বিকিকিনি

ছায়াঘন পাহাড়ি পথে সিমলা

পাহাড় যদি আপনার বেড়ানোর প্রিয় ঠিকানা হয়, তাহলে অবশ্যই একটিবার সিমলা ঘুরে আসুন। বর্ণনায় রথীন কুমার চন্দ।

শ্যামালয়া দেবীর নামে সিমলা। ১৮৬৫-১৯৩৯ পর্যন্ত ভারতের গ্রীষ্মকালীন  রাজধানী ছিল এই শহরে। সিমলার আদি নাম অবশ্য ত্রিগারতা। রবি, বিপাশা ও শতদ্রু— এই তিন নদীর সঙ্গমস্থল ছিল বলেই এমন  নামকরণ। ম্যালের শহুরে সৌন্দর্যকে পরিপূর্ণ করে তুলছে ছায়াঘন পাহাড়ি পথের প্রাকৃতিক রূপ।   
এমন সৌন্দর্য উপভোগ করব বলেই আলো-আঁধারির ভোরে কালকা থেকে সিমলার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলাম টয় ট্রেন চড়ে। মনে হল বিদেশি কোনও ট্রেন সফরে যাচ্ছি বুঝি। ইলেকট্রিক ইঞ্জিনবাহিত টয় ট্রেন সফর ও ফুরফুরে হাওয়ায় মনটা চনমনে হয়ে উঠল। হাওড়া থেকে কালকার সারা রাতব্যাপী ট্রেন যাত্রার ক্লান্তি এক লহমায় উধাও হয়ে গেল। ট্রেন যতই এগচ্ছে ছবির ট্রেলার নিয়ে প্রকৃতি আসন পেতে বসছে আমাদের চোখের সামনে। পাহাড়ি গাছের সারি, পাতা, ফুল, ফলের বাহারি রঙের গয়নায় সজ্জিত হয়ে ছবির মতো একে একে বদলে যাচ্ছিল দৃশ্যপট। 
ট্রেন তার ট্র্যাক ধরে এগিয়ে চলেছে প্রকৃতিপ্রেমীদের প্রকৃতির পাঠ দিতে দিতে। কোথাও ক্ষুদ্র জলধারা, কোথাও বা ঘন সবুজ বনবীথির ঘেরাটোপ। ইঞ্জিনের শব্দ আর সাদা ধোঁয়ার প্রলেপ প্রকৃতির নিশ্চুপ নীরবতাকে খানখান করে এগিয়ে চলেছে। আবার তারই মাঝে সবুজ পাহাড়ি পাতার ঘন বুনটের আড়াল থেকে চিকন সোনালি রোদের ঝিলিক যেন আলোর লুকোচুরি খেলে যাচ্ছে ভ্রামণিকদের সঙ্গে। প্রকৃতি উপভোগ করতে করতে কখন যে আমরা সিমলার কাছাকাছি এগিয়ে গিয়েছি, ঠাহর করতে পারিনি। 
ম্যালের চেহারা ও চরিত্র দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।  সিমলার ম্যাল মৌলিকতায় পরিপূর্ণ। বিরাট এলাকা জুড়ে হরেক খাবারের আয়োজন হোটেল ও অস্থায়ী স্টলে পরিপূর্ণ। আট থেকে আশির উপস্থিতিতে ম্যাল প্রাণচাঞ্চল্যে যেন ফুটছে দিবারাত। 
আমরা চলেছি জাখু মন্দির দর্শনে। পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই মন্দিরটি হনুমানজির। একটি হনুমানজির মূর্তি ১০৮ ফিট উঁচু, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৫০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত। এই মন্দিরে পৌঁছানোর শিহরণ আলাদা। ম্যাল থেকেই যখন এই মন্দির দর্শন করেছিলাম তখনই মুগ্ধ হয়েছিলাম। মন্দিরে চাক্ষুষ করার অভিজ্ঞতা সারা জীবন মনে থাকবে।সিমলা কালীবাড়ির সৌন্দর্য আবার অন্যরকম। অসম্ভব শান্ত পরিবেশ এখানে। এই সেই শ্যামালয়া মন্দির। কালীবাড়ির সার্বিক সৌন্দর্য দুর্গাপুজোর সময় ফুটে ওঠে। পর্বতমালাতে এই মন্দিরের আলোকসজ্জা যেন অপরূপ হয়ে উঠে সেই সময়। সঙ্গে কাঁসর ঘণ্টার ধ্বনি বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবের আনন্দ মনে করিয়ে দেয় ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিকে।  এছাড়াও রয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ— আমলাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পূর্বে এটি ভাইসরয়ের বাসস্থান ছিল। অন্দরসজ্জাতেও সেই পুরনো ব্রিটিশ কায়দা। সিমলা বাস স্ট্যান্ড থেকে ১১ কিমি দূরে, তারা দেবীর মন্দিরটিও দর্শন করতে পারেন। কিন্তু এত মন্দির যদি দেখতে নাও চান, শুধু পাহাড়ি প্রকৃতিই আপনাকে মুগ্ধ করে তোলার জন্য যথেষ্ট। কীভাবে যাবেন: হাওড়া থেকে কালকা মেলে কালকা পৌঁছে সেখান থেকে টয় ট্রেনে সিমলা যেতে পারেন। গাড়ি ভাড়া করে, নয়তো বাসেও আসতে পারেন। এছাড়া প্লেনে কলকাতা থেকে মানালি হয়ে সড়কপথে  সিমলাও আসা যায়।  কখন যাবেন: অক্টোবর থেকে মার্চ সিমলা ঘোরার জন্য আদর্শ।
15Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

উপস্থিত বুদ্ধি ও প্রখর অনুমান ক্ষমতার গুণে কার্যোদ্ধার। ব্যবসা, বিদ্যা, দাম্পত্য ক্ষেত্রগুলি শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৩২ টাকা১১১.৮৭ টাকা
ইউরো৯১.২৫ টাকা৯৪.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
5th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা