Bartaman Patrika
 

স্টুডিওপাড়ার মহরত এখন শুধু স্মৃতি
গুঞ্জন ঘোষ

বাংলা ছায়াছবির জগতে পয়লা বৈশাখের মহরৎ কবে থেকে চালু হয়েছে তার সঠিক হিসেব নেই। শুভ মুহূর্তে শুভ উদ্যোগের সাফল্য কামনায়এই মাঙ্গলিক উপাচার। সঙ্গে লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা। সিনেমা যে বানিজ্যেরই অংশ। বি এন সরকারের নিউ থিয়েটার্স স্টুডিও, অনাদি বসুর অরোরা স্টুডিও, ক্যালকাটা মুভিটোন, মুরলিধর চট্টোপাধ্যায়ের এম পি স্টুডিও, শ্রীভারতলক্ষ্মী পিকচার্স, ইন্দ্রপুরী, টেকনিশিয়ান স্টুডিও, রাধা ফিল্মস স্টুডিও, কালী ফিল্মস —বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগে এইসব স্টুডিওতেই শুরু হয় পয়লা বৈশাখের ‘শুভ মহরৎ’ পর্ব।
পয়লা বৈশাখের মহরৎ ছিল ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষদের বাৎসরিক মহোৎসব। তাঁদের কাছে এই দিনটি ছিল দুর্গোৎসবের থেকেও বড়। টেকনিশিয়ানরা নতুন জামাকাপড় কিনতেন। নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওতে নহবৎ বাজত। কার্ড ছাপিয়ে নিমন্ত্রণ করা হত। গোটা স্টুডিও সাজানো হত ফুলমালায়। অতিথি অভ্যাগতদের আমপোড়া শরবৎ, ডাবের জল, বেলের শরবৎ ইত্যাদি খাইয়ে চলত আপ্যায়ন। মহরতে ক্ল্যাপস্টিক দিতে বিধানচন্দ্র রায়, হরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কে না আসতেন! আটের দশকে শ্রীনিবাস চক্রবর্তীর ‘পথে সাথী’ ছবির ক্ল্যাপস্টিক দিতে দেখেছি মাদার টেরেসাকে। নজরুল ইসলাম, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, প্রেমাঙ্কুর আতর্থী, প্রেমেন্দ্র মিত্র, নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক ভট্টাচার্য প্রমুখ কৃতবিদ্য সাহিত্যিকরা যখন সিনেমার কাজে ডুবে তখনকার মহরৎই ছিল আলাদা রকমের। বিএন সরকার এই দিন ফ্লোরে ঢুকতেন না। নিউ থিয়েটার্স স্টুডিওর বিখ্যাত গোলঘরে (এইখানে রবীন্দ্রনাথ নটীর পূজার শ্যুটিং দেখতে এসে বসেছিলেন) সারাক্ষণ বসে থাকতেন। এই স্টুডিওর পুজো দেওয়া হত কালীঘাটে। এম পি স্টুডিও এবং অরোরা স্টুডিওর পুজো দেওয়া হত যথাক্রমে দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণী ও বাগবাজারের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে। দুপুরে মহাভোগের পর খাবারের এলাহি আয়োজন থাকত। ইন্দ্রপুরীতে এই রকমই এক দিনে জমিয়ে দুপুরের খাওয়াদাওয়া হচ্ছে। তখন শেষপাতের আইটেম চলছে। একটি ছেলে রসগোল্লার বালতি নিয়ে দৌড়ে আসছে। হঠাৎ পায়ে ইলেকট্রিকের তার জড়িয়ে আছাড় খেল। হাতের বালতি ছিটকে পড়ল রাস্তায়। রসগোল্লা সাবুর দানার মতো ছড়িয়ে গেল গোটা রাস্তায়। ঠিক সেই সময় জহর রায় হাজির। ছেলেটি তখন উঠে ভয়ে কাঁপছে। প্রোডাকশন ম্যানেজার তার মজুরিটাই হয়তো আটকে দেবে। জহরবাবু বলে উঠলেন, ‘দুর বোকা ভয় কীসের! রসগোল্লগুলোকে জড় করে ধুলো মাখিয়ে বালুসাই বলে চালিয়ে দে, কেউ টের পাবে না!’
১৯৫৭ সালের মহরত অনুষ্ঠানে কালী ফিল্মস স্টুডিতে ভুরিভোজ হচ্ছে। তখনকার তাবড় শিল্পীরা হাজির। ছবি বিশ্বাস খুব আম খেতে ভালোবাসতেন। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে প্রযোজক ল্যাংড়া আমের ব্যবস্থা করেছেন। অন্যদিকে পাহাড়ি সান্যালের পছন্দের খাবার ছানার ডালনা। তিনিও খবর নিয়ে জেনেছেন তাঁর প্রিয় পদটি থাকছে। কিন্তু খেতে বসে দেখা গেল দুটো পদই নেই। এইবার পাহাড়ি সান্যাল ছবি বিশ্বাসকে লক্ষ করে বলে উঠলেন, ‘টাকায় টাকা বাড়ে, গরমে বাড়ে ঘাম/ প্রোডিউসার এত কিপটে, পাতে দেয়নি আম!’ ছবিবাবুও কম যান না। সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, ‘হায়রে ছানা পাইনা দেখা/ কোথায় গেলি তুই?/ তোর অভাবে ভরলো না পেট, হাত-পা তুলে শুই!’ ভুরিভোজের সঙ্গে অতিথিরা ফ্রিতে এইরকম রসিকতাও পেতেন।
১৯৬০ সালে কালী ফিল্মস স্টুডিওতে শুধু মেকআপে চমকে দিয়েছিলেন বিকাশ রায়। নামভূমিকায় অভিনয়ের সঙ্গে ছবির পরিচালকও তিনি। কাহিনীকার প্রমথনাথ বিশী আমন্ত্রিতদের মধ্যমণি হয়ে এসেছেন। বিকাশবাবু যেভাবে কেরিসাহেবের মেকআপ নিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করতে লাগলেন স্বয়ং কাহিনীকারও মুগ্ধ। ফ্লোরেই বোঝা গেল এছবি সুপার হিট হবে।
এই মেকআপ নিয়ে একটি রসিকতা বহুদিন স্টুডিও পাড়ায় চালু ছিল। রাধা স্টুডিওর মেকআপ রুমে মেকআপ নিতে নিতে গল্প করছেন শ্যাম লাহা আর কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। ফ্লোর থেকে জোনে যাওয়ার জন্য বারে বারে ডাক আসছে। শ্যামবাবুর সব হয়ে গিয়েছে, শুধু গোঁফটা লাগানো বাকি। তিনি মেকআপম্যানকে ডাকছেন। সে তখন অনুপস্থিত। এমন সময় কালীবাবু বলে উঠলেন, ‘দাদা, অত দুঃশ্চিন্তা করছ কেন? তোমার অত বড় কিংসাইজের ভুরু—একখানা কেটে ঠোঁটের ওপর বসিয়ে নাও না।’
শ্যাম লাহা বললেন, ‘সে না হয় হল, ফাঁকা ভুরুটার কী হবে?’
কালীবাবুর চটজলদি উত্তর,‘ইলেকট্রিশিয়ান ডাকিয়ে ওই জায়গায় ব্ল্যাকটেপ মেরে দাও!’
ছবির নাম ‘মৌসুমী’। মুখ্যচরিত্রে উত্তমকুমার ও মালা সিনহা। প্রযোজক ইতালি ফেরত। মহরতের দিন জানা গেল চিত্রনাট্যকার নিতাই ভট্টাচার্য স্ক্রিপ্ট রেডি করতে পারেননি। পরিচালকের মাথায় হাত। তিনি জোড়হাত করে নিতাইবাবুকে বলছেন, ‘আমার প্রেমের ছবির বারোটা বাজিয়ে দিলেন দেখছি।
অন্তত চারপাতার একটা স্ক্রিপ্ট লিখে দিন।’
নিতাইবাবু একগাল হেসে বললেন, ‘নিন লিখুন—মিস্টার অ্যান্ড মিস/মিট অ্যান্ড কিস/মোর কিসেস/ মিস বিকাম মিসেস!’ এই ছবি কিছুদিন শ্যুটিংয়ের পর বন্ধ হয়ে যায়। এটা ঠিকই পয়লা বৈশাখ বা অক্ষয় তৃতীয়ায় যেসব ছবি শুরু হতো তার সবগুলোই শেষে হল পর্যন্ত পৌঁছত না। তবু মহরৎ রমরম করে হত।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বামাপ্রসাদ চক্রবর্তীর নামই হয়ে গিয়েছিল মহরৎ চক্রবর্তী। তিনি একসঙ্গে দু-তিনটি ছবির মহরৎ করতেন। কিন্তু কোনও ছবিই হল পর্যন্ত পৌঁছত না। খচাখচ স্টিল ছবি তোলা হত। সংশ্লিষ্ট সকলেই জানতেন এসব হল চক্রবর্তী মশাইয়ের পরের খদ্দের ধরার টোপ। কিছু পরিচালক ছিলেন যাঁরা নতুন অবাঙালি প্রযোজকদের ধরে এনে প্রাণ ভরে স্বপ্ন দেখাতেন। আর বলতেন, বাংলা বছরের শুরুর দিনে ছবি করলে সিনেমা দেবীর আশীর্বাদে মা দুর্গা তাঁর পুজোর সময়ে আপনার ছবি ঠিক রিলিজ করিয়ে দেবেন। সেই পরিচালকদের শ্লোগানই ছিল এইরকম—‘পয়লা বৈশাখে মহরৎ, দেবীপক্ষে রিলিজ।’
এমনও হয়েছে হয়ত চিত্রানাট্য তৈরিই হয়নি। মহরতের জন্য একটি মাত্র সিন লিখে মহরৎ শট নেওয়া হয়েছে। পরে দেখা গেল গল্পের সঙ্গে সেই সিন মিলছে না। কিন্তু এমনই সংস্কার সেই সিনটাকে ফেলা যাবে না। টালিগঞ্জের প্রচলিত বিশ্বাস—মহরতের সিন ফেলতে নেই।
একবার মেদিনীপুর থেকে এক পান বরোজের মালিক এসেছেন ছবি করতে। মহরতের দিন ফ্লোরে প্রচুর সেলিব্রিটি, রাজনৈতিক নেতাদের ভিড়। পুলিস পেয়াদার ছড়াছড়ি। পরিচালক তাঁর প্রযোজক বরোজ মালিকের সঙ্গে সকলের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। মুহুর্মূহু ছবি উঠছে। যিনি পান চাষ ছাড়া জগতের আর কিছুই জানতেন না এইসব দেখে তাঁর মাথা গেল ঘুরে। পাশে বসা ঘোমটায় ঢাকা স্ত্রীকে ফিসফিস করে বলছেন, ‘টেঁপির মা, আমি জাতে উঠলুম, এবার ভোটে দাঁডিয়ে পঞ্চাৎ পোধান হব।’ একবার একজন প্রযোজককে এক পরিচালক ঘোল খাওয়ানো চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ছবির নাম ‘নিয়তির আক্ষেপ’। মহরতে নারকেল ফাটানো, ক্ল্যাপস্টিক ঠোকা হল। অবাক কাণ্ড! কিটকিট শব্দ করে ক্যামেরা চলছে কিন্তু ভেতরে ঢপর ঢপর করে কী যেন একটা নড়ছে। প্রযোজকের সন্দেহ হল। লাঞ্চ ব্রেকে প্রযোজক চেপে ধরলেন পরিচালককে, ‘যেটুক ছবি তুলেছেন দেখান।’ পরিচালক বললেন, ‘সেটা কী করে হয়? পরের স্লটের টাকা দিন দেখাব।’ প্রযোজক টাকা দিলেও পরিচালক টালাবাহনা করতে লাগলেন। ধৈর্যহারা প্রযোজক টান মেরে ফিল্মের ক্যান খুলে দেখেন ভেতরে নেগেটিভের রিলই নেই! তার বদলে উত্তম-সুচিত্রার দেয়ানেয়া ছবির ফেলে দেওয়া রিলের অংশবিশেষ!
ক্যামেরা ছাড়া শুধুমাত্র স্টিল ছবি তুলে পয়লা বৈশাখের মহরতও দেখেছি। কোনও প্রশ্ন ছাড়া এক শিফটের কাজের টাকা পেয়েই খুশি। অনেকে কালো টাকা সাদা করার জন্য বৈশাখের পয়লা দিনটাকে বেছে নিতেন। সেইসব প্রযোজকরা প্রায় গোটা টালিগঞ্জ এলাকাকে নিমন্ত্রণ করে আনতেন। বিয়েবাড়ির মতো ফ্লোর সাজত। হাতে হাতে ঘুরতো কোল্ড ড্রিঙ্কস, গোলাপ ফুল। খাবারের প্যাকেটের অঢেল আয়োজনে সকলে ধন্য ধন্য করত। ফিল্মপাড়ার চালু কথা—সিনেমা তৈরির নেশা সব নেশার সেরা। এই নেশায় অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এরকমই একজনকে দেখেছিলাম যিনি খ্যাত হয়েছিলেন ‘ক্ল্যাপস্টিক ডিরেক্টর’ নামে। মহরতের ক্ল্যাপস্টিক সিনটুকু তুলতেন তারপর ছবি শেষ করতে পারতেন না। বহুদিন পর তিনি একটি ছবি করেন, এমনই ভাগ্য ছবিটি সুপার ফ্লপ হয়। কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর আশির দশকের শেষে বৃদ্ধ বয়সে আবার এলেন ইন্দ্রপুরীর ফ্লোরে। বন্ধুরা বললেন, ‘আবার ছবি করছ, এই বয়সে কী লাভ হবে! কত টাকা ক্ষতি হয়েছে বল তো!’ সেই নির্ভীক ‘ক্ল্যাপস্টিক ডিরেক্টর বলেছিলেন, ‘নেশা বল আর যাই বল—টালিগঞ্জে টাকা হারিয়েছে বলে কী শ্যামবাজারে খুঁজলে পাব? টাকা যেখানে হারিয়েছি সেখান থেকেই তুলব।’ শ্রীভেঙ্কটেশ ফিল্মসের (এখন এসভিএফ) প্রথম ছবি ‘ভাই আমার ভাই’-এর মহরতে তাক লাগিয়েছিল তিন ঘণ্টার বৈদিক যজ্ঞ। এনটি ওয়ান স্টুডিওর স্কোরিং রুমের গা লাগোয়া একটা পিপুলগাছকে লাল সুতো জড়িয়ে তার সামনে বসে তিন পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণ সেদিনের স্টুডিওর চেহারাটাকে পাল্টে দিয়েছিল। তাদের ‘ঝিনুকমালা’, ‘সখি তুমি কার’ ছবির ক্ষেত্রেও একই দৃশ্য দেখেছি।
অম্লমধুর ঘটনার সাক্ষী থাকে স্টুডিওপাড়া। একবার এক বৈশাখী মহরতে ছবির পোস্টারে নামের অবস্থান নিয়ে বাংলা ছবির দুই মহারথী অঞ্জন চৌধুরী আর রঞ্জিত মল্লিকের সম্পর্কে ফাটল ধরে। মিঠুন চক্রবর্তীকে ছবির নামটি ছিল ‘বাঙালিবাবু’।
বাংলা সিনেমার সেই সোনার দিন আর নেই। সময়ের সঙ্গে অনেককিছুই হারিয়েছে। সেই সাবেক পয়লা বৈশাখের মহরতও আর হয় না। স্টুডিও পাড়ার সেই রীতি এখন শুধুই স্মৃতি।
15th  April, 2019
বাঙালির উৎসব মানেই স্বর্ণালঙ্কার
শ্যামলী বসু

 সেকালে মেয়েদের নিজস্ব সম্পত্তি বা স্ত্রীধন বলতে বোঝাত পরিবারের গিন্নি, মেয়ে, বউদের গয়নাপত্র। তাই সচ্ছল সম্পন্ন পরিবার থেকে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারেও বিয়ের সময় বউ-মেয়েদের সাধ্যমতো গয়না দেওয়া হত। বিশেষ করে মেয়েদের। গা ভরা সোনা-জড়োয়ার গয়নায় মেয়ে-বউদের রূপের জৌলুস বাড়বে।
বিশদ

15th  April, 2019
 হাওড়া-হুগলির মন্দিরে আজ লম্বা লাইন

  একটা সময় ছিল নববর্ষ মানেই দোকানে দোকানে হালখাতা। সারা বছরের ক্রেতাদের ওইদিন দোকানে আমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর রীতি ছিল। সেই রীতিতে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু, নববর্ষের সকালে লাল শালুতে মোড়া খাতা নিয়ে মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার চল এখনও আছে।
বিশদ

15th  April, 2019
দক্ষিণেশ্বর থেকে আমডাঙা ঢল নামবে ভক্তদের

  ‘এসো হে বৈশাখ এসো’। চৈত্রের পাতাঝরা দিন পেরিয়ে পয়লা বৈশাখের শুভ আগমন। বাঙালির নববর্ষ। আর পয়লা বৈশাখ মানেই মায়ের পায়ের সিঁদুর ছোয়ানো স্বস্তিক আঁকা চিহ্নের লাল মলাটের খাতা। মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে বছরের প্রথমদিনে যে খাতার সূচনা করেন ব্যবসায়ীরা। আপামোর বাঙালির কাছে যা ‘হালখাতা’ নামেই পরিচিত।
বিশদ

15th  April, 2019
হাতিবাগান জমজমাট!
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 হাতিবাগান আজ জমজমাট। আজ পয়লা বৈশাখ। স্টার থিয়েটারে শুরু হতে চলেছে নতুন নাটক ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। হাজারি ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পদ্ম ঝি করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পরিচালনায় বিভাস চক্রবর্তী। প্রথম শো উপলক্ষে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে স্টার থিয়েটার। হু হু করে টিকিট বিক্রি হয়েছে।
বিশদ

15th  April, 2019
নববর্ষে ময়দানে বারপুজোর অতীত গরিমা প্রায় বিলীন
রাতুল ঘোষ

পয়লা বৈশাখের দিন বারপুজোয় স্রেফ মজিদ বাসকারকে দেখার জন্য ইস্ট বেঙ্গল মাঠ সদস্য সমর্থকে ভরে গিয়েছিল।
বিশদ

15th  April, 2019
এক নববর্ষের দিনে
অহনা বিশ্বাস

 ঘণ্টা বাজছিল। মন্দিরে গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে কলকে গাছের ছায়ায় মেয়েকে নিয়ে বসে পড়লাম। পিছনে আরও পাঁচ বন্ধু তড়বড় করে ছেলেমেয়ের হাত ধরে এসে এখানে-ওখানে চটের ওপর বসে পড়ল। পৃথা তো তার গায়ক ছেলেকে একেবারে মন্দিরের দরজার পাশে বসিয়ে দিয়ে এল। ভেতরে সাদা পোশাকের পাঠভবনের বাচ্চারা। এস্রাজ বাজছে।
বিশদ

15th  April, 2019
পয়লা বৈশাখ মানেই আড্ডার ছবি
রূপা মজুমদার

 দেব সাহিত্য কটীর-এ পয়লা বৈশাখ পালন বলতে প্রথমেই ভেসে ওঠে ‘আড্ডার’ ছবি। আপাতদৃষ্টিতে ‘আড্ডা’কে কেউ কেউ ভালো চোখে দেখেন না, নিন্দুকেরা তো আড্ডাবাজ বলে বাঙালি জাতটাকেই কুখ্যাত করেছে। প্রকৃতপক্ষে ‘আড্ডা’ দেওয়া একটা আদিম ও অনাদি জীবধর্ম, বাঙালির মতো এ সত্যকে কেউ আর জীবনে এত বেশি স্বীকার করতে পারেনি।
বিশদ

15th  April, 2019
এল দিন নবীন বরণের
তরুণ চক্রবর্তী

 আজ ভোরের সূর্য ডেকে তুলেছে আমাদের নতুন দিনের জন্মতিথি এল বলে। বর্ষশেষে আমরা পেলাম আজ ১৪২৬ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ দিনটি। আর এই দিনটিকে নতুন করে পাব বলেই তো আমাদের ব্যস্ততা গত কয়েকদিন থেকে। পুরাতন বৎসরের জীর্ণ ক্লান্ত রাত্রিশেষে আমরা নববর্ষের এই প্রথম দিনটিতে জেগে উঠতে চাই নতুন অনুভবে।
বিশদ

15th  April, 2019
পুরনো কলকাতার পঞ্চব্যঞ্জন
সাধনা মুখোপাধ্যায়

নববর্ষ মানে হারানো বাঙালিয়ানা ফিরে পাওয়া। পয়লা বৈশাখ মানে পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনের আবাহন। আরও একটা বছর এগিয়ে গেলাম আমরা। নতুন বছরে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক সকলের জীবন। পরম করুণাময় ঈশ্বরের আশীর্বাদে দূরীভূত হোক সকল গ্লানি, আনন্দে মুখরিত হোক আকাশ-বাতাস। স্বাগত ১৪২৬।
বিশদ

15th  April, 2019
বাঙালির ফেসবুক লেখালিখি
সুমন সরকার

সিরিয়ালে যেমন দেখায় আর কী! বেশ ধুপের ধোঁয়া , পেছনে পুউউউ করে শঙ্খ বাজছে। আবির্ভাব হচ্ছে এক ন্যাড়া প্রভুর। সেইরকম এক ন্যাড়াপ্রভুর মতন ফেসবুক বাঙালির জীবনে আবির্ভূত হয়ে বললেন, ‘ওঠো, জাগো, পোস্ট করো। নিজে পোস্ট করে আর অন্যকে ট্যাগ করো।’ বাবাজিদের ব্যাপারে বাঙালিরা চিরকালই একটু বেশী চাপ নেয় ।
বিশদ

15th  April, 2019
সেকালের বইপাড়ায় নববর্ষের আড্ডা
সবিতেন্দ্রনাথ রায়

বইপাড়ায় আমি আজ থেকে প্রায় সত্তর বছর আগে কাজে ঢুকেছিলাম। তখন নামী বইয়ের দোকান বেশিরভাগ ছিল কলেজ স্ট্রিটে ট্রাম লাইনের রাস্তায়— দাশগুপ্ত, এস. কে. লাহিড়ী, সেন ব্রাদার্স, সেন রায়, ইউ. এন. ধর প্রভৃতি।
বিশদ

15th  April, 2019
আমার জন্যে এক মিনিট
জয়ন্ত দে

আসুন, আমার জন্য এক মিনিট শোক পালন করুন। মাত্র এক মিনিট!
কিছুদিন ধরে এই কথাটা আমি আমার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন সবাইকে বলেছি।
বিশদ

15th  April, 2019
নতুন বছরে বাঙালির বিত্তচিন্তা
শংকর

 জয় হোক বিশ্বসংসারের মানুষের, সেই সঙ্গে সুখে থাকুক আসমুদ্রহিমাচলে বহুযুগ ধরে জর্জরিত ভারতীয়রা এবং একই সঙ্গে সুখে থাকুক পৃথিবীর সেইসব পুরুষ ও নারী, যাঁরা নিজেদের বাঙালি বলে ভাবতে আজও ভালোবাসেন। পয়লা বৈশাখ, নববর্ষের শুভারম্ভে মানুষ হিসেবে যা প্রাপ্য তার থেকে তাঁরা যেন কোনও অজুহাতেই বঞ্চিত না হন।
বিশদ

15th  April, 2019
বাগবাজারে মায়ের বাড়ি গিয়ে আপনমনে গান গাইতেন বাবা
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়

সকালে চা দিয়ে শুরু। একটু বেলা গড়ালে শরবৎ, তারপর দুপুরলো বিশাল খাওয়া দাওয়া— শুক্তো, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মাছভাজা, মাছের ঝোল, টক সব মা রান্না করতেন। বিশদ

15th  April, 2019

Pages: 12345

একনজরে
আটের দশকের শেষ দিক। নাইজেরিয়া থেকে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন দীর্ঘদেহী মিডিও। নাম এমেকা এজুগো। পরবর্তীতে ১৯৯৪ বিশ্বকাপে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ময়দানের তিন প্রধানের ...

নির্বাচনী কাজে চরম ব্যস্ততা রয়েছে পুলিসের। এছাড়া ভোট আবহে নিত্যদিন বিভিন্ন সভা থেকে মিছিলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা সহ নাকা চেকিংয়ে চরম ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন ...

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভায় জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সাত বিধানসভার মধ্যে একমাত্র শ্রীরামপুরেই লিড পাননি ঘাসফুলের দাপুটে প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কেন্দ্রে পুরনো ...

এরাজ্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রথম কারখানা খুলবে মাদার ডেয়ারি। তা থেকে সরাসরি কর্মসংস্থান হতে পারে প্রায় ৪০০। কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস
১৮০৯: ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর জন্ম
১৮৫৩: এশিয়ায় প্রথম ট্রেন চালু হয়
১৮৮৮: সাহিত্যিক হেমেন্দ্রকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৬: অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের জন্ম
১৯৩০: ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়ে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখল করে
১৯৫৫ - নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যু
১৯৫৮ - ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের জন্ম
১৯৬২: অভিনেত্রী পুনম ধিলনের জন্ম
১৯৬৩: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফিল সিমন্সের জন্ম
১৯৭১: কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন
১৯৮০: জিম্বাবুইয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৮১: সুরকার, গীতিকার ও লোকগীতি শিল্পী তথা বাংলার লোকসঙ্গীতের প্রসারে ও প্রচারে যাঁর অবদান অসীম সেই নির্মলেন্দু চৌধুরীর মৃত্যু
১৯৮৬:  স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা, লোকসভার প্রাক্তন সদস্য অতুল্য ঘোষের মৃত্যু
১৯৯২: ক্রিকেটার কেএল রাহুলের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
17th  April, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী ৩০/৩৫ অপরাহ্ন ৫/৩২। অশ্লেষা নক্ষত্র ৬/৩৮ দিবা ৭/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৭/৪৩। সূর্যাস্ত ৫/৫৪/১৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৪ গতে ৩/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১০/২০ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১/০ মধ্যে। 
৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪। দশমী রাত্রি ৭/৫। অশ্লেষা নক্ষত্র দিবা ৯/৫২। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৬ গতে ৫/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৭ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

10:48:50 PM