার পর এখন সমস্ত টাউনশিপের সম্পত্তির দায়িত্বে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(এডিডিএ) রয়েছে। ওই দু’টি স্কুল খোলা হলে বহু স্থানীয় পড়ুয়া উপকৃত হবে। এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য শিক্ষাদপ্তর অনুমোদন দিলে আমরা সবরকমভাবে সহযোগিতা করব। ডিআই(মাধ্যমিক) সুনীতি সাপুই বলেন, বিষয়টি নিয়ে কিছু জানা নেই। ফের আবেদন করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।-নিজস্ব চিত্র
7Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পুরনো সঞ্চয় ও শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থ লাভের যোগ প্রবল। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। সন্তানের...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৮৮ টাকা৮৫.৬২ টাকা
পাউন্ড১০৫.৩৯ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৭.২৫ টাকা৯০.৬০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা