অমৃতকথা

স্বামিজী

নবীনদের মধ্যে স্বামিজীর ভাব যাহাতে অনুপ্রবেশ করে ইহার জন্য তিনি প্রাণ খুলিয়া অবাধে তাহাদের সহিত মেলামেশা করতেন এবং পাঠ, আলোচনা ও প্রসঙ্গাদি করিয়া অলক্ষ্যে উহাদের প্রাণে বিবেকানন্দ-তড়িৎ সঞ্চার করিতেন। তদানীন্তন কলিকাতায় যে সব তরুণ এই সূত্রে তাঁহার সংস্পর্শে আসিতে পারিয়াছিলেন, তাঁহাদের মধ্যে পরে অনেকেই সংসার ত্যাগ করিয়া শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের পতাকাতলে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন। আবার যাঁহারা সংসারেই থাকিয়া গিয়াছেন, তাঁহাদেরও প্রাণে সংসার-জ্বালা নিবারণের অমোঘ প্রলেপ লাগিয়াছে শুদ্ধানন্দের শুদ্ধ সঙ্গগুণে। যুবক সঙ্গীদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ-প্রসঙ্গ ও স্বামিজীর স্মৃতিকথা বলিতে বলিতে মাতিয়া যাইতেন। বৃহদারণ্যেক, ছান্দোগ্য ও কঠ উপনিষদের উচ্চ ভাবরাশিকে সরল ও সহজ করিয়া ছেলেদের সম্মুখে তুলিয়া ধরবার আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল শুদ্ধানন্দের। গিরিশচন্দ্রের ‘বুদ্ধদেব’, ‘পূর্ণচন্দ্র’ প্রভৃতি ভক্তি ও বৈরাগ্যমূলক নাটক হইতে তিনি অনর্গল আবৃত্তি করিয়া সকলকে আকৃষ্ট করিয়া রাখিতেন। তাঁহার এইসব আলোচনাচক্রে নিত্যযোগদানকারী কেহ যদি সাংসারিক কোনও বাধায় একদিন অনুপস্থিত থাকিয়াছে—সংসার বিরাগী এই সন্ন্যাসী নিজে পায়ে হাঁটিয়া খুঁজিয়া খুঁজিয়া তাহার বাড়ীতে গিয়া হাজির হইতেন। তৎকালীন এই যুবকগোষ্ঠীর একজনের জীবনসন্ধ্যায় স্মৃতিচারণ এইরূপ:
“তখন সমবয়স্ক যে কয়জন যুবক আমরা যেতাম; সকলকেই তিনি এমন আপনার করে নিতেন যে, সন্ধ্যার পরে ও ছুটির দিনে সোসাইটিতে গিয়ে তাঁর সঙ্গলাভের বা তাঁর মুখের কথা শোনবার আকর্ষণ ত্যাগ করতে পারতাম না কিছুতেই। আমরা যারা যেতাম, বেশীরভাগই নিম্নবিত্ত। সংসারের নানা অভাব-অভিযোগ জীবনে হতাশা ও নৈরাশ্য এসে গিয়েছিল। তখন এইভাবে এমন একজন প্রেমিক সন্ন্যাসীর সঙ্গলাভে আমরা এক নতুন জীবনের স্বাদ পেয়েছিলাম। তিনি আমাদের মনে প্রাণে বাস্তবিকই নতুন অনুভূতির সাড়া জাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে আরও বেশী সময় পাবার আকাঙ্ক্ষায়, আমাদের কেউ কেউ সোসাইটিতেই রাত্রিবাস করতে লাগল।”
গুরুগতপ্রাণ শুদ্ধানন্দ এই বিবেকানন্দ সোসাইটিকে কতখানি প্রাণ দিয়া স্নেহ করিতেন তাহার পরিমাপ করা অসম্ভব। নিদর্শনস্বরূপ তাঁহার দুই একখানি চিঠির কিছু অংশ এখানে উদ্ধৃতির যোগ্য। উক্ত সোসাইটির জনৈক কর্মীকে একবার মধুপুর হইতে লিখিয়াছিলেন, “সোসাইটিকে এমন ধর্মভাবের তরঙ্গ তোল যাহাতে উহা ‘বিবেকানন্দ’ নামের যোগ্য হয়। একটা দুটো লোকও যদি সোসাইটির contact-এ এসে মানুষ হতে পারে, সেও মঙ্গল।” কাশী হইতে লেখা তাঁহার আর একটি চিঠির অংশ: “খুব উৎসাহ করিয়া ঠাকুর-স্বামিজীর নাম লইয়া কাজ করিয়া যাও—নিরুৎসাহ হইও না—গীতায় ভগবানের কথা মনে করিও ‘ন হি কল্যাণকৃৎ কশ্চিৎ দুর্গতিং তাত গচ্ছতি।’ 
স্বামী অব্জজানন্দের ‘স্বামীজীর পদপ্রান্তে’ থেকে
9Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মরশুমি রোগের ভোগান্তিতে স্বাস্থ্যহানির যোগ প্রবল। কাজকর্মে কিছুটা আলস্য ভাব আসতে পারে। বিদ্যায় উন্নতির যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৮৩ টাকা৮৫.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৬.১২ টাকা১০৯.৮৭ টাকা
ইউরো৮৭.৯০ টাকা৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা