অমৃতকথা

ধন্য-ভাষ্য

‘ধন্য বলরাম’ লিখেছেন শ্রীম কথামৃতে। যদিও কথামৃতেই শ্রীম লিখিত ধন্য-ভাষ্য রয়েছে ঐ উক্তির অব্যবহিত পরেই, তবু স্বয়ং ঠাকুর বলরাম সম্বন্ধে যেসব উক্তি করেছেন তার চেয়ে জোরালো বলরাম-প্রশস্তি আর কিছুই হতে পারে না।
ঠাকুর বলেছেন: “আহা! বলরামের কি স্বভাব। আমার জন্য ওদেশে (উড়িষ্যার কোঠারে) যায় না। ভাই মাসোহারা বন্ধ করেছিল আর বলে পাঠিয়েছিল, তুমি এখানে এসে থাকো। মিছিমিছি কেন এত টাকা খরচ কর; —তা সে শুনে নাই—আমাকে দেখবে বলে।
“কি স্বভাব! রাতদিন কেবল ঠাকুর লয়ে; মালিরা ফুলের মালাই গাঁথছে! টাকা বাঁচবে বলে বৃন্দাবনে চার মাস থাকবে। দুশ টাকা মাসোহারা পায়।”
কথামৃত-লেখক শ্রীম বলরাম সম্বধীয় ধন্য-ভাষ্যে লিখেছেন: “ধন্য বলরাম! তোমারই আলয় আজ ঠাকুরের প্রধান কর্মক্ষেত্র হইয়াছে। কত নূতন নূতন ভক্তকে আকর্ষণ করিয়া প্রেম ডোরে বাঁধিলেন, ভক্ত সঙ্গে কত নাচিলেন, গাইলেন, যেন গৌরাঙ্গ শ্রীবাসমন্দিরে প্রেমের হাট বসাচ্ছেন।’’
“দক্ষিণেশ্বরে কালীবাড়িতে বসে বসে কাঁদেন; নিজের অন্তরঙ্গ দেখিবেন বলে ব্যাকুল। রাত্রে ঘুম নাই। মাকে বলেন, ‘মা ওর বড় ভক্তি, ওকে টেনে নাও; মা ওকে এখানে এনে দাও; যদি সে না আসতে পারে, তাহলে মা আমায় সেখানে লয়ে যাও, আমি দেখে আসি।’ তাই বলরামের বাড়ি ছুটে ছুটে আসেন। লোকের কাছে কেবল বলেন, ‘বলরামের জগন্নাথের সেবা আছে, খুব শুদ্ধ অন্ন।’ যখন আসেন অমনি নিমন্ত্রণ করিতে বলরামকে পাঠান। বলেন—‘যাও,—নরেন্দ্র, ভবনাথ, রাখালকে নিমন্ত্রণ করে এসো। এদের খাওয়ালে নারায়ণকে খাওয়ান হয়। এরা সামান্য নয়, এরা ঈশ্বরাংশে জন্মেছে, এদের খাওয়ালে তোমার খুব ভাল হবে।” এই যে ঈশ-দাক্ষিণ্যের গঙ্গাবতরণ কলকাতার বুকে, তার তাৎপর্য আজকে আমাদের পক্ষে অবধারণা করা যতটা সম্ভব, ঠাকুর স্বয়ং যখন পায়ে হেঁটে বলরামের বাড়িতে প্রবেশ করছিলেন সেদিনে ততটা সম্ভব ছিল না। কারণ আজ আমাদের সম্মুখে সমগ্র শ্রীরামকৃষ্ণ জীবন-বেদখানি উন্মুক্ত। ঠাকুরের নিজের জবানি, শ্রীমায়ের উক্তি, বিশেষ করে স্বামীজীর ‘অবতার বরিষ্ঠ’ ঘোষণা থেকে আমরা জানি ইনি কে। আমরা সকলেই অনেকবার শুনেছি, ভগবানের দিকে এক-পা এগুলে তিনি এক-শ পা এগিয়ে আসেন। শুনেও কাব্যি-কথা মনে করেছি। ভেবে দেখুন, দক্ষিণেশ্বর থেকে বোসপাড়া লেন ক-হাজার পা, আর কতবার কত হাজার পা এগিয়ে এসে রামকৃষ্ণকে অযাচিতভাবে ভক্তদের সঙ্গে মিলিত হতে হয়েছে। এ কৃপা-কথার মহাকাব্য কবে লেখা হবে! এক সময়ে ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে একান্তে বসে বসে নিজের কাছেই কাঁদতেন। দুঃখ—‘নিতাই আমার পায়ে হেঁটে হেঁটে হরিনাম বিলিয়েছে আর আমি কিনা গাড়ি না হলে কলকাতায় যেতে পারি না!’ ভগবানের দুঃখের কথা কে বোঝে বলুন। গৃহী ভক্তদের উপদেশ দিতেন—মাঝে মাঝে নির্জনে যেতে হয়, ভগবানের কাছে গোপনে কেঁদে কেঁদে প্রার্থনা করবার জন্য। আর অবতীর্ণ ভগবানকে ছুটে ছুটে আসতে হয় মহানগরীর জনারণ্যে।
স্বামী শিবপ্রদানন্দ সম্পাদিত ‘শ্রীরামকৃষ্ণ-ভাবতীর্থ বলরাম মন্দির’ থেকে
12Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

যে কোনও ব্যবসায়িক প্রচেষ্টায় সাফল্য ও উন্নতির যোগ। আর্থিক উন্নতি হবে। দৈবকর্মে সক্রিয়তা বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.০৪ টাকা৮৫.৭৮ টাকা
পাউন্ড১০৫.৬৫ টাকা১০৯.৪০ টাকা
ইউরো৮৭.১৬ টাকা৯০.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা