দক্ষিণবঙ্গ

আমলাশোল-কাঁকড়াঝোর পুজো কমিটির উদ্যোগে ১০ হাজার মানুষের ভূরিভোজ

রাজদীপ গোস্বামী, আমলাশোল: একসময় সারা রাজ্যের মানুষ আমলাশোল গ্রামকে অনাহারের গ্রাম হিসেবেই চিনত। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানে গ্রামের একমাত্র পুজো ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে। আমলাশোল-কাঁকড়াঝোর সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোগে এবছর প্রায় ১০ হাজার মানুষকে খাওয়ানো হবে মাংস ও খিচুড়ি। প্রায় তিন মাস আগে থেকে শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। পুজোর উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, মন্দিরের থিমে পুজোর মণ্ডপ তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা থেকে আসবে প্রতিমা। 
পুজোর মণ্ডপের কাছেই নবমীতে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি সরকারি অনুদান পাওয়ায় আগের তুলনায় পুজোর বাজেট অনেকটাই বেড়েছে। পুজো কমিটির সভাপতি সুরেন্দ্রনাথ মুণ্ডা বলেন, পুজোয় আসার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের পুজো দেখতে ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকেও প্রচুর মানুষ আসবেন বলে আশা করছি। 
পুজোর উদ্যোক্তা চিন্ময় মাহাত ওরফে বুবাই বলেন, একসময় মাওবাদী কার্যকলাপের জেরে এই এলাকায় পুজো হতো না। বর্তমানে সরকারি অনুদান পাওয়ায় অনেক উপকার হচ্ছে। পুজোর বাজেটও বেড়েছে। পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, বাম আমলে শিরোনামে উঠে এসেছিল আমলাশোল। ২০০৪ সালে পাঁচ গ্রামবাসীর অনাহারে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমলাশোলের মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। পরবর্তী সময়ে মাওবাদী আন্দোলন শুরু হয়। সেই সময় সরকারি প্রকল্পের সামান্য সুবিধাটুকু পেতেন না এই এলাকার মানুষ। এমনকী এই এলাকায় কোনও দুর্গাপুজো হতো না। তবে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তার সঙ্গে আমলাশোলও বদলে গিয়েছে। অনাহারের সেই ভয়াবহ ছবি এখন অতীত। শুধু ঢালাই রাস্তাই নয়, বহু বাড়িতে পাকা শৌচাগার, জলের ব্যবস্থা হয়েছে আমলাশোলে। বাম আমলে এই এলাকার মানুষকে পুজো দিতে বা দেখতে ঘাটশীলা ও বালিচুয়া যেতে হতো। 
পুজো কমিটির সম্পাদক নন্দকিশোর মুড়া ও কোষাধ্যক্ষ বন্দিরাম মুড়া বলেন, আগে প্রায় ২০ কিলোমিটার গিয়ে পুজো দিতে হতো। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই পুজো করার পরিকল্পনা করা হয়। প্রতি বছর বহু মানুষ পুজো দেখতে আসে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে ওই এলাকায় আমলাশোল-কাঁকড়াঝোর সর্বজনীন পুজো কমিটি তৈরি হয়। তারপর থেকেই ওই এলাকায় ধুমধাম করে পুজো হচ্ছে। তবে শুধু দুর্গাপুজো নয়, করোনা মহামারীর সময়ও এই পুজো কমিটির সদস্যরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছিল। একইসঙ্গে পুজো কমিটির সদস্যরা একত্রে বস্ত্র বিতরণ, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতামূলক প্রচার করে থাকেন। 
পুজো কমিটির সদস্য অরুণকুমার মুড়া, পরেশ মুড়া, নারায়ণ মুড়া, হাঁদুসিং মুড়া বলেন, ক্লাবের সব সদস্য পরিশ্রম করে পুজোর আয়োজন করেন। একতাই আমাদের পুজো কমিটির মূলমন্ত্র।  আমলাশোল-কাঁকড়াঝোর সর্বজনীনের গত বছরের পুজো প্যান্ডেল।-নিজস্ব চিত্র
14Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মে সুনাম বাড়বে। জ্ঞাতির চক্রান্তে সম্পত্তি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। উচ্চশিক্ষায় শুভ ফল লাভের...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৮৫ টাকা৮৫.৫৯ টাকা
পাউন্ড১০৬.১০ টাকা১০৯.৮৬ টাকা
ইউরো৮৭.৯১ টাকা৯১.৩০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
8th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা