পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কীভাবে চলছে এই গ্রাফটিং? এর উত্তরে এক নার্সারির কর্মী রাকিবুল গাজি, আশাদুল গাজি ও ইউনুস গাজি জানিয়েছেন, এর জন্য লাগছে ধারালো ৬ ইঞ্চির কাটারি, দেড় ফুট লম্বা পলিথিন বা প্লাস্টিকের ফিতে। গ্রামে মিলছে ন্যাড়া ৬ ইঞ্চির কাণ্ড সহ শিকড় সমেত মাটিতে মোড়া চারাগাছের গোড়া। দাম প্রতিটি ১০ টাকা। এবার গ্রাফটিংয়ের পালা। প্রথমে ন্যাড়া কাণ্ড সমেত চারাগাছ গোড়া এনে কাটারি দিয়ে কাণ্ডটির ৪ ইঞ্চির মতো বেশ খানিকটা চেঁচে ফেলতে হবে। এর একেবারে নীচে রাখতে হবে সামান্য পাটাতন। এবার মা গাছের ৪ ফুট লম্বা ডাল আনতে হবে। ডালটির প্রতিটি পর্ব থেকে ৪ ইঞ্চি নীচে কেটে নিতে হবে। পর্বের ঠিক নীচে থেকে একেবারে নীচে পর্যন্ত ৪৫ ডিগ্রি কোণে চেঁচে ফেলতে হবে। এবার পর্বকে উপরে রেখে গোটা অংশটি নিয়ে বসিয়ে দিতে হবে ন্যাড়া কাণ্ড সমেত চারাগাছে। এবার সবটাই মুড়ে দিতে হবে প্লাস্টিক ফিতেতে। এভাবে বহু গ্রাফটিং করা চারাগাছে স্প্রে করে জল দিতে হবে। এর ঠিক এক মাস বাদে প্রতিটি পর্ব থেকে নতুন চারাগাছ বের হবে।
রাকিবুল গাজি আরও জানান, তাঁরা বীজবিহীন লেবুর মা গাছ এনেছেন বাংলাদেশের খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা থেকে। আর আপেল পেয়ারা আনিয়েছেন বাংলাদেশের যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহকুমা থেকে। আর তাঁদের নার্সারির ল্যাংড়া ও আম্রপালি আমের মা গাছ আনিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে। গ্রাফটিংয়ের চারাগাছ বিক্রি করাই তাঁদের ব্যবসা। এবার তাঁরা চেষ্টা করছেন আপেল, ড্রাগনফ্রুট ও লিচুর গ্রাফটিং করার জন্য। এটা হবে বসিরহাট অঞ্চলে তাঁদের নতুন নার্সারিতে। চারাগাছ তৈরিতে খরচ মাত্র ১৫ টাকা। তবে মা গাছ আনতে খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়।