বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পরিচালক সব্যসাচী বললেন, ‘আমি গল্পের নাম নির্বাচন করেছি সত্যজিত্ রায়ের একটি মাস্টারপিস থেকে। তিনটি গল্পের একটা যোগসূত্র রয়েছে। সত্যজিত্ রায়ের ছবির ফরম্যাটেই এই ছবি ভেবেছি। এটা নারী সংগ্রামের গল্প নয়। নিজের মতো বাঁচাটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই কথাটাই ছবির মধ্যে ঘুরে ফিরে আসছে।’ প্রথম গল্পে একজন নাট্যকর্মীর চরিত্র দেখানো হয়েছে। যে কেরিয়ারে একটা ব্রেক পাওয়ার জন্য থিয়েটার করতে যায়। সেখানে এই মেয়েটি নাটকের পরিচালকের দ্বারা নিগৃহীত হচ্ছে। ঋ বললেন,‘আমি চিত্রনাট্য পড়েছি। একজন স্বাধীন মহিলার গল্প। এইরকম চরিত্র আমি এর আগে করিনি। গল্পটা ভালো করে লেখা। এই মুহূর্তে আমার ওয়ার্কশপ করার সময় নেই যেহেতু আমি একটি ধারাবাহিক করছি।’ ‘বেডশিট’ গল্পে একজন বাড়ির পরিচারিকা একে একে বাড়ির দাদা-বউদির মুখোশ খুলছে। একটা বেডশিট নিয়ে গল্পের শুরু। সায়ন্তনী বললেন,‘শহরতলি থেকে অনেক মহিলারা শহরে আসে বাড়ির কাজ করতে। আমার চরিত্রটি তাদের একজন। এই মহিলাদের অনেকসময় নানা রকম হেনস্তার শিকার হতে হয়। সেই নিয়েই গল্প। আগামী সোম এবং মঙ্গলবার আমার ওয়ার্কশপ রয়েছে। আমিই নিজে থেকে ওয়ার্কশপের কথা বলেছি। পরিচালকও আমায় কিছু রেফারেন্স দিয়েছেন।’ আবার ‘গুড মর্নিং রেভল্যুশন’ গল্পে পরিবারে একটি মেয়েকে নিচু চোখে দেখা হয়। সে ডাক্তারি পড়া ছেড়ে দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য পড়তে গিয়েছে। একদিন পুলিস বাড়িতে আসে এবং জানাজানি হয় মেয়েটি একটি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। বিপ্লবের প্রতি বাঙালির অকারণ রোমান্টিকতাকে শ্লেষ দিয়ে ধরা হয়েছে। অমৃতা বললেন,‘আমারটা শেষের গল্প। এই মেয়েটিকে নিয়ে বাড়ির লোকেরা খুব কনফিউজড। আমার গল্পটা একটা দিনের গল্প। মোট চার-পাঁচ ঘণ্টার গল্প। আমাকে ঘিরে অনেকগুলো চরিত্র আছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই চরিত্রগুলোর সঙ্গে রোমাঞ্চকর কিছু একটা ঘটছে। দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা এখানে নেই।’
সামনের মাসের ২ তারিখ থেকে ছবির শ্যুটিং শুরু হতে চলেছে। প্রথমেই রিলিজ না করে, ছবিটি বিভিন্ন চলচ্চিত্র উত্সবে পাঠানোর ইচ্ছে রয়েছে পরিচালকের।