কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শুরুটা করা যাক ১৯৯৮-’৯৯ থেকে। তখনও রাজ্যে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং একটি-দুটি, বায়োটেকনোলজি বা মাইক্রোবায়োলজির কোর্স রাজ্যে নেই বললেই চলে। দক্ষিণের উদ্দেশে বিশেষ ট্রেনে ঠাঁই পাওয়া ছিল দুষ্কর ব্যাপার। টুয়েলভের গণ্ডি পেরতে না পেরতে হাজির হতো কর্ণাটক বা তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে। সেই সময় হাজির এক দম্পতি। দু’জনেই সরকারি চাকুরে। অভিভাবকরা হাজির, কিন্তু প্রার্থী কোথায়? উত্তর এল বেঙ্গালুরুতে। তারপর ধীরে ধীরে বেরতে শুরু করল বেঙ্গালুরু রহস্যের ঘটনা। ক্লাস টুয়েলভের পর কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে কেরিয়ার ফেয়ারের নাম করে স্পট অ্যাডমিশন করিয়েছিলেন ছেলেকে। কথা ছিল বায়োটেকনোলজিতে অনার্স। বাস্তবে তা নয়, গ্র্যাজুয়েশনে একটি বিষয় হিসেবে ছিল বায়োটেকনোলজি। প্রথম বছর হোস্টেল দিলেও, দ্বিতীয় বছর বলা হল নিজের থাকার ব্যবস্থা নিজেই করে নিতে। বিস্ময় আরও বাকি ছাত্রছাত্রী সেই বছরে গোটা কুড়ি। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ বাঙালি। স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরা একেবারেই ভর্তি হয়নি কলেজটিতে। এমনকী কলেজটির নিজের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পর্যন্ত ছিল না। এমতাবস্থায় ছাত্রের অভিভাবকরা কী করবে সেটাই ছিল জিজ্ঞাস্য। ভুল করেছেন বা দেরি করে এসেছেন— এসব বলে সান্ত্বনা দিলেও নিজে সেদিন বুঝেছিলাম কত লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সন্তানের ভবিষ্যতের ইতি টানতে দক্ষিণমুখো হচ্ছেন কত অভিভাবক। তবে এটা যে এখনও হচ্ছে না বা এখানেও হচ্ছে না, তা নয়। সে সব আলোচনা আর ঘটনা পরবর্তী সংখ্যাতে আলোচনা হবে ।