পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
তিন বছর পর আবার আপনি সিনেমায়। এতটা সময় নেওয়ার পিছনে কি কোনও বিশেষ কারণ আছে?
না, সেরকম কিছুই নয়। আমি আরও ভালো অফারের অপেক্ষায় ছিলাম। আর সেইজন্যই এতটা সময় লাগল। আর আজকে মনে হচ্ছে যে ধৈর্য্য রাখতে পেরেছি বলেই এরকম একটা অ্যাকশন ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেলাম।
এই দীর্ঘ সময়টা কীভাবে কাটালেন?
মূলত ছবির চিত্রনাট্যের পিছনে সময় দিচ্ছিলাম। পাশাপাশি প্রচুর ইভেন্ট আর শো করেছি। তার জন্য অনেক ঘুরে বেরিয়েছি। পরিবারকে সময় দিয়েছি। তাই বলতে পারেন একটা ভালো ছুটি কাটিয়ে আবার ফিরছি।
কিছুদিন আগেই তো কলকাতায় এসেছিলেন।
হ্যাঁ। বিভিন্ন অনুষ্ঠান সূত্রেই দু-তিনবার কলকাতায় গিয়েছি।
সারা আলি খান বা জাহ্নবী কাপুরের মতো নতুনরা বলিউডে পা রাখার পর অল্প সময়ের মধ্যেই একগুচ্ছ ছবি পেয়ে যাচ্ছেন। নতুনদের কোনও পরামর্শ দেবেন?
(খুব হেসে) আমার এখনও নিজেকে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনই মনে হয়। মাত্র দু-তিনটে ছবি করেছি। তাই কাউকে পরামর্শ দেওয়ার মতো জ্ঞান আমার নেই। তবে সবাই কিন্তু খুব ভালো কাজ করছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে এত প্রতিভা, প্রচুর নতুন বিষয় নিয়ে ছবিও হচ্ছে। তাই সব মিলিয়ে একজন অভিনেতার জন্য এই সময়টা খুবই ভালো।
তার মানে আপনার লাইমলাইট হারানো নিয়ে বিন্দুমাত্র ভয় নেই?
আমি তো ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম যে ভালো ছবির জন্য অপেক্ষা করতে হলে, আমি অপেক্ষা করব। আর প্রচারের খিদে থাকলে তো এতদিনে পাঁচ-ছ’টা ছবি করতাম! আমার কাছে সেই সুযোগও কিন্তু ছিল। আসলে নিজেকে তৃপ্তি দেবে এরকম কাজ করতেই আমার ভালো লাগে।
আচ্ছা আপনার মতে হৃতিকের সবথেকে বড় প্লাস পয়েন্ট কী?
ওঁর অনেকগুলো প্লাস পয়েন্ট রয়েছে। খুবই বুদ্ধিমান অভিনেতা। অসাধারণ নাচতে পারেন। ওঁর সবথেকে বড় গুণ নিজেকে চরিত্রের ছাঁচে ঢালতে পারেন। ভাবুন একই মানুষ ‘ধুম ২’ বা ‘কৃশ’ করছেন আবার ‘সুপার থার্টি’ও করছেন! অকল্পনীয় ব্যাপার।
ওঁর থেকে কী কী শিখলেন?
আমার মনে হয় সাফল্যের পাশাপাশি নিজেকে মাটির মানুষ হিসেবে তৈরি করাটা খুব গুরত্বপূর্ণ অথচ কঠিন কাজ। আর হৃতিক এটা খুব ভালো করতে পেরেছেন। মানুষের সঙ্গে আনায়াসে মিশতে পারেন। ওঁর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমার অন্তত নিজেকে নিউকামার মনে হয়নি।
‘ঘুঙরু’ গানটার জন্য হৃতিক আপনাকে কোনও টিপস দিয়েছেন নাকি?
সত্যি বলতে আমরা খুবই মজা করতে করতে গানটা শ্যুট করেছিলাম। কোনও টিপস নয়, বরং আমরা শ্যুটিংয়ের সময় অনেক গল্পগুজব করেছি। অসাধারণ লোকেশন। অসাধারণ ইউনিট। সব মিলিয়ে সারাজীবন মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা।
বাণী, ইদানীং বলিউডে দেখা যাচ্ছে যে ছোট বাজেটের ছবি রমরমিয়ে ব্যবসা করছে। দর্শক সেইসব ছবি পছন্দও করছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে ‘ওয়ার’ এর মতো একটা বিশাল অঙ্কের বাজেটের ছবি থেকে আপনার প্রত্যাশা কতটুকু?
হৃতিক-টাইগার জুটি এই ছবির মুখ্য আকর্ষণ হলেও আমার মনে হয় সিদ্ধার্থ আনন্দ (পরিচালক) খুবই যত্ন নিয়ে ছবিটা তৈরি করেছেন। গল্পটা আসাধারণ। এটা বছরের অন্যতম সেরা অ্যাকশন ছবি হতে চলেছে। সেখানে সব বয়সি দর্শকই বিনোদন খুঁজে পাবেন। আর ছবিটাও প্রায় দুর্গাপুজোর মুখে মুক্তি পাবে। মা দুর্গার আশীর্বাদ থাকলে আশা করি ছবিটা দর্শকদের পছন্দ হবে (হাসি)।
রণবীর কাপুরের সঙ্গে আপনার পরের ছবি ‘শামসেরা’। ছবির জন্য আপনাকে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে?
ভারতীয় সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক ছবি, প্রচুর নাটকীয়তা রয়েছে। এই ছবিতে আমাকে একদম নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন দর্শক। চরিত্রটার জন্য আমাকে কত্থকের তালিম নিতে হয়েছে। পরিচালক (করণ মালহোত্রা) একদম অন্যরকম গল্প বেছেছেন। ওঁর আগের ছবিগুলোও আমার পছন্দের। আর তার থেকেও বড় কথা, ছবিতে রণবীর আছেন। শ্যুটিংও শুরু হয়েছে।
অভিনন্দন দত্ত