পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব বুধবার মাধবীদেবী নিজেই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মিলন ভৌমিক আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি বেশ কিছু ছবি এর আগে তৈরি করেছেন। ওঁর সঙ্গে আরও একজন ছিলেন, তাঁর নাম আমি জানি না। উনি আমায় বললেন, আমরা বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের তরফ থেকে দুঃস্থ শিল্পী এবং টেকনিশিয়ানদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আপনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন তো? আমি বললাম, এটা তো ভালো কাজ করছেন। আমি থাকব। ওঁরা বললেন, তাহলে আপনি এখানে একটা সই করে দিন। আমার চোখে তখন চশমা ছিল না। বললাম, আমি কিন্তু চশমা পরে নেই। কোথাই সই করতে হবে বলুন। সই করার পরে একটা কাগজ আমায় দিলেন আর একটা কাগজ নিয়ে চলে গেলেন।’ এরপরেই মাধবী একের পর এক ফোন পেতে থাকেন। ‘আমাকে লোকজন
ফোন করে বলছেন, আপনি বিজেপিতে চলে গেলেন? তখন বললাম আমি তো বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের একটি উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। আজ সকালেও বাইরে
থেকে একটি ছেলে ফোন করে জিজ্ঞেস করল। আমি বললাম বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি আজ-কালের মধ্যেই ওঁদের জানিয়ে দেব, ওই সংগঠনের সঙ্গে আমি থাকব না,’ বলছিলেন মাধবীদেবী। এই
ঘটনার ফলে তিনি নিজে প্রতারিত হয়েছেন বলেই মনে করছেন অভিনেত্রী।
মাধবী মুখোপাধ্যায়ের অবস্থানের পরেই মিলন ভৌমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মাধবীদি একজন বড় শিল্পী। তিনি শুধুমাত্র সই করেননি। তিনি একটি ভিডিও বার্তাও দিয়েছেন। আমাদের এই সংগঠন অরাজনৈতিক। কিছু সংবাদমাধ্যম বিজেপিকে আমাদের সংগঠনের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলেছেন। মাধবীদি যে কাগজে সই করেছেন সেটি বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের। আমিও ওঁর সঙ্গে একমত মাধবীদি তো বিজেপিতে যোগ দেননি। আমাদের সংগঠনে যোগ দেওয়া মানে তো বিজেপিতে যোগ দেওয়া নয়। মাধবীদি সঠিক কথাই বলেছেন তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। তিনি বিসিপিতে যোগ দিয়েছেন।’ তাহলে কি এই সংগঠনকে বিজেপির ছত্রছায়ায় বলা যায় না? মিলনের দাবি, ‘একেবারেই নয়। আপনি দেখুন শঙ্কু কিন্তু নিজে একজন পরিচালক। তাঁর ব্যক্তিগত জায়গার সঙ্গে এই প্ল্যাটফর্মকে যুক্ত করলে হবে না।’ তাঁর আরও দাবি, বিজেপি পার্টির সঙ্গে এই সংগঠনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও যোগাযোগ নেই। অন্যদিকে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচারস অ্যান্ড কালচারাল কনফেডারেশনের চেয়ারম্যান বাবান ঘোষ বললেন, ‘এটা অনেকটা কালিদাসের ডাল কাটার মতো ব্যাপার। আমি এটা ওই সংগঠনের চিন্তাভাবনাকে বলছি। এতদিন ধরে ওরা আমাদের রাজ্যের এক বিজেপি নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীকে (যিনি পার্টির ট্রেড ইউনিয়ন দেখেন) ভুল বুঝিয়েছেন। ওই সংগঠনকে বিজেপির প্ল্যাটফর্ম করার চেষ্টা করেছে। তারপরে দাবি করল, ওঁরা নাকি সংঘের সঙ্গে। আজ সংঘ তাঁদের নিঃসঙ্গ করে দিয়েছে। তার প্রমাণ এটাই। মাধবী মুখোপাধ্যায় একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। তাঁর সঙ্গে প্রতারণা! এটা তো বিজেপির ভাবধারা নয়। কেন এই দ্বিচারিতা? কার সঙ্গে এই প্রতিযোগিতা? আমাদের সংগঠন এই সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে।’ বোঝাই যাচ্ছে এখন টলিউডের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যাঁতাকলে পড়ে নাভিশ্বাস উঠছে শিল্পীদের।