দক্ষিণবঙ্গ

কেন্দুয়া গ্রামে চোরাশিকারিদের উপদ্রবে বিপন্ন পরিযায়ী পাখিরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, জামবনী: জামবনী ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামে পরিযায়ী পাখিদের সঙ্গী করেই জীবন কাটে বাসিন্দাদের। একইসঙ্গে পরিযায়ী পাখি দেখতে ভিড় জমান পর্যটকরাও। তবে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আসা পাখির দল বর্তমানে সঙ্কটে পড়েছে। কারণ, চোরা শিকারিরা তাদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে।  স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, রাত বাড়লেই চোরা শিকারিরা পাখি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরফলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যাও কমে আসছে। তাঁদের মতে, এইভাবে পরিযায়ী পাখিদের উপর অত্যাচার চললে, ভবিষ্যতে পাখির দল আর এই গ্রামে আসবে না। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান করা হবে। 
প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রাম শহর থেকে জামবনী ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। এই গ্রামের বুক চিরে গিয়েছে ঝাড়গ্রাম থেকে জামবনী, চিল্কিগড় যাওয়ার রাস্তা। কনক দুর্গা মন্দিরে যেতে এই রাস্তাই ব্যবহার করেন পর্যটকরা। ঝাড়গ্রাম থেকে জামবনী যাওয়ার পথে এই রাস্তার বাঁ দিকে সুবিশাল তেঁতুলগাছ রয়েছে। এই গাছই সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখিদের আশ্রয়স্থল। জানা যায়, বহু বছর ধরে পরিযায়ী পাখির দল এখানে আসছে। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষে অর্থাৎ বর্ষার শুরুতে পাখির দল চলে আসে। এই পাখির দল চলে আসার অর্থ জেলায় বর্ষার আগমন হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  তবে শীতের গোড়ায়  অর্থাৎ ভাইফোঁটার পরেই তারা উড়ে চলে যায় নিজেদের দেশে। তেঁতুলগাছের ঘন ডালেই তাদের আস্তানা। ওখানেই সরু গাছের ডাল আর বাবলার কাঁটা দিয়ে সযত্নে ঘর বানায়। সেখানেই তারা সন্তানের জন্ম দেয়। তারা বড় হয়ে উড়তে শুরু করে। শীত পড়া শুরু হতে না হতেই গাছ ফাঁকা করে ফিরে যায় নিজেদের দেশে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এক বাসায় একটি পুরুষ, একটি মেয়ে আর তাদের সন্তানরা থাকে। পাখিগুলি গড়ে চারটি করে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে সন্তানদের জন্ম হতে ১০-১২ দিন লাগে। পুকুরের শামুক-গুগলিতে পেট ভরিয়ে মহানন্দে অস্থায়ী সংসার জমিয়ে তোলে শামুকখোলের দল৷ তবে বর্তমানে রাতের অন্ধকারে চোরাশিকারির দল আসছে। তারা অন্ধকারের মধ্যে গাছে উঠে পাখি ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পাখির মাংস সুস্বাদু হওয়ায় চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। 
ওই এলাকার বাসিন্দা হাঁদু মাহাত বলছিলেন, রাত বাড়লেই চোরাশিকারিরা আসছে। গ্রামের সকলে ঘুমিয়ে পড়লে পাখি নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। যা একেবারেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আগে গ্রামের মানুষ পাহারা দিত। তবে বর্তমানে পাহারা না দেওয়ায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
11Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বহু প্রচেষ্টার পর আটকে থাকা কাজের জটিলতা মুক্তি। কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.৭৯ টাকা১১১.৩৩ টাকা
ইউরো৯০.৯৫ টাকা৯৪.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা