কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই জাতগুলির মধ্যে যে কোনও একটি সঠিক নিয়ম মেনে জমিতে বুনলে ভালো উৎপাদন পাওয়া যাবে। বীজ বসানোর আগে ভালো করে বীজ শোধন করে নিতে হবে। প্রতি কেজি বীজের সঙ্গে ম্যানকোজেব ৭৫ শতাংশ ৩ গ্রাম বা থাইরাম ৭৫ শতাংশ ২ গ্রাম বা ক্যাপটান ৭৫ শতাংশ ২ গ্রাম হারে ভালোভাবে মেশালেই বীজ শোধন হয়ে যাবে। বিঘা প্রতি বীজ লাগবে ৭ কেজি। বীজ সারিতে বোনার সময় ১.৫ বাই ১ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সারের প্রয়োগ হবে বিঘা প্রতি ৬ কেজি ইউরিয়া, ৫০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট ও সাড়ে তেরো কেজি মিউরিয়েট অফ পটাশ মূলসার হিসেবে। জৈবসার যতটা পরিমাণ জোগান থাকবে, ততটা পরিমাণ প্রয়োগ করলেই হবে।
মাটিতে অণুখাদ্যের অভাব থাকলে তা প্রয়োগ করতে হবে। সয়াবিনের চাষে চাপানসার প্রয়োগের দরকার হয় না। সেচ ও পরিচর্যার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ফুল আসার পর কমপক্ষে ২টি সেচ অবশ্যই দিতে হবে। ফুল আসার পর থেকে ১০ দিন অন্তর সেচ প্রয়োগ করতে পারলে ভালো। এছাড়া প্রাথমিক বাড়ন্ত অবস্থায় একটি সেচ দেওয়ার সুযোগ থাকলে সেচের প্রয়োগ হলে ভালো হবে উৎপাদন। জমিকে সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। রোগ ও পোকা নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। গোড়া পচা রোগ হলে প্রতি লিটার জলে ৪ গ্রাম কপার অক্সিক্লোরাইড গুলে গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে।
সয়াবিনে পাতায় দাগ রোগ দেখা দেয়। পাতায় বাদামি দাগ হলে প্রতি লিটার জলে ০.৫ গ্রাম মাইক্লোবুটানিল বা ১ গ্রাম কার্বক্সিন স্প্রে করতে হবে। পাতা ও শুঁটি ছিদ্রকারি পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতি লিটার জলে ০.৭৫ গ্রাম অ্যাসিফেট বা ১.৫ মিলি ক্লোরোপাইরিফস ও সাইপারমেথ্রিন গুলে প্রয়োগ করতে হবে। ভালো বীজ পেতে স্থানীয় কৃষি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সয়াবিন চাষে কৃষি দপ্তর থেকেও বিভিন্নভাবে উৎসাহ দেওয়া হয় এবং বিভিন্নভাবে সাহায্য করা হয়।