পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এরপর নমুনাগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে হবে। এবং নুড়ি, পাথর, আগাছা, ফসলের অংশ বেছে ফেলে দিতে হবে। তার পর পলিথিনের উপর মাটির নমুনা বর্গাকারে ছড়িয়ে কোণাকুনিভাবে দু’টি লাইন টানতে হবে। তা হলে মাটির নমুনা চারভাগে ভাগ হয়ে যাবে। কোণাকুনি লাইনের একদিকের দুটি ভাগ বাদ দিয়ে বাকি দুটি ভাগ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এভাবে ৫০০ গ্রাম মাটির নমুনা তৈরি করতে হবে। ৫০০ গ্রাম মাটির নমুনা একটি পলিথিন ব্যাগে ভরে ভালো করে এঁটে দিতে হবে। নমুনার সঙ্গে কী কী তথ্য দিতে হবে তা স্থানীয় কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক বা কৃষি আধিকারিকের কাছে জেনে নিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে পাঠাতে হবে। কোনওভাবে কাদামাটি নমুনা হিসেবে দেওয়া যাবে না। মাটি পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়ে যেতে হবে জেলায় অবস্থিত কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে অথবা রাজ্য সরকারের মাটি পরীক্ষাগারে বা সরকার অনুমোদিত বেসরকারি সংস্থার মাটি পরীক্ষাগারে। এছাড়া ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগারেও মাটির নমুনা পরীক্ষা করানো যেতে পারে। এ ব্যাপারে স্থানীয় কৃষি প্রযুক্তি সহায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির গুণাগুন এবং ওই মাটিতে গাছের উপযোগী খাবার কী কী পরিমাণে আছে তা বুঝে নিয়ে মাটির অম্লত্ব ও ক্ষারত্বের মান অনুযায়ী অম্লত্ব ও ক্ষারত্ব সংশোধন করে নিয়ে জমিতে চাষ শুরু করতে হবে। ফসল ফলানোর জন্য ইচ্ছেখুশি মতো সার ব্যবহার না করে মাটি পরীক্ষার ফল অনুযায়ী মাটিতে গাছের খাবার কী কম রয়েছে, তা দেখে কৃষি আধিকারিকদের সুপারিশ মতো সার প্রয়োগ করে চাষ করতে হবে।
মাটি পরীক্ষার পর কোন জমিতে কী ধরনের ফসল ভালো হবে, তা জেনে নিয়ে চাষ করলে ফসল ভালো হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। চাষিরা তাঁদের জমির মাটি পরীক্ষার জন্য জেলায় যে কোনও মাটি পরীক্ষাগারে গেলে পরিষেবা পেয়ে যাবেন।