পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
বরাবর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করেন এই পরিচালক। মাঝখানে চার বছর হাতে ছবি ছিল না। আমেরিকায় গিয়ে তথ্যচিত্র নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর কথায়,‘বেসরকারি সংস্থার চাকরি ছেড়ে পরিচালক হয়েছিলাম স্বাধীন হওয়ার জন্যই। তাই যেদিন দেখব স্বাধীনভাবে ছবি করতে পারছি না, সেদিন সিনেমা তৈরি করাই ছেড়ে দেব!’ এসভিএফ এর সঙ্গে চারটে ছবির চুক্তি হয়েছে মৈনাকের। নতুন পথে পা বাড়িয়ে তিনি বেশ খুশি। নিজের মনের মতোই কাজ করতে পারছেন বলে জানা গেল। কারও উপর কি রাগ আছে? ‘টেক ওয়ানের সময় মিডিয়ার একাংশ আমার বিরুদ্ধে চলে গেল। আর আমিও ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতিটা বুঝতে শিখলাম। মানুষ ছবি দেখছেন অথচ লেখা হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ ফাঁকা। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেল। বিবাহ ডায়রিজ ১১০ দিন চলার পর বুঝতে পারলাম নতুন করে আমার কিছু প্রমাণ করার নেই’ একটানা বলে দম নিলেন মৈনাক।
নতুনদের মধ্যে কোন কোন পরিচালকদের ছবি পছন্দ মৈনাকের? তাঁর কথায় ‘আমি সব রকমের ছবি দেখতে পছন্দ করি। প্রেম রতন ধন পায়ো যেমন পছন্দ তেমনই কবীর সিং আমার দুর্দান্ত লেগেছে। আবার পিরিয়ড ছবি আমার একদমই অপছন্দ। নতুনদের মধ্যে ধ্রুব (বন্দ্যোপাধ্যায়), সৌকর্য (ঘোষাল) ও সায়ন্তনের (ঘোষাল) ছবি ভালো লেগেছে।’ এমনকী পিরিয়ড ছবি পছন্দ নয় বলেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘এক যে ছিল রাজা’ও দেখেননি মৈনাক। ‘সৃজিতকে আমি সরাসরি আমার সমস্যাটা বুঝিয়েছিলাম। ও সেটা বুঝতে পেরেছিল’, বললেন তিনি। আর পাঁচজন পরিচালকের তুলনায় মৈনাক একটু খামখেয়ালি। ভিড় বা কোলাহল এড়িয়ে চলেন। ‘অথচ ছবি তৈরি করতে এসে দেখলাম মানুষ বা একটা ইউনিট ছাড়া সিনেমা সম্ভব নয়। সত্যি বলছি প্রযুক্তির দৌলতে বাড়ি থেকে বসে যদি ছবি পরিচালনা করার সুযোগ থাকত আমি হয়তো সেটাই করতাম’ হাসতে হাসতে জানালেন তিনি। পছন্দ করেন কোনও সন্ধ্যায় একা ক্যাফেতে বসে থাকতে। সময় কাটে নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজন দেখে। ‘সময়ের অভাবে এখন বই পড়তে আর ভালো লাগে না। যেদিন দু বছরে একটা ছবি করে বুঝব যে ভালো আছি তখন জানি আবার আমার জীবনে বই ফেরত আসবে। আসলে বই আমার স্বাধীনতার সংজ্ঞা’ উপলব্ধি মৈনাকের। আর এহেন খামখেয়ালি মানুষটার কাছে বক্স অফিস কতটা গুরুত্বপূর্ণ? তাঁর কথায়, ‘দেখুন প্রযোজক একশো টাকা খরচ করলে তাঁকে যেন সেটা ফিরিয়ে দিতে পারি। কিন্তু তা বলে একশো দশ টাকা বা তার বেশি ফিরিয়ে দিতে পারব কিনা সেটা নিয়ে মাথা ঘামাই না।’ এখন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই বলছেন মৈনাক ভৌমিকের পুনর্জন্ম হল। সে কথা মেনে নিয়েই পরিচালক জানালেন,‘বয়স বাড়ছে তাই এখন আমি মুখ খোলা মানেই নেগেটিভ কথা বলব। বরং অন্যভাবে বলা যায়, চলচ্চিত্র সার্কাস পর্যন্ত আমি ব্যক্তিগত ব্লগ লিখতাম আর ঘরে অ্যান্ড বাইরে থেকে গল্প বলা শুরু করেছি।’
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়