সিভিতে রয়েছে ১৮টি ধারাবাহিক। অভিনয়ের কেরিয়ার ভালোই এগচ্ছে। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যামেরার পিছনে কাজ শুরু। সহকারী হিসেবে ইনিংস শুরু করে অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরী। শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত কতটা বদলেছে কাজের ধরন? শেয়ার করলেন নানা কথা।
পেশাদারিত্ব
‘পটল কুমার গানওয়ালা’, ‘ভুতু’ ধারাবাহিক অনিন্দিতাকে ছোটপর্দায় বিশেষ পরিচিতি দিয়েছে। তারপর একে একে অভিনয় করেছেন ‘গোয়েন্দা গিন্নি’, ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’, ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’, ‘ধুলোকনা’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে। কিন্তু কখনওই অভিনীত চরিত্রের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজতে জাননি। তাঁর কথায়, ‘যখন অভিনয় করি, অনিন্দিতার বাইরে গিয়েই অভিনয় করি। কখনওই নিজের সঙ্গে মিল খোঁজার চেষ্টা করি না।’ স্টার জলসার ‘তেঁতুলপাতা’ ধারাবাহিকে অনিন্দিতার অভিনীত চরিত্রের নাম অঞ্জলি। সেটাই এখন তাঁর অনস্ক্রিন পরিচয়। মেয়েটি নিজের অধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। ‘যাঁরা আমাকে চেনেন, তাঁরা বলতে পারবেন অঞ্জলি আর অনিন্দিতা কতটা এক। কারণ অভিনয়ের সময় ব্যক্তিগত জীবনে আমি ঠিক কেমন, সেটা একদমই ভাবি না।’
ভাগ্যবান
অনিন্দিতা ভাগ্যে বিশ্বাসী। যে ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন, তাতে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘দর্শক ভালোবাসছেন। তাঁরা মনে করছেন কিছু অন্য ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার যোগ্যতা আমার রয়েছে। সে জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি।’ অভিনয়ের প্রতিটা মাধ্যমের মধ্যেই একটা যোগসূত্র আছে বলে মনে করেন অনিন্দিতা। তাঁর উপলব্ধি, ‘আমি মূলত টেলিভিশনেই অভিনয় করছি। কিন্তু আমার কাছে টেলিভিশন, সিনেমা, সিরিজ কোনওটাই আলাদা নয়। যাঁরা ওটিটি দেখেন, তাঁরাই টেলিভিশন এবং সিনেমাও দেখেন।’ মাধ্যম বদলে গেলে অভিনয় বদলে যাবে, এমনটা মানতে নারাজ তিনি।
টেলিপ্রীতি
টেলিভিশনই অনিন্দিতাকে পরিচিতি দিয়েছে। তাই টেলিভিশনই তাঁর প্রথম প্রেম। হেসে বললেন, ‘যদি এমন দিন আসে, টেলিভিশন নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম যে অন্য মাধ্যমে অভিনয় করতে পারলাম না। তাতে আমার কোনও আক্ষেপ থাকবে না। আমি যা করছি, সেটা নিয়েই ভীষণ খুশি। টেলিভিশনের প্রতি প্রেম আমার কখনও কমবে না।’
পিয়ালী দাস