১৯৪৪ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। সিঙ্গাপুরের সংবাদপত্র ‘সিওনান সিম্বুন’-এর প্রতিবেদন — একটি চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ের জন্য ক্যাথে বিল্ডিংয়ের উপরে তিন দফায় ‘ইউনিয়ন জ্যাক’ উড়বে। সেই ক্যাথে থিয়েটার, যেখানে সুভাষচন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের কথা জানিয়েছিলেন। সিনেমার নাম? ‘অন টু দিল্লি’। পরিচালনায় বিখ্যাত জাপানি চিত্র পরিচালক, ইয়াসুজিরো ওজু। বিষয়বস্তু নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্বে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম। ছবির নামকরণ করেছিলেন স্বয়ং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। জাপানের সামরিক প্রচারচিত্রের অঙ্গ হিসেবে ছবিটি তৈরির বরাত পান ওজু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান অক্ষশক্তির কাছে পরাজিত হওয়ার পর সেই ছবি নাকি তিনি নষ্ট করে দিয়েছিলেন। ওজু নিজেই বলেছেন সেই কথা। তবে ইতিহাস সেকথা বলে না। সিঙ্গাপুরের জাতীয় আর্কাইভে সংরক্ষিত নথি মতে, সেই ছবি অক্ষত অবস্থায় ছিল। এবং পরবর্তীতে নেহরুর হাত ধরে ভারতে ফিরেও এসেছিল।
১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে কংগ্ৰেসের মিটিংয়ে ঠিক হল, সিঙ্গাপুর ও মালয় যাবেন নেহরু। সেখানকার ভারতীয়দের সাহায্য করতে। ১৯৪৬ সালের সেই সফরেই নেহরুর হাতে ওজুর সেই অসমাপ্ত ছবি তুলে দেন এক ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী। ভারতে আসার পর ছবিটি প্রযোজনার দায়িত্বভার নেন বল্লভভাই প্যাটেল। দেখভালের দায়িত্ব সামলেছিলেন নাথলাল পারেখ। এবারে আর কোনও বাধা আসেনি। ছবিটি সম্পূর্ণ হয়। ১৯৪৭ সালের ৫ই মার্চ গুটিকয়েক বিশিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতিতে প্রথম প্রদর্শিত হয় সিনেমাটি। পরের বছর নেতাজির জন্মদিন, ২৩ জানুয়ারি কলকাতার ১৪টি প্রেক্ষাগৃহে পূর্ণ দৈর্ঘ্যের এই চলচ্চিত্র হিসেবে সেটি মুক্তি পেয়েছিল। ছবির নাম ‘নেতাজি সুভাষ’। উদ্বোধন করেছিলেন আইএনএর মেজর জেনারেল শাহনাওয়াজ খান এবং কলকাতার তৎকালীন মেয়র সুধীর রায়চৌধুরী। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম সপ্তাহের প্রথম ও শেষদিনে পাওয়া অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈনিকদের দুঃস্থ পরিবারকে। কিন্তু ওজুর সৃষ্ট চলচ্চিত্রের তালিকায় আজও ছবিটি অসমাপ্ত।
হাওড়া-কালকা মেল তখন সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেন। যদিও তার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি ওঠে না। তদানীন্তন রেল বোর্ড তাই...
8th March, 2024সে একটা দিন ছিল। যখন হাতিবাগানের থিয়েটার পাড়া গমগম করত। সেরকমই একটা সময়ে রঙ্গনায় চলছে সুপারহিট নাটক ‘জয় মা কালী...
8th March, 2024আজ ৮ মার্চ। বিশ্ব নারী দিবস। আজকের দিনে যাঁদের কথা বললে বাঙালির মাথা নত হয়ে আসে, তাঁরা হলেন কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়...
8th March, 2024মেয়েটির যা ইচ্ছে হতো, তিনি তাই পরতেন। বুট, প্যান্ট কিংবা শার্ট। যে সময়ে মেয়েটি বড় হয়েছেন, সে সময় তাঁর দেশে...
8th March, 2024১৯১৮ সালের নভেম্বর মাস। আর পাঁচটা দিনের মতোই কর্মব্যস্ততা শুরু হয়েছিল আলাস্কার পশ্চিমে বেরিং প্রণালীর কাছের এক ছোট্ট শান্ত গ্রাম...
4th March, 2024