পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এসব জায়গায় কানে শুনতে না পাওয়া বা শোনার অসুবিধা দূর করার জন্য সাহায্য করেন অডিলজিস্টরা। আবার যাদের কথা বলার অসুবিধা, ভাষা বোঝার অসুবিধা, গলার স্বর সংক্রান্ত অসুবিধা তাদের দেখার জন্য রয়েছেন স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথোলজিস্ট।
এখন এ রাজ্য থেকেও স্নাতক স্তরে অডিওলজি এবং স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথোলজি নিয়ে পড়ে নেওয়া যায়। এই কোর্সের মধ্যে রয়েছে স্পিচ প্যাথোলজি, ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাথোলজি, এবং অডিওলজি। পুরো বিষয়টি লিঙ্গুয়িস্টিক, ইলেক্ট্রনিক্স, অ্যাকুইস্টিক, সাইকোলজি, এবং স্ট্যাটিস্টিক্স-এর উপর নির্ভরশীল। যে মেডিক্যাল বিষয়গুলি এই কোর্সের ভিত্তি হিসাবে রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, প্যাথোলজি, অটোল্যারিঙ্গোলজি, নিউরোলজি এবং পেডিয়াট্রিক্স। এখানে বিশেষ টেকনিক এবং মেথড ব্যবহার করে কানে শোনা, কথা বলা বা ভারসাম্যজনিত সমস্যার সমাধান করা হয়। ব্যাচেলর অব অডিওলজি অ্যান্ড স্পিচ প্যাথোলজি চার বছরের কোর্স। এখানে পুরো কোর্সটি থিওরেটিক্যাল এবং ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস এই দুই ভাগে পড়ানো হয়।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড আয়োজিত প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করে এই কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। পরীক্ষায় বসার জন্য কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, ম্যাথমেটিক্স এবং ফিজিক্স নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
পড়া শেষে কাজের জগতে ভালো সুযোগ রয়েছে। সরকারি সচেতনতা প্রকল্পের অংশীদার হওয়া যায় এই কোর্স শেষ করে। এছাড়াও সুযোগ রয়েছে অডিওলজিস্ট, ক্লিনিক্যাল সুপারভাইজার, স্পিচ প্যাথোলজি রিডার, রিসার্চার, ফ্যাকাল্টি হওয়ার এবং কাউন্সিলর হওয়ার। কাজের সুযোগ রয়েছে অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠানে, হেয়ারিং এইড ইমপ্ল্যান্ট ইন্ডাস্ট্রিতে, মেডিক্যাল হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এবং স্কুলে স্পেশাল এডুকেটর হিসাবে।
কাজে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই বার্ষিক প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই আয় বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭.৫ লাখ টাকায়।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস-এর স্বীকৃতি নিয়ে এই বিষয়টি পড়ানো হবে এ বছর থেকে। ৫ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত অন লাইনে আবেদন করা যাবে। দেখে নেওয়া যেতে পারে www.wbuhs.ac.in সাইটটি।
ছবি সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে