সময়টা চারের দশক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা শুরু হয়ে গিয়েছে। আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে বিশ্বকে গিলে খাওয়ার স্বপ্নে বিভোর নাৎসি বাহিনীর প্রধান হিটলার। সেই আগ্রাসন রুখতে বিশ্বের বহু মানুষ তখন একজোট হচ্ছেন। বিশেষত বামপন্থীরা। তরুণ কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। বামপন্থার আদর্শে উদ্বুদ্ধ কালী বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিলেন সেনাবাহিনীতে। কিন্তু কিছুদিন পরেই তাঁর মোহভঙ্গ হল। ভাবলেন হিটলারের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে তো ইংরেজদের হয়ে লড়া হচ্ছে। অথচ এরাই দেশকে শাসন করছে। তাহলে ইংরেজের গোলামি কেন করব? যেমন ভাবা তেমনি কাজ। একদিন ইনচার্জকেই হকিস্টিক দিয়ে পায়ে মেরে বাহিনী ছেড়ে পালিয়ে আসেন। তারপর আইপিটিএ-তে যোগদান। সেখানেই উৎপল দত্ত, ঋত্বিক ঘটক, শম্ভু মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ। জ্যোতি বসুর সুপারিশে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ পান। তাঁর স্ত্রী প্রীতিও ছিলেন আইপিটিএ-র সদস্য। 
ঋত্বিক ঘটক, সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তপন সিংহর মতো বিশ্ববরেণ্য পরিচালকদের ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ জীবনে এক অপরিসীম ব্যর্থতা বোধে ভুগতেন। স্টুডিওপাড়ায় খুঁজে খুঁজে অঞ্জন চৌধুরীকে এসে ধরেছিলেন কাজের জন্য। অঞ্জন চৌধুরী তাঁকে ফেরাননি। যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে মহান সেই অভিনেতাকে তিনি ফিরিয়ে এনেছিলেন পর্দায়। কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের শতবর্ষ পূর্ণ হল (মতান্তর রয়েছে) গত ২০ নভেম্বর। এই মহান অভিনেতাকে নিয়ে চৌরঙ্গী পত্রিকা একটি সংখ্যা প্রকাশ করেছে। যেখানে শম্ভু মিত্র, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বিকাশ রায়, রবি ঘোষ, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, অনিল চট্টোপাধ্যায়, তরুণ কুমার, মাধবী মুখোপাধ্যায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা, সুপ্রিয়া দেবীর লেখা রয়েছে কালীবাবুকে নিয়ে! রয়েছে কালীবাবুর লম্বা একটি সাক্ষাৎকার।  বাবাকে নিয়ে তাঁর মেয়ের একটি লেখা।

বাজপাখির বদলে গোটা রাজ্য! সঙ্গে রাজা উপাধিও। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়েছিল নানকর রাজ্যের প্রতি...