পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ইন্ডোর গার্ডেনের ক্ষেত্রে যদি ফার্ন জাতীয় গাছ কেউ রাখতে চান, তা হলে বার্ডস নেস্ট ফার্ন, বস্টন ফার্ন, সিলভার ফার্ন, রিবন ফার্ন, মেউডেন হেয়ার ফার্ন প্রভৃতি গাছ রাখতে পারেন। পাম জাতীয় গাছ রাখতে চাইলে অ্যারেকা পাম, ক্যারিওটা পাম, ফোনিক্স পাম, লিভস্টোনিয়া পাম, কেন্টিয়া পাম প্রভৃতি গাছ রাখা যেতে পারে। ফুল পাওয়া যাবে এমন গাছ রাখতে চাইলে রয়েছে অ্যান্থুরিয়াম, স্যালভিয়া, অ্যাজেলিয়া, জেনারিয়াম প্রভৃতি। পাতা বাহারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ডাইফেনবেকিয়া, ক্রোটোন, ফক্সটেল, অ্যালপিনিয়া, ক্যালডিয়াম, ক্যালানথিয়াম, অ্যালোকেসিয়া।
ঘরোয়া বাগানের টব ও টবের মাটি সম্পর্কে বাগান বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিভিন্নভাবে মাটি তৈরি করা যেতে পারে। ৩ ভাগ পলিমাটি, ১ ভাগ পাতাপচা সার, ২ ভাগ গোবরসার দিয়ে মাটির মিশ্রণ তৈরি করা যেতে পারে। আবার দোঁয়াশ অথবা কাদামাটি ১ ভাগ, বালি ১ ভাগ, পাতাপচা সার ১ ভাগ এবং গোবর বা কেঁচোসার ১ ভাগ দিয়ে মাটির মিশ্রণ বানানো যায়। টবের মাটির পিএইচ মাত্রা ৫.৫ থেকে ৬.৫ হলে আদর্শ। ফার্ন ও অর্কিডের ক্ষেত্রে মাটির পিএইচ ৪ হলেই চলবে। ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি দিয়ে মাটি শোধন করে নিতে পারলে খুবই ভালো। টবের নীচে প্রথমে পাথরের টুকরো, তার পর কিছুটা বালি এবং শেষে মাটির মিশ্রণ দিয়ে স্তর তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। এতে টবে জলনিকাশি ব্যবস্থা ভালো হয়। শুধু বাগান করলেই হবে না, গাছগুলিকে কীভাবে সাজানো হচ্ছে, তার উপর বাগানের সৌন্দর্য নির্ভর করে। বেশ কয়েকরকমভাবে বাগান সাজানো যেতে পারে। বিপরীত রং যুক্ত পাতা বাহারের গাছগুলি পাশাপাশি রাখা যায়। গাছের উচ্চতা অনুযায়ী ছোট থেকে বড় কিংবা বড় থেকে ছোট হিসেবে সাজানো যায়। বড় দেওয়ালের পাশে বড় পাতাযুক্ত গাছ দেখতে ভালো লাগে। ছোট ঘরের ক্ষেত্রে সুন্দর একক গাছ রাখা যেতে পারে। ঘরের ভিতর রাখতে চাইলে নরম পাতাযুক্ত বা ফার্ন জাতীয় গাছ উপযুক্ত। অফিসের ক্ষেত্রে বড় পাম জাতীয় বা পাতাবাহার গাছই ভালো। গাছের সজ্জারীতির ক্ষেত্রে রঙের বৈপরীত্য অগ্রগণ্য। হাল্কা রঙের দেওয়ালের পাশে গাঢ় রঙের পাতাযুক্ত গাছ এবং গাঢ় রঙের দেওয়ালের পাশে হাল্কা রঙের পাতাযুক্ত গাছ রাখলে সৌন্দর্য বাড়ে।
ছাদের বাগানের ক্ষেত্রে লন বা বেড করলে আগে মোটা প্লাস্টিক বিছিয়ে নিতে হবে। চাষ করা জমির পলি-দোঁয়াশ মাটি ও জৈব পদার্থ দিয়ে বেড তৈরি করতে পারলে ভালো। লন তৈরি করলে দু’ভাগ পলিমাটি, ১ ভাগ পাতাপচা সার, ১ ভাগ কেঁচোসার, ১ ভাগ বালি মিশিয়ে সাড়ে ৩ সেমি পুরু বেড বানাতে হবে। বেডের উপর ১০-১৫ সেমি দূরত্বে জাপানি ঘাস লাগানো যেতে পারে।
ইন্ডোর গার্ডেনের ক্ষেত্রে যদি গাছের পাতা ফ্যাকাসে হয়ে যায় বা গাছের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করা দরকার। সেক্ষেত্রে টিউবলাইটের আলো দেওয়া যেতে পারে। গাছের প্রজাতি, টবের অবস্থান, গাছের বয়স, মরশুম, পাত্রের প্রকৃতি প্রভৃতির উপর জলের পরিমাণ নির্ভর করে। যেমন, মোটা পাতার গাছের ক্ষেত্রে পাতলা পাতার গাছের চেয়ে বেশি জল দরকার হয়। টব যদি ছায়ায় বা আংশিক ছায়ায় থাকে, তা হলে জল কম লাগে। ছায়ায় রাখা গাছে যে কোনও সময় জল দেওয়া গেলেও মুক্ত জায়গায় রাখা গাছে বিকেলের দিকে জল দেওয়া উচিত। নতুন করে বসানো টবে যেহেতু শিকড়ের বৃদ্ধি বা বিস্তার কম হয়, সেকারণে জলের প্রয়োজনীয়তা কম হয়। কিন্তু পুরনো টবের ক্ষেত্রে তুলনামূলক গাছে বেশি জল লাগে। গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন হাল্কা জল দিতে পারলে ভালো। বর্ষায় কিংবা শীতকালে সপ্তাহে একদিন জল দিলেই যথেষ্ট। বেশি জল দিলে গাছ মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাটির পাত্রে গাছ রাখলে জল একটু বেশি লাগে। প্লাস্টিকের পাত্রে তুলনামূলক কম জল দিতে হয়।