বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, নানা ধরনের হারিয়ে যাওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি গাছ সংরক্ষণের জন্য সংস্থা এই ভেষজ বাগান তৈরি করেছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঋষি কৃষি’। রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এই প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন। ভারত ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা সহ বিভিন্ন দেশের নানা ধরনের ঔষধি গাছ এখানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কৃষি বিজ্ঞানী ও সংস্থার পরিবেশ বিভাগের তত্ত্বাবধানে। ছাত্রছাত্রীদের এই গাছ চেনাতে ভিজিটের ব্যবস্থা করা হয় নিয়মিত।
তিনি বলেন, পরিবেশ বাঁচানোর ভাবনাচিন্তার জন্য ভেষজ বাগানের পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ প্রকল্প শুরু হয়েছে সংস্থার উদ্যোগে। গ্রিন বেল্ট তৈরির জন্য ১ লক্ষ গাছ লাগানোর কাজ চলছে জোরকদমে। পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এই প্রকল্পের সূচনা করেছেন। স্কুল পড়ুয়াদের মাধ্যমে এলাকায় ফলের গাছ লাগানোর জন্য ‘বসুন্ধরা’ প্রকল্প শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ বাঁচাতে কারখানার মূল কার্যালয়টিকে গ্রিন বিল্ডিং হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। সংস্থার আধিকারিক বিদুষরঞ্জন সেন বলেন, কারখানার গ্রিন বেল্ট প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভেষজ বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। মূল প্ল্যান্টের অদূরে প্রশাসনিক ভবনের পাশেই তৈরি হয়েছে এই বাগান। ভারতের হাজার বছরের আয়ুর্বেদের ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে এই প্রকল্পের নামকরণ করা হয়েছে ‘ঋষি কৃষি’। ভেষজ গাছ পরিচর্যায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত মালিরা এই বাগান দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন। জৈব চাষের মাধ্যমেই এই বাগানের পরিচর্যা করা হয়। এই গাছগুলি দেখে সবাই যাতে চিনতে পারেন, সেজন্য গাছের স্থানীয় পরিচিত নাম, বৈজ্ঞানিক নাম, গাছের কোন অংশ ব্যবহার করা হয়, তার ঔষধি গুণাগুণ লেখা প্লাকার্ড দেওয়া রয়েছে বাগানে। পরিবেশ বিজ্ঞানী এস.সি সাঁতরা বলেন, শুধু সংরক্ষণ নয়, বিভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশের গুল্মজাতীয় ঔষধি গাছগুলি এই ভেষজ বাগানে স্বাভাবিক ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কারণ এই জাতীয় গাছ খুবই সংবেদনশীল হয়।