গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে আলু ও সব্জি উৎপাদক হুগলি জেলায় কোটি কোটি টাকার ফসল নষ্ট হতে বসেছে। মনোজবাবু বলেন, কৃষি দপ্তরের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী এবার জেলায় যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হবে বলে অনুমান করা হয়েছিল তার ৭০ শতাংশ পচে নষ্ট হয়ে যাবে। আলু ও পেঁয়াজ ওঠার মুখে এই বৃষ্টিতে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন।
জেলা প্রশাসন ও কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি জেলায় শুধু উত্তরপাড়া-শ্রীরামপুর বাদে প্রায় প্রতিটি ব্লকেই আমন ধান কাটার পর চাষিরা আলু চাষ করেন। এবার জেলার প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এছাড়াও বলাগড়, পাণ্ডুয়া, হরিপাল, সিঙ্গুর সহ বেশ কয়েকটি ব্লকের প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষিরা পেঁয়াজ লাগিয়েছেন। তিন দিনের অকাল কালবৈশাখীর জেরে জমিতে জল ধরে যাওয়ায় অধিকাংশ ফসলই নষ্ট হতে বসেছে। ধনেখালির আলু চাষি বুদ্ধদেব ঘোষ বলেন, কয়েক দিন বাদেই আলু তোলার কথ ছিল। এবার শীত ভালো থাকায় বিঘাপ্রতি কমপক্ষে ১০০ বস্তা আলু পাব বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু, আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় পাকা ধানে মইয়ের অবস্থা হয়েছে। এখন যা অবস্থা জমিতে জল শুকোনোর পর বিঘাপ্রতি বস্তা দশেক আলু পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বলাগড়ের পেঁয়াজ চাষি জয়ন্ত সেন বলেন, আমন ধান তোলার পর কিছু জমিতে পেঁয়াজ ও কিছু জমিতে ভেন্ডি লাগিয়েছিলাম। কিন্তু, সমস্ত জমিতেই জল ধরে গিয়েছে। গোড়ায় জল জমে যাওয়ায় সমস্ত পেঁয়াজ পচে যাবে। সব্জির গাছগুলোকে বাঁচাতে পারব কি না তাও জানি না।