নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: শুরুটা হয়েছিল সংরক্ষণ ইস্যু নিয়ে। সেই আন্দোলন রূপ নিয়েছে তাণ্ডবে, মৃত্যু মিছিলে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এই অশান্তির জেরে সীমান্তে পড়ল বাংলাদেশি টাকার দর। বুধবার পেট্রাপোল সীমান্তে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রগুলিতে গড়ে বাংলাদেশি ১০০ টাকার দর ছিল ভারতীয় ৬৮-৬৯ টাকা। মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের একাধিক ব্যবসায়ীর দাবি, অশান্তির আগে প্রায় ৭২-৭৩ টাকা পর্যন্ত দর ছিল। কিন্তু, গত একমাসের মধ্যে বাংলাদেশি টাকার দর পড়েছে প্রায় ৫ টাকা। এর ফলে, মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের। বাংলাদেশের নাগরিকরা যেমন লোকসানের মুখে পড়ছেন, তেমনই যাঁরা ভারত থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছেন, তাঁরাও কম টাকা পাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আরও দাম পড়বে।
পেট্রাপোল সীমান্তে প্রায় আড়াইশো মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র রয়েছে। পাঁচশোর বেশি মানুষ এই ব্যবসায় যুক্ত। যাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন, তাঁরা এখানে ভারতীয় টাকা কেনেন। আবার যাঁরা ভারত থেকে বাংলাদেশে যান, তাঁরা বাংলাদেশি টাকা কেনেন। অনেক বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য ভারতে আসেন। নগদ টাকাও নিয়ে আসেন। টাকার দর কমায় তাঁরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে এই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত কমেছে। তাই মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রগুলিও ক্ষতির মুখে। সোমবারের পর লোকজন নেই বললেই চলে। 
কল্যাণ বিশ্বাস নামে পেট্রাপোলের এক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের ব্যবসায়ী বলেন, মাস খানেক আগেও বাংলাদেশি ১০০ টাকায় এখানে ভারতীয় ৭৩ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যেত। অশান্তির জন্য এখন সেই দর নেমে এসেছে ৬৮-৬৯ টাকায়। প্রায় ৫ টাকা কমে গিয়েছে। এভাবে চললে বাংলাদেশি টাকার দর আরও পড়ে যাবে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে আমাদের ব্যবসাও।
বাপ্পা ঘোষ নামে পেট্রাপোলের অপর এক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রের ব্যবসায়ী বলেন, বাংলাদেশি টাকার দর কমছে। অশান্তি চললে ৬০ টাকাতেও নামতে পারে। আমরা চাই, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। ছন্দে ফিরুক ব্যবসাও।