Bartaman Patrika
 

সেকালের বইপাড়ায় নববর্ষের আড্ডা
সবিতেন্দ্রনাথ রায়

 বইপাড়ায় আমি আজ থেকে প্রায় সত্তর বছর আগে কাজে ঢুকেছিলাম। তখন নামী বইয়ের দোকান বেশিরভাগ ছিল কলেজ স্ট্রিটে ট্রাম লাইনের রাস্তায়— দাশগুপ্ত, এস. কে. লাহিড়ী, সেন ব্রাদার্স, সেন রায়, ইউ. এন. ধর প্রভৃতি। কিন্তু শ্যামাচরণ দে স্ট্রিট বা বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে তখন বড় বইয়ের দোকান নামমাত্র ছিল— এম. সি. সরকার অ্যান্ড সন্স, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্স, বেঙ্গল পাবলিশার্স। কলেজ স্কোয়ারের পূর্বদিকে উল্লেখযোগ্য বইয়ের দোকানের মধ্যে ছিল বিশ্বভারতী, বুক কোম্পানি, এ. মুখার্জি প্রভৃতি। চিত্তাকর্ষক ছিল প্যারামাউন্ট শরবতের দোকান।
কলেজ স্কোয়ারের চারধারে তখনও স্টল বসেনি। পুরনো বইয়ের দোকান ছিল ক্যালকাটা ওল্ড বুক স্টল। মালিক ছিলেন ইউসুফ ভাই। তাঁর প্রধান পরামর্শদাতা ছিলেন সত্যেন কর। সত্যেনবাবু সম্পর্কে সাহিত্যিক বিমল করের খুল্লতাত। তবে পুরনো দামি বই সব বিক্রি হতো প্রেসিডেন্সি কলেজের রেলিংয়ে রেখে এবং সামনে ফুটপাথে। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার সেন প্রমুখ পণ্ডিতেরা উবু হয়ে বই দেখছেন বা বাছছেন, এমন দৃশ্য বিরল ছিল না।
নববর্ষের দিন বইপাড়ার দৈনন্দিন চিত্রটা পাল্টে যেত। দু-চার দিন আগে থেকেই দোকান-ঘর পরিষ্কার হতো। কতকগুলি বইয়ের দোকানে নতুন খাতার পত্তন সহ গণেশ পুজো হতো। গেটের সামনে আমপাতা সোলার কদমফুল দিয়ে সাজানো হতো। তবে বেশিরভাগ দোকানে দেখা যেত— নতুন খাতা নিয়ে বইয়ের দোকানের মালিকরা কেউ কালীঘাটে, কেউ ঠনঠনিয়া কালীবাড়িতে আবার কেউ বা দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতেন।
টেলারিং শপগুলিতে সন্ধেবেলা থেকেই পুরাতন ক্রেতাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল। মিষ্টি, নোনতা নানারকম খাবারের ব্যবস্থা থাকত। এই দিনে ক্রেতারা সাধ্যমতো দেনা শোধ করতেন। বকেয়া টাকা তোলার এ একটা পদ্ধতি ছিল। এই হালখাতা বা টাকা জমা দেওয়া চীনেবাজারে ব্রাবোর্ন রোড অঞ্চলে কাগজের দোকানেও ছিল। সেখানে তো দু’দিন ধরেই ভিয়েন বসত। তখন বইপাড়ায় দুটি দোকানের আড্ডার খ্যাতি ছিল। এম. সি. সরকার অ্যান্ড সন্স এবং মিত্র-ঘোষ পাবলিশার্সে। এম. সি. সরকারে সুধীর সরকার মশাইকে ঘিরে প্রবীণ লেখকরা বসতেন— সে আড্ডার নাম ছিল হাউস অব লর্ডস। আর মিত্র-ঘোষে গজেন্দ্রকুমার মিত্র ও সুমথনাথ ঘোষকে কেন্দ্র করে অপেক্ষাকৃত নবীন সাহিত্যিকরা আড্ডা দিতেন— এটির নাম সে জন্য ছিল হাউস অব কমনস্‌।
আড্ডা প্রায় প্রতিদিনই বসত। নববর্ষের দিন অন্য চেহারা নিত। শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় তাঁর এস. পি. এম. (SPM) গাড়ি নিয়ে, সিল্কের পাঞ্জাবি কোঁচানো জরিপাড় ধুতি প্রায় লোটাতে লোটাতে ঢুকলেন। কই হে, কেমন আছ তোমরা? — বলে হাঁক পাড়লেন।
তখন ‘শহর থেকে দূরে’, ‘মানে না মানা’ প্রভৃতি চলচ্চিত্রের বিপুল সাফল্যে তিনি অগাধ অর্থের মালিক। তারাশঙ্করবাবুও গাড়ি নিয়ে আসতেন, সঙ্গে জ্যেষ্ঠ পুত্র সনৎকুমার। তারাশঙ্করের তখন বেশ কিছু বই চলচ্চিত্র হয়েছে। টালা পার্কে নতুন বাড়ি করেছেন, গাড়ি কিনেছেন। বিধানচন্দ্র রায়ের সরকারের মন্ত্রী বিমলচন্দ্র সিংহও গাড়ি নিয়ে আসতেন। সাহিত্যের নেশা ছিল। নিজে ভালো লিখতেনও।
কাউন্টারে অর্ধেক টেবিল জুড়ে বসতেন কবিশেখর কালিদাস রায়, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। বাকি অংশে সংকুচিতভাবে বইয়ের বেচা-কেনা। দোকানঘরের ভেতরেও অনেক লেখক। খরিদ্দার আড্ডার তুমুল হাসি কলরব দেখে চমকে যেত। একেই বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, আগে জানতুম— যদি হয় সুজন তেঁতুলপাতায় ন’জন। আমি এখানে দেখি, গজেনবাবুর তেঁতুলপাতায় আঠারোজন বসে দিব্যি আড্ডা চালাচ্ছেন।
আড্ডায় তারাশঙ্করকে দেখেই কালিদাস রায় বলে উঠলেন, আরে তারাশঙ্কর যে, কতদিন পরে দেখলাম টালার সম্রাটকে।
তারাশঙ্কর মৃদু হেসে বললেন, আমার মতো সামান্য মানুষকে সম্রাট বলছেন দাদা, আপনিও তো টালিগঞ্জের সম্রাট, রসচক্রের কর্ণধার।
কবিশেখর কালিদাস রায়ের বাড়ি ছিল ১৩ নম্বর চারু এভিনিউতে। টালিগঞ্জ রেল ব্রিজের কাছে। একই রাস্তায় পর পর থাকতেন শশিভূষণ দাশগুপ্ত, হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
কালিদাসবাবু বললেন, তোর পাড়া আর আমার পাড়া নিয়ে ইংরেজি, বাংলা মিশিয়ে একটা প্রবাদ চালু হয়ে গেছে— কোনও দুর্লভ জিনিস কেউ খুঁজে না পেলেই বলে— টালা টু টালিগঞ্জ কোথাও পাইনি।
আড্ডার মধ্যেই সুনীতিবাবু বললেন, গজেনবাবু, আজ আর শুধু মুড়ি-বেগুনি, ডালমুটে হবে না, সন্দেশ আনান।
তারপর বইপাড়ায় স্টলের সংখ্যা আরও বাড়তে লাগল। স্টলের ঘেরাটোপে কলেজ স্কোয়ারের জল, বিদ্যাসাগরের মূর্তি সব ঢেকে গেল। ডেভিড হেয়ারের মূর্তিও প্রায় অদৃশ্য। দিনে দিনে বইপাড়া আরও ঘিঞ্জি হয়ে উঠল। আমাদের আড্ডাও বাধ্য হয়ে মহাত্মা গান্ধী রোডের উপর পাশাপাশি দুটি বাড়িতে উঠে গেল— ৮৪এ মহাত্মা গান্ধী রোড এবং ৮৬/১ মহাত্মা গান্ধী রোড। এতটা জায়গা পেয়ে আড্ডা আরও জমজমাট হয়ে উঠল। গজেনবাবুর মধ্যে একবার টেকিকার্ডিয়া হল— এতে নাড়ির স্পন্দন হঠাৎ বেড়ে যায়, অনেকটা অ্যালার্জির মতো। একটা বিশেষ ইজিচেয়ার আনানো হল, যাতে দরকার মতো লম্বা করে শোয়ার ব্যবস্থাও হতে পারে। দেখা গেল সবারই সেই চেয়ারটায় লোভ, মাঝে মাঝেই গজেনবাবুকে ছেড়ে দিতে হয়। আড্ডার মধ্যমণি প্রমথনাথ বিশী নববর্ষের দিন ভিড় বেশি দেখে চেয়ার ছেড়ে সাময়িক প্রয়োজনে ওঠবার সময়ে নিজের রুমালটা রেখে উঠতেন। এই আড্ডাতেই প্রমথবাবু একটা লাইন টানা খাতা এনে একদিন বললেন— এই খাতাটার নাম দিলাম— খেয়ালখুশির খাতা, যার যা ইচ্ছে হবে লিখবেন। একটা সময়ের ইতিহাস ছড়িয়ে আছে এই খাতাতে।
শশিভূষণ দাশগুপ্তের মারাত্মক ব্যাধিতে বিজনবিহারী ভট্টাচার্যের মনঃকষ্ট,অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের আশ্বাস— ‘জীবন-যখন তৃষ্ণাকাতর যখন বীততৃষ্ণ,
স্মরণ কোরো শরণাগত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ।’
৬.১.১৯৬৭ সালে ‘রম্যানি বীক্ষ্য’র লেখক সুবোধকুমার চক্রবর্তী লেখেন— আমি লাইন মানব না। (খাতা বাঁকিয়ে নিয়ে লিখলেন) কিন্তু বেলাইনে বলব কী? এর নীচে প্রমথনাথ বিশী লিখলেন— সুবোধবাবু লাইন মানেননি। তিনি রেলে কাজ করেন। এখন রেলগাড়িও লাইন মানে না। লেখা ছাড়াও এই খাতায় ছড়িয়ে আছে আশু বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্র দুগার প্রমুখ বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা ছবি। নববর্ষে আগে প্রচুর নতুন বই বেরত। চৈত্র মাস থেকেই তোড়জোড় শুরু হতো।
আজও নববর্ষ হয়। তবে আমরা এই সময়ে এমন কিছু করতে চাই না যাতে শুধু নিজের লাভ এবং অপরের ক্ষতি হয়। আর এখন কলেজ স্কোয়ারে তো নববর্ষের বইমেলাই হচ্ছে— বারো দিন ধরে। সেখানে সবাই পাবে বই বিক্রির সুযোগ। পাঠকরাও পাবেন কম দামে।
15th  April, 2019
বাঙালির উৎসব মানেই স্বর্ণালঙ্কার
শ্যামলী বসু

 সেকালে মেয়েদের নিজস্ব সম্পত্তি বা স্ত্রীধন বলতে বোঝাত পরিবারের গিন্নি, মেয়ে, বউদের গয়নাপত্র। তাই সচ্ছল সম্পন্ন পরিবার থেকে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারেও বিয়ের সময় বউ-মেয়েদের সাধ্যমতো গয়না দেওয়া হত। বিশেষ করে মেয়েদের। গা ভরা সোনা-জড়োয়ার গয়নায় মেয়ে-বউদের রূপের জৌলুস বাড়বে।
বিশদ

15th  April, 2019
 হাওড়া-হুগলির মন্দিরে আজ লম্বা লাইন

  একটা সময় ছিল নববর্ষ মানেই দোকানে দোকানে হালখাতা। সারা বছরের ক্রেতাদের ওইদিন দোকানে আমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর রীতি ছিল। সেই রীতিতে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু, নববর্ষের সকালে লাল শালুতে মোড়া খাতা নিয়ে মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার চল এখনও আছে।
বিশদ

15th  April, 2019
দক্ষিণেশ্বর থেকে আমডাঙা ঢল নামবে ভক্তদের

  ‘এসো হে বৈশাখ এসো’। চৈত্রের পাতাঝরা দিন পেরিয়ে পয়লা বৈশাখের শুভ আগমন। বাঙালির নববর্ষ। আর পয়লা বৈশাখ মানেই মায়ের পায়ের সিঁদুর ছোয়ানো স্বস্তিক আঁকা চিহ্নের লাল মলাটের খাতা। মায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে বছরের প্রথমদিনে যে খাতার সূচনা করেন ব্যবসায়ীরা। আপামোর বাঙালির কাছে যা ‘হালখাতা’ নামেই পরিচিত।
বিশদ

15th  April, 2019
হাতিবাগান জমজমাট!
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 হাতিবাগান আজ জমজমাট। আজ পয়লা বৈশাখ। স্টার থিয়েটারে শুরু হতে চলেছে নতুন নাটক ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। হাজারি ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পদ্ম ঝি করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। পরিচালনায় বিভাস চক্রবর্তী। প্রথম শো উপলক্ষে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে স্টার থিয়েটার। হু হু করে টিকিট বিক্রি হয়েছে।
বিশদ

15th  April, 2019
নববর্ষে ময়দানে বারপুজোর অতীত গরিমা প্রায় বিলীন
রাতুল ঘোষ

পয়লা বৈশাখের দিন বারপুজোয় স্রেফ মজিদ বাসকারকে দেখার জন্য ইস্ট বেঙ্গল মাঠ সদস্য সমর্থকে ভরে গিয়েছিল।
বিশদ

15th  April, 2019
এক নববর্ষের দিনে
অহনা বিশ্বাস

 ঘণ্টা বাজছিল। মন্দিরে গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠে কলকে গাছের ছায়ায় মেয়েকে নিয়ে বসে পড়লাম। পিছনে আরও পাঁচ বন্ধু তড়বড় করে ছেলেমেয়ের হাত ধরে এসে এখানে-ওখানে চটের ওপর বসে পড়ল। পৃথা তো তার গায়ক ছেলেকে একেবারে মন্দিরের দরজার পাশে বসিয়ে দিয়ে এল। ভেতরে সাদা পোশাকের পাঠভবনের বাচ্চারা। এস্রাজ বাজছে।
বিশদ

15th  April, 2019
পয়লা বৈশাখ মানেই আড্ডার ছবি
রূপা মজুমদার

 দেব সাহিত্য কটীর-এ পয়লা বৈশাখ পালন বলতে প্রথমেই ভেসে ওঠে ‘আড্ডার’ ছবি। আপাতদৃষ্টিতে ‘আড্ডা’কে কেউ কেউ ভালো চোখে দেখেন না, নিন্দুকেরা তো আড্ডাবাজ বলে বাঙালি জাতটাকেই কুখ্যাত করেছে। প্রকৃতপক্ষে ‘আড্ডা’ দেওয়া একটা আদিম ও অনাদি জীবধর্ম, বাঙালির মতো এ সত্যকে কেউ আর জীবনে এত বেশি স্বীকার করতে পারেনি।
বিশদ

15th  April, 2019
এল দিন নবীন বরণের
তরুণ চক্রবর্তী

 আজ ভোরের সূর্য ডেকে তুলেছে আমাদের নতুন দিনের জন্মতিথি এল বলে। বর্ষশেষে আমরা পেলাম আজ ১৪২৬ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ দিনটি। আর এই দিনটিকে নতুন করে পাব বলেই তো আমাদের ব্যস্ততা গত কয়েকদিন থেকে। পুরাতন বৎসরের জীর্ণ ক্লান্ত রাত্রিশেষে আমরা নববর্ষের এই প্রথম দিনটিতে জেগে উঠতে চাই নতুন অনুভবে।
বিশদ

15th  April, 2019
পুরনো কলকাতার পঞ্চব্যঞ্জন
সাধনা মুখোপাধ্যায়

নববর্ষ মানে হারানো বাঙালিয়ানা ফিরে পাওয়া। পয়লা বৈশাখ মানে পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনের আবাহন। আরও একটা বছর এগিয়ে গেলাম আমরা। নতুন বছরে সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক সকলের জীবন। পরম করুণাময় ঈশ্বরের আশীর্বাদে দূরীভূত হোক সকল গ্লানি, আনন্দে মুখরিত হোক আকাশ-বাতাস। স্বাগত ১৪২৬।
বিশদ

15th  April, 2019
বাঙালির ফেসবুক লেখালিখি
সুমন সরকার

সিরিয়ালে যেমন দেখায় আর কী! বেশ ধুপের ধোঁয়া , পেছনে পুউউউ করে শঙ্খ বাজছে। আবির্ভাব হচ্ছে এক ন্যাড়া প্রভুর। সেইরকম এক ন্যাড়াপ্রভুর মতন ফেসবুক বাঙালির জীবনে আবির্ভূত হয়ে বললেন, ‘ওঠো, জাগো, পোস্ট করো। নিজে পোস্ট করে আর অন্যকে ট্যাগ করো।’ বাবাজিদের ব্যাপারে বাঙালিরা চিরকালই একটু বেশী চাপ নেয় ।
বিশদ

15th  April, 2019
আমার জন্যে এক মিনিট
জয়ন্ত দে

আসুন, আমার জন্য এক মিনিট শোক পালন করুন। মাত্র এক মিনিট!
কিছুদিন ধরে এই কথাটা আমি আমার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজন সবাইকে বলেছি।
বিশদ

15th  April, 2019
স্টুডিওপাড়ার মহরত এখন শুধু স্মৃতি
গুঞ্জন ঘোষ

 বাংলা ছায়াছবির জগতে পয়লা বৈশাখের মহরৎ কবে থেকে চালু হয়েছে তার সঠিক হিসেব নেই। শুভ মুহূর্তে শুভ উদ্যোগের সাফল্য কামনায়এই মাঙ্গলিক উপাচার। সঙ্গে লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা। সিনেমা যে বানিজ্যেরই অংশ।
বিশদ

15th  April, 2019
নতুন বছরে বাঙালির বিত্তচিন্তা
শংকর

 জয় হোক বিশ্বসংসারের মানুষের, সেই সঙ্গে সুখে থাকুক আসমুদ্রহিমাচলে বহুযুগ ধরে জর্জরিত ভারতীয়রা এবং একই সঙ্গে সুখে থাকুক পৃথিবীর সেইসব পুরুষ ও নারী, যাঁরা নিজেদের বাঙালি বলে ভাবতে আজও ভালোবাসেন। পয়লা বৈশাখ, নববর্ষের শুভারম্ভে মানুষ হিসেবে যা প্রাপ্য তার থেকে তাঁরা যেন কোনও অজুহাতেই বঞ্চিত না হন।
বিশদ

15th  April, 2019
বাগবাজারে মায়ের বাড়ি গিয়ে আপনমনে গান গাইতেন বাবা
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়

সকালে চা দিয়ে শুরু। একটু বেলা গড়ালে শরবৎ, তারপর দুপুরলো বিশাল খাওয়া দাওয়া— শুক্তো, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মাছভাজা, মাছের ঝোল, টক সব মা রান্না করতেন। বিশদ

15th  April, 2019

Pages: 12345

একনজরে
বাটলারের বিস্ফোরণ এখনও ভোলেনি ইডেন। ব্যাট হাতে কেকেআরের বিরুদ্ধে রুদ্রমূর্তি ধরেন রাজস্থানের তারকা ব্যাটার। ঘরের মাঠে কেকেআরকে হারানোর নায়ক তিনি। স্টার্ক, বরুণদের কার্যত বল ফেলার জায়গা দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...

আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হবে উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোট ৩৭ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ...

বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: পাঞ্জাবকে ৯ রানে হারাল মুম্বই

18-04-2024 - 11:50:54 PM

আইপিএল: ২১ রানে আউট হরপ্রীত ব্রার, পাঞ্জাব ১৮১/৯ (১৯ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:46:48 PM

আইপিএল: ৬১ রানে আউট আশুতোষ শর্মা, পাঞ্জাব ১৬৮/৮ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:36:00 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি আশুতোষ শর্মার, পাঞ্জাব ১৫১/৭ (১৫.৩ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:22:48 PM

আইপিএল: ৪১ রানে আউট শশাঙ্ক সিং, পাঞ্জাব ১১১/৭ (১২.১ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 11:02:15 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট জীতেশ শর্মা, পাঞ্জাব ৭৭/৬ (৯.২ ওভার) টার্গেট ১৯৩

18-04-2024 - 10:48:50 PM