গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ছবিতে দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় সারাক্ষণই তাপসীকে হুইলচেয়ারে বসে কাজ করতে হয়েছে। ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে আতঙ্কের অনুভূতি এবং সেই কাজে তিনি একশো ভাগ সফল। ইদানীং প্রতিটি ছবিতেই তাঁকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাচ্ছে। গেম ওভার ছবিতেও তাঁর চরিত্রটি চলতি বলিউড কমার্শিয়াল ছায়াছবিগুলোর থেকে একেবারে আলাদা। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি ক্রমশই নিজেকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারছেন এই ধরনের চরিত্রায়নের হাত ধরে।
এবার আসা যাক ছবির কথায়! ছবির শুরুটাই মারাত্মক। একটি মেয়ে বাড়িতে একা। দূর থেকে ক্যামেরা প্যান করছে— যেন কেউ তাকে দেখছে। সে দেখা এমনই যে সেই লোকটির নিঃশ্বাসের শব্দ পর্যন্ত শোনা যায়! তারপরই মেয়েটি খাবার খায়-স্নান সারে-টেলিভিশন দেখে। আর ঠিক কয়েক মিনিট বাদে তাকে আক্রমণ করে কেউ। প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় মাথা। চেয়ারে বসিয়ে মাথা কেটে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাকে। জানা যায়, এক সিরিয়াল কিলার ঘুরছে গুরগাঁওয়ে। গল্প এগতে থাকে। এই ছবি থেকে ‘মেমোরিয়াল ট্যাটু’ নামের একটি বিষয় জানা যায়! এই ট্যাটুর কালিতে মিশিয়ে দেওয়া হয় মৃত মানুষের অস্থিচূর্ণ যাতে ট্যাটুর মতোই প্রিয় মানুষটি আপনার সঙ্গে থেকে যেতে পারে। ট্যাটু এই ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ট্যাটু করিয়ে ফেরার পথেই স্বপ্না (তাপসী পান্নু)-র জীবনের ট্র্যাজিক পিরিয়ড শুরু হয়ে যায়! কিডন্যাপ করে তার উপর অত্যাচার করে এক দুষ্কৃতী। কোনও মতে রক্ষা পেলেও স্বপ্না বেরতে পারে না ট্রমা থেকে। কালাম্মা নামের এক সাহায্যকারিণীর সঙ্গে একা থাকতে শুরু করে বাবা-মায়ের থেকে দূরে সরে গিয়ে। বিশাল বাংলোয় মাত্র তারা দুজন এবং এক নিরাপত্তারক্ষী আনোয়ার। এদিকে শহরে এক সিরিয়াল কিলারের আনাগোনা। স্বপ্না একা। কেন যে তার অভিভাবক অসুস্থ মেয়েটিকে একা কালাম্মার ভরসায় রেখে দেন – তা গোটা ছবি দেখার পরেও বোধগম্য হয় না। বার কয়েক আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করে সে। পারে না।
এরপর যা যা হয়, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। নেই কোনও যুক্তিও। বার দুয়েক একই স্বপ্ন নানা ভাবে দেখতে থাকে স্বপ্না। আক্রমণ হয় আবার। একজনের জায়গায় তিনজন খুনি চলে আসে মুখোশ পরে। প্রত্যেকেই অরণ্যদেবের মতো লম্বা এবং বীভৎস মুখোশে মুখ ঢেকে ঘোরে। তারা ছুরি, বোতল, তলোয়ার নিয়ে স্বপ্নার বাংলোয় এসে আনোয়ারকে খুন করে। বাকিটা একেবারে এই পর্যন্ত পড়ে যা ভাবছেন – তাই ঘটে। অত্যন্ত সরল প্রেডিক্টেবল এন্ডিং।
না, ছবিটি কোথাও পৌঁছতে পারেনি। কে খুন করছে মেয়েদের, কেন করছে— একবারও জানালেন না পরিচালক। কিচ্ছুটি জানা যাবে না এত রাগের উৎস সম্পর্কে। সিরিয়াল কিলারের মোটিভই বা কী সেটাও দেখানো হল না। মাঝখান থেকে তাপসী পান্নুর মতো অভিনেত্রী অসহায় ‘অন’ থাকলেন। খেল খতম হল বটে, পয়সা হজম হল না।