‘অহল্যা’ মুক্তির আগে সে ছবির জার্নি ভাগ করে নিলেন বনি সেনগুপ্ত।
আলাদা ‘অহল্যা’
বনি সেনগুপ্ত। রোমান্টিক হিরো বা চকোলেট বয় চরিত্রে যাঁকে দেখে অভ্যস্ত আপনি। এবার তিনি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এক চরিত্রে। সৌজন্যে অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের আসন্ন সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার ছবি ‘অহল্যা’। ‘আমাকে সাধারণত যে ধরনের চরিত্রে দেখা যায়, তার থেকে পুরোপুরি আলাদা চরিত্র। ভীষণ সিরিয়াস, পরিণত। হাসেও খুব মেপে। পুরো ছবিজুড়ে ওই গ্রাফটা মেনে চলতে হয়েছে’ চরিত্রের ওঠাপড়া বোঝাচ্ছিলেন বনি। তাঁর সংযোজন, ‘হিরো-সুপারস্টার ব্যাপারটা আর নেই। ওটা দেব-জিৎই শেষ পেয়েছেন। তারপর থেকে ভালো গল্প, চরিত্রের খোঁজই সকলে করেন। ভালো অভিনয় করতে পারাটাই এখন আমার কাছে সবকিছু।’
পাপ-পুণ্য, পুনর্জন্ম, অভিশাপ
‘অহল্যা’ ছবির পাঞ্চলাইন, ‘পাপ-পুণ্য, পুনর্জন্ম, অভিশাপ’। অভিনেতা নিজে এগুলি বিশ্বাস করেন? হেসে বনির জবাব, ‘না। আমি প্র্যাক্টিক্যাল। কেবল নেগেটিভ আর পজিটিভ এনার্জিতে বিশ্বাস করি।’
প্রচার
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ‘অহল্যা’। তা সত্ত্বেও ছবির প্রচার এত কম কেন? বনি বোঝালেন, ‘অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’র কথা যদি ভাবেন, দেখবেন প্রথমে তেমন প্রচার ছিল না। তা সত্ত্বেও মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে কত ভালো চলেছিল। তাই দর্শকের উপর ভরসা রাখছি।’
ট্রোলিং
সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তারকাদের। বনি ব্যতিক্রম নন। সেসবে পাত্তা দেন? বনি স্পষ্ট বললেন, ‘আগে খুব পাত্তা দিতাম। এখন গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। যাঁরা ট্রোলিং করেন, তাঁরাই দেখা হলে বলেন, একটা ছবি তুলব?’
প্রযোজনা সংস্থা
গত বছর ফেব্রুয়ারিতেই মুক্তি পেয়েছিল অভিনেতার নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘ডাল বাটি চুরমা’। পরের ছবি কবে আসছে? বনির উত্তর, ‘ভেবে রেখেছি আগামী মে মাস নাগাদ ফ্লোরে যাব। আসলে প্রথম ছবিটার টাকা সদ্য রিকভার হয়েছে। তাই সবদিক ভেবে এগতে হচ্ছে।’ বনি জানালেন, সিঙ্গল স্ক্রিন আর কর্মাশিয়াল বাংলা ছবির কথা মাথায় রেখেই প্রযোজনা সংস্থা খুলেছিলেন তিনি। তাঁর উপলব্ধি, ‘সিঙ্গল স্ক্রিনের কথা না ভাবলে, ইন্ডাস্ট্রি চলবে বলে মনে করি না।’
রাজনীতির ময়দানে
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে যাঁকে পুরোদস্তুর রাজনীতির ময়দানে দেখা যেত, তিনি এখন রাজনীতি থেকে শত হস্ত দূরে। কেন? অভিনেতার জবাব, ‘আমি প্রথমে তৃণমূলেই ছিলাম। প্রচার করতাম। আসলে তখন খুব সহজে দিদির কাছে পৌঁছনো যেত। তারপর মিডলম্যান হয়ে গিয়ে সমস্যা হয়েছে। নিচুতলার লোকেদের বলতে হতো। তারা কাউকে কিছু না বলে পুরোটা নিজেদের মধ্যেই রেখে দিত। বিজেপির তরফে কথা দেওয়া হয়েছিল, এমন কোনও সমস্যা হবে না। সেখানেও গিয়ে দেখলাম, একই সমস্যা। তখন সিদ্ধান্ত নিলাম, রাজনীতি আমার জন্য নয়। অফিশিয়াল নোটিস দিয়ে বিজেপিও ছেড়ে দিয়েছি ।’
বনি-কৌশানি জুটি
একসময় বনি-কৌশানি জুটি ছিল প্রযোজক-পরিচালকদের হিট ফর্মুলা। ইদানীং এই জুটিকে কেন দেখা যাচ্ছে না পর্দায়? ‘অনেক ছবি হয়েছে। তাই যখন প্রযোজকরা আসেন, নিজেরাই বলি, অন্য কারও সঙ্গে ভাবুন। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যতদিন না অন্যরকম, চ্যালেঞ্জিং চরিত্র পাব। ততদিন করব না।’
শান্তনু দত্ত