পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
নতুন ছবিতে নিজের চরিত্র সম্বন্ধে বলতে গিয়ে সুব্রত জানান, তিনি মানব সরকার নামে এক রাজনীতিকের চরিত্রে অভিনয় করছেন। সিতারার চরিত্রে দেখা যাবে মুনমুন-কন্যাকে। সিতারার জার্নিকে এই মানব সরকার কীভাবে প্রভাবিত করছে, সেটা ছবিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইজরায়েল, সিরিয়া তথা পশ্চিম এশিয়ায় যেভাবে ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে এই ছবির বিষয়কে সমকালীন বলতে চান সুব্রত। তাঁর মতে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও একটা এ ধরনের টানাপোড়েন রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্ম। মানবের পা নেই, সে পঙ্গু। পাশাপাশি রাজনীতিক হওয়ায় সে বারে বারে রং বদলায়। মানব চরিত্রটা সুব্রতর কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। অভিনয় তাঁর রুটিরুজি মেনে নিয়েও এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য,‘পেশাগত কারণে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করলেও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে কার না ভালো লাগে!’
দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার প্রাক্তন এই ছাত্র বললেন, ‘আমি পড়াশোনা করা অ্যাক্টর। অর্থাৎ অভিনয়টা আমি অঙ্ক করার মতো করে শিখেছি। অনেকে বলে অভিনয়টা রক্তে আছে। এসব ফালতু কথা। অভিনয় করা শিখতে হয়। গানে যেহেতু গলার ব্যাপারটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই গান খানিকটা রক্তে আছে বলা যায়। অভিনয়ের ক্ষেত্রে কখনওই এসব কথা সাজে না। তাই কোনও চরিত্রে অভিনয় করার সময় সেইমতো ভাবনা-চিন্তা করি।’
অঙ্কের মতো অভিনয়, তার মানে নিশ্চয়ই কোনও ফর্মুলা আছে? এ তাঁর বক্তব্য, ‘দেখুন, ফর্মুলা বলতে সেই রকম নয়। নাটকে দীর্ঘ রিহার্সালের একটা সুযোগ থাকে। ফিল্মে তো তেমন সুযোগ হয় না। তাই নিজের চরিত্রটা নিয়ে বা বিশেষ দৃশ্যটা নিয়ে নিজের মনেই নানাভাবে ভাবনা-চিন্তা করতে হয়। আমার অভিনয় কারও ভালো লাগুক বা না লাগুক, এটা সকলেই বুঝতে পারেন, আমি প্রতিটা ক্ষেত্রেই নতুনত্ব আনার চেষ্টা করি। আমার বন্ধুরাও বলে, তুই তো ম্যানারিজম দিয়ে অভিনয় করিস না। আসলে আমি ওই ধরনের অভিনয়ে বিশ্বাসী নই। আমি স্বরা ভাস্করের বাবার চরিত্রেও অভিনয় করেছি। একজন বুড়োর চরিত্র। এটুকু বুঝতে পেরেছিলাম, পরিচালকের বিশ্বাস আছে সুব্রত এটা পারবে।’
ভার্সাটাইল অভিনয়ে বিশ্বাসী এই বঙ্গ যুবক। তাই ‘সিতারা’য় হার্ডকোর নেগেটিভ চরিত্র যেমন তিনি লুফে নিয়েছেন, তেমন ‘টি ফর তাজমহল’-এ তাঁকে একদম ভালো মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মুম্বইয়ের চাপের মধ্যে কি বাংলাতে বেছে বেছে কাজ করেন? এ প্রসঙ্গে সুব্রতর সহাস্য জবাব, ‘আমি বেছে বেছে কাজ করি না। বাংলাতে আমাকে বেছে বেছে ডাকা হয়।’
পরবর্তী কাজের তালিকাও সুব্রতর বেশ দীর্ঘ। জি-ফাইভের দুটো ওয়েব সিরিজে তাঁকে দেখা যাবে। সায়ন্তন ঘোষালের ‘হেডকোয়ার্টারস লালবাজার’ এবং অয়ন চক্রবর্তীর ‘জাজমেন্টাল ডে’-তে তিনি অভিনয় করছেন। এর মধ্যে হিন্দি ছবি ‘ধুমকুড়িয়া’র কাজও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।