পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিচালক অজয় বহেলের এই ছবিটি সমাজ ব্যবস্থার আসল রূপ তুলে ধরেছে। প্রযুক্তির যুগে সব কিছুর অগ্রগতি হলেও কর্মক্ষেত্রে বহু নিম্নরুচিসম্পন্ন ব্যক্তি আজও মহিলাদের ভোগ্য পণ্য হিসেবেই দেখেন। সেই কদর্য রূপকেই ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। ‘সেকশন ৩৭৫’ আসলে একটি কোর্টরুম ড্রামা। বাদী-বিবাদী পক্ষের জমাটি বাদানুবাদ শুরু হতেই প্রেক্ষাগৃহে টানটান হয়ে বসেছে দর্শক। ক্রিমিনাল ল’ইয়ার হিসাবে অক্ষয় খান্না অনবদ্য। কীভাবে হয়কে নয় এবং নয়কে হয় করতে হয়, তা মোটামুটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বিপক্ষ আইনজীবী হিসেবে রিচা চাড্ডার অভিনয়ও তারিফ করার মতো। নির্যাতিতার চরিত্রে অভিনয় করা মীরা চোপড়ার মধ্যে ভবিষ্যতের স্টার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। সাবলীল অভিনয় করেছেন রাহুল ভাটও। বেশিরভাগ বলিউডের ছবিতে বিচারককে যেভাবে দেখানো হয়, সেই পথে হাঁটেনি এই ছবি। সত্যিকারের বিচারকই মনে হচ্ছিল কৃতিকা দেশাই এবং কিশোর কদমকে। মোটের উপর এই ছবিটির চিত্রনাট্য মন্দ নয়। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির যে চেষ্টা পরিচালক করেছেন তা সত্যিই তারিফযোগ্য। ক্যামেরার জাদুতে ছবিটি চলাকালীন কোনও কোনও সময় মনে হবে সত্যিই যেন আমরা কোর্টরুমে বসে আছি। শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল ছবিটিতে। তবে অক্ষয় খান্না এবং রিচা চাড্ডার কোর্ট রুমের সওয়াল জবাব সেই গতিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। এমনকী ছবির শেষে দর্শকদের অপ্রত্যাশিত চমকও উপহার দিয়েছেন পরিচালক। কিন্তু ছবিতে নির্যাতিতার শারীরিক আঘাত বা ধর্ষণের দৃশ্য বারবার দেখানো দর্শকদের বিরক্তি বেশ খানিকটা বাড়িয়ে তোলে বৈকি। শেষে বলা যায় স্যোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলা #মিটু আন্দোলনের ধূসর ছবিতে নতুন করে রং ভরল পরিচালক অজয় বহেলের ‘সেকশন ৩৭৫’।