কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আরও একটি ডান্স রিয়েলিটি শোয়ে বিচারক ছিলেন সোহম। ‘একসঙ্গে ছবি করেছি, রিয়েলিটি শো করেছি। আবার এত বছর পর মিঠুন আঙ্কেলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেলাম। সেটা আমার কাছে বাড়তি পাওনা।’ সোহম যখন মিঠুনের সঙ্গে কাজের পূর্বস্মৃতি রোমন্থন করছেন তখন শ্রাবন্তীর উচ্ছ্বাসটা অন্য কারণে। ‘প্রথমবার মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করব, আমি তো সুপার এক্সাইটেড’, বলছেন নায়িকা। রানি রঙের গাউন পরিহিতা শ্রাবন্তী মেকআপ সারতে সারতেই কথা বললেন। ‘আমি এর আগেও বিচারকের দায়িত্ব সামলেছি অন্য একটি চ্যানেলে। সেটাও ছোটদের ডান্স রিয়েলিটি শো ছিল। শোটা জনপ্রিয়ও হয়েছিল। তবুও এবার যখন প্রস্তাব আসে তখন একটু দ্বিধায় ছিলাম। কিন্তু শোয়ের নির্মাতা শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় আমাকে রাজি করান। তারপর যখন শুনলাম মিঠুনদা আর সোহমের সঙ্গে কাজ করব, তখন তো আপত্তির আর কোন কারণই রইল না। তাছাড়া বাচ্চাদের সঙ্গে বরাবরই আমার টিউনিং দারুণ’, বলছেন শ্রাবন্তী।
এই শোয়ে শ্রাবন্তী যে দুই অভিনেতা-বিচারকের মধ্যমণি তা সহজেই অনুমেয়। সোহম-শ্রাবন্তী দু’জনেই মিঠুনের সঙ্গে শ্যুটিংয়ের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। প্রাথমিক পর্বে ২৪ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হবে প্রতিযোগিতা। মূলপর্বে যাবে ১২ জন। থাকবে এলিমিনেশন। এই প্রসঙ্গে সোহমের বক্তব্য ‘এলিমিনেশনের কাজটা খুবই কঠিন। যেহেতু আমার বাড়িতে দু’জন খুদে রয়েছে তাই ছোটদের মনে দুঃখ দিতে একেবারে মন চায় না।’ যদিও এব্যপারে সোহমের সঙ্গে একমত নন শ্রাবন্তী। তাঁর কথায়,‘যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়, আমার মনে হয় তারা যথেষ্ট পরিণত। তারা জানে এটা খেলা। এটাকে মাধ্যম করে এগিয়ে যাওয়াটাই আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীর মাথায় উঠবে সেরার শিরোপা। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাবে ডান্স ডান্স জুনিয়র। এখন অপেক্ষার পালা।
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়