গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলার উপকৃষি অধিকর্তা রঞ্জন রায়চৌধুরী বলেন, আমাদের যেটুকু মনে হচ্ছে, খুব সমস্যার কিছু নেই। রবি শস্য চাষ কিছুটা প্রভাবিত হতে পারে। তবে রোদ ঠিকঠাক উঠলে সামাল দিতে সমস্যা হবে না। উল্লেখ্য, চলতি বছরে বর্ষা দেরিতে আসায় আমন ধান লাগাতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। এখন কোথাও চাষিরা সবে ধান কাটা শুরু করেছেন, কোথাও আবার গোলায় তোলার অপেক্ষায় মাঠেই ডাঁই করে রাখা হয়েছে ধান। কোথাও আবার পাকা ধান গাছেই রয়েছে। ফলে আমন ধান চাষও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, যে দোফসলি জমিগুলিতে রবি চাষ শুরু করেছিলেন চাষিরা, বৃষ্টি সেই জমির চাষ প্রায় ধুয়ে দিয়ে গিয়েছে। প্রান্তিক সেইসব চাষিরা মহাজনের দাদনে রবি চাষ শুরু করেছিলেন। লাঙল দিয়ে জমি তৈরির পর সর্ষে, গম লাগিয়েছিলেন। বৃষ্টি সবই ধুয়ে দিয়েছে বলে তাঁদের আক্ষেপ। সব্জি চাষেও ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। জেলা কৃষি দপ্তরের এক কর্তা বলেন, নদীয়া জেলায় এই সময় বহু জায়গায় লঙ্কা, বাঁধাকপি, ফুলকপির চাষ হয়েছে। সেইসব চারাগাছ রয়েছে। বৃষ্টিতে জমিতে জল জমে যাওয়ায় সব্জি চাষও কিছুটা প্রভাবিত হতে পারে। বাঁধাকপি এবং ফুলকপির ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। নদীয়া জেলায় গত দু’বছর গম চাষ বন্ধ থাকায় বেড়েছে ভুট্টার চাষ। সেই ভুট্টা এখন ছোট অবস্থায় মাঠে রয়েছে। তবে এরপর আর নিম্নচাপ না হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে। রঞ্জনবাবু বলেন, গোটা পরিস্থিতির উপরেই আমাদের নজর রয়েছে। আর বুলবুলে কোথায় কী ক্ষতি হয়েছে, সে রিপোর্টও আমরা তৈরি করছি।