গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বাড়উত্তরহিংলি, দেউলপোতা অঞ্চলে চাষের জমিতে বেশি জল জমেছে। ফলে ওই এলাকাগুলিতে চাষবাস চলছে। কৃষি দপ্তরের ১০০হেক্টরের ধানের প্রদর্শনক্ষেত্রগুলিতেও ধান রোয়া হয়ে গিয়েছে। প্রদর্শনক্ষেত্রগুলিতে স্বর্ণসাবওয়ান উচ্চফলনশীল প্রজাতির ধান চাষ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিন দশেক আগেও বৃষ্টির অভাবে হলদিয়া ব্লকের চাষ নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন চাষিরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাজুড়েই এখনও ৪০ শতাংশের বেশি বৃষ্টির ঘাটতি রয়ে গিয়েছে। জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা(শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, হলদিয়া ও তমলুক মহকুমায় বৃষ্টি হলেও কাঁথি ও এগরা মহকুমায় বৃষ্টির অভাবে চাষ থমকে রয়েছে। অল্প জলেই হলদিয়া ও তমলুকের ব্লকগুলিতে চাষবাস শুরু করেছেন চাষিরা। তবে অনেক জায়গাতেই চাষিদের দু’বার করে মাঠে চাষ দিতে হয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রথমে যাঁরা মাঠ চষেছিলেন, সেখানে ঘাস জমে গিয়েছে। এর ফলে চাষিদের বাড়তি খরচ হচ্ছে, সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা।
জেলা কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, পরপর নিম্নচাপ হলেও আকাশ মেঘলা করে থাকছে, বিক্ষিপ্তভাবে সামান্য বৃষ্টি হচ্ছে। একটানা ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে ধান চাষের মতো জল জমছে না। সেজন্য মাঠে সামান্য জল জমলেও পাওয়ার টিলার নামিয়ে চাষ দিয়ে ধান রোয়ার কাজে নামতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা দিনরাত সরকারি বেসরকারি সমস্ত ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার ওয়েবসাইট খুলে বসে রয়েছেন। তাঁরা ল্যাপটপে নিয়মিত আবহাওয়ার ওয়েবসাইটে নজরদারি চালাচ্ছেন।
কৃষিদপ্তর জানাচ্ছে, জেলায় ২লক্ষ ৫৫হাজার হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়। এখন পর্যন্ত ৫০শতাংশের মতো জমিতে ধান রোয়ার কাজ হয়েছে। তবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত আমন ধান রোপণের সময় রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগের বীজতলা নষ্ট হবে যাবে। সেজন্য এগরা ও কাঁথির অনেক এলাকাতেই ১০১০ প্রজাতির ধানের মতো স্বল্পমেয়াদি আমনের বীজতলা ফেলা হচ্ছে। দেরিতে বৃষ্টি হওয়ার কারণেই চাষিরা বাধ্য হচ্ছেন দু’বার করে বীজতলা ফেলতে। -নিজস্ব চিত্র