চারুপমা

চুড়িতে রেখেছি মন

পুজো প্রস্তুতিতে অ্যাক্সেসরিজও রেডি চাই। চুড়ির রকমফের নিয়ে লিখেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।

শ্রীদেবীর দীঘল চোখের কাজল কালো চাউনি আর হাতভরা সবুজ কাচের চুড়ি। মুখে গান ‘মেরে হাথোঁ মে নও নও চুড়িয়া হ্যায়...!’ নয়ের দশকে এই দৃশ্য তরুণীদের মন জয় করেছিল সহজেই। ফ্যাশনসচেতন তারুণ্যে তখন কাচের চুড়িই হয়ে উঠেছিল স্টাইল স্টেটমেন্ট। পোশাকের সঙ্গে রং মেলানো হাতভরা কাচের চুড়ির চাহিদা তুঙ্গে উঠেছিল সেই সময়। হাতভরা কাচের চুড়ি নাকি সৌভাগ্যের লক্ষণ। উত্তর ভারতে নববধূদের রূপমাধুরী ধরা থাকে তাদের হাতভরা কাচের চুড়ির মধ্যে। বেনারসের জুয়েলারি ডিজাইনার মীনা গৌতম বললেন, ‘উত্তর ভারতের মহিলাদের মধ্যে একটা কথা খুব চালু, মেহেন্দির রং গাঢ় রাখা আর হাতের চুড়ি অটুট থাকার মধ্যেই নববধূদের স্বামীর সোহাগ ধরা থাকে।’ একটা সময় ছিল যখন মেয়েরা বিয়ের পর মেহেন্দির রং ফিকে হতে দিতে চাইতেন না। পরতের উপর পরত পড়ত মেহেন্দির। কাজের মাঝে কাচের চুড়ি বাঁচিয়ে রাখাটা একটা শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছেছিল সেই সময়। উত্তর ভারতের অনুকরণে আমাদের রাজ্যেও চুড়ির ফ্যাশন প্রচলিত হতে সময় লাগেনি। নয়ের দশক জুড়ে কাচের চুড়ির রমরমা ছিল কলকাতা ও শহরতলির হাটেবাজারে। সেই সময় অল্পবয়সিদের হাতে চুড়ি আর একটু বয়স্ক মহিলাদের হাতে বালা বা চূড়ের ঝলক বেশ জনপ্রিয় স্টাইল হয়ে ওঠে। জনপ্রিয়তা এমন পর্যায় পৌঁছয় যে চুড়ি এবং বালার নিত্যনতুন ডিজাইন তৈরি করতে হতো কারিগরদের।
ঝুমকা গিরা রে
একটু মোটা চুড়ি, চ্যাপ্টা তার গড়ন আর তার তলা থেকে একটা চেনের মাধ্যমে ঝুলছে ঝুমকো। এমন চুড়ির নকশার প্রচলন শুরু হয়েছিল ২০০০ সাল নাগাদ। ক্রমশ সেই ‘ঝুমকা’ স্টাইলটি চুড়ি ছাড়িয়ে বালার ডিজাইনেও ঢুকে পড়ল। এই সময় চুড়ির ডিজাইনেও একটা ভালোরকমের বদল লক্ষ করা যায়। ঝিরিঝির বেলোয়ারি চুড়ির বদলে বাজার ছেয়ে গেল একটু চওড়া চুড়িতে। সেই চুড়ি সাধারণত ব্রাস, অক্সিডাইসড আয়রন ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হতো। তারপর এল প্লাস্টিক। রাজস্থানি চুড়ার নকশায় মোটা, চ্যাপ্টা প্লাস্টিকের চুড়ির চল শুরু হল বাঙালি কন্যেদের মধ্যেও। এই চুড়িতে নানা রং। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মিশিয়ে এই ধরনের চুড়ির চল উঠেছিল মোটামুটি দু’হাজার সালের আশপাশে।
চৌকো ত্রিভুজ কতই রূপ
চুড়ি থেকে একটু বালার নকশার কথায় আসি। বেশ কয়েক বছর ধরেই চৌকো, ত্রিভুজ নানা আকারের বালা নজর কাড়ছে ফ্যাশনপ্রিয় আধুনিকাদের। হাতের গয়না মানেই গোল এমন ধারণা মন থেকে মুছে ফেলেছেন তাঁরা। একটু চওড়া আকারের এই চৌকো বা ত্রিভুজ বালায় আবার নানারকম ডিজাইন। কখনও বা সেগুলো মাল্টিকালার্ড। অন্য নকশা চাইলে এই আকারের মধ্যেই স্টোন বসানো হয়, জানালেন, জুয়েলারি ডিজাইনার সুদীপা মাইতি। সুদীপা বললেন, ‘বালার আকার ক্রমশ চৌকো, ত্রিভুজ ছাড়িয়ে ঢেউ খেলানো হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে গোল ছাঁচের উপর কারুকার্য করে তাতে ঢেউয়ের শেপ আনা হয়। সেই ছাঁচে ফেলে প্লাস্টিকের বালা বানানো হয়।’
স্টোনের চাহিদা
পাথরের কারুকাজও উত্তর ভারতীয় স্টাইল, জানালেন মীনা গৌতম। তাঁর কথায়, ‘রাজস্থানি গয়নায় স্টোন সেটিং খুবই জনপ্রিয়। সেই অনুকর঩ণেই ক্রমশ ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও এই গয়নার প্রচলন শুরু হয়। সম্প্রতি হীরের আদলেও ডিজাইন জনপ্রিয় হয়েছে স্টোন সেটিং জাঙ্ক জুয়েলারিতে।’ ওয়েস্টার্ন ডিজাইনও চোখে পড়ছে আজকাল। লাইন আর স্টোন মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে নকশা। খানিকটা সলিড লাইন, তার মাঝে একটা পাথর বসানো এইভাবেই চলতে থাকে ডিজাইন। অনেকে আবার দুটো লাইনের মাঝখানে স্টোন বসানোও পছন্দ করেন। কেউ বা পাতের মতো নকশা চান।  এমন বিভিন্ন বদলকে সঙ্গী করে চুড়ি, বালা, এগিয়ে চলেছে নিত্য নতুন নকশা নিয়ে।  
12Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা