গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বাংলা চলচ্চিত্রকে এই ২৯ বছরের অভিনেত্রী তাঁর লাস্যময়ী চাহনি দিয়ে একপ্রকার বশ করে রেখেছেন। এইটুকু বললে হয়তো কম বলা হবে, শুধু অভিনয় নয় লোকসভা ভোটের প্রচারেও তাঁর অভিব্যক্তি অনেক পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের চোখ কপালে তুলে দিয়েছিল। বিপুল ভোটে জয় পাওয়ার পরেই তিনি ঘোষণা করলেন তাঁর বিয়ের খবর। এই আনন্দের খবর প্রকাশের জন্য বেছে নিয়েছিলেন ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল। তাঁর ব্যবসায়ী হবু স্বামীর হাতটি ধরে লিখেছিলেন, যখন বাস্তব আপনার দেখা স্বপ্নের থেকেও উত্কৃষ্ট হয়। যাঁর হাত ধরে রয়েছেন, তিনি নিখিল জৈন। শহরের নামকরা শাড়ি ব্যবসায়ী। গড়িয়াহাট চত্বরে তাঁর শাড়ির দোকান। কয়েকবছর আগেই নুসরত শাড়ির এই কোম্পানির জন্য মডেলও হয়েছিলেন। দোকানের উদ্বোধনেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল।
ভোটে দাঁড়ানোর পরে যেমন কটুক্তি এবং ট্রোলের শিকার হতে হয়েছিল, তেমনই বিয়ের খবর ঘোষণা করার পরেই তিনি ভোটে জেতার পরে কেন কাজে ফিরলেন না, সেই নিয়েও বিতর্ক হয়েছে। তবে পাল্টা যুক্তি হল, কাজের মাঝে কি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কেউ ব্যস্ত হতে পারেন না? উত্তর তো হ্যাঁ হওয়ারই কথা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নুসরতের আহিরিপুকুর সেকেন্ড লেনের বাড়িতে কেউ নেই। নুসরতের বেশ কিছু আত্মীয়স্বজন সকালবেলা মেফেয়ার রোডের বাড়িতে গিয়েছেন। বিকেলে নাকি ওখানেই একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে ‘সঙ্গীত’, ‘হলদি’ অনুষ্ঠান পালন হয়েছে। শোনা যাচ্ছে এদিনই নাকি নুসরতের হবু শাশুড়ি তত্ত্বে লাল লেহেঙ্গা পাঠিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানেও মিমির আসার কথা। হিরিপুকুরের বাড়িতে বিয়ের কোনও রকম অনুষ্ঠান হচ্ছে না, এটা একপ্রকার নিশ্চিত। এই মুহূর্তে বাংলার সবচেয়ে হাই প্রোফাইল বিয়ে নিয়ে পাড়ার লোকজনও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। শুধু একজন বললেন, ‘আগে নুসরত প্রায়ই আসতেন। এখন এখানে আর খুব একটা আসেন না।’ এরই মাঝে নুসরতের বাবা মহম্মদ শাহজাহানকে ফোন করা হলে তিনিও এই বিয়েকে পরিবারের ব্যক্তিগত বিষয় বলে কার্যত এড়িয়েই গেলেন। বললেন,‘বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান দেশের বাইরেই হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ আমাদের পারিবারিক বিষয়। আমরা এটা নিয়ে কোনওরকম কিছু বলব না। সকলেই শোনা যাচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমে নিজেদের মতো লিখে দিচ্ছেন।’ সেরকমই শোনা যাচ্ছে, আগামী ১৯ জুন তুরস্কের বোদরুম শহরে নুসরত ও নিখিলের বিয়ে। বিয়ের দিন বর-কনের পরনে থাকবে ডিজাইনার সব্যসাচী চক্রবর্তীর তৈরি করা পোশাক। সেখানে তাঁর অভিন্নহৃদয় বন্ধু অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী তো থাকছেনই। তাঁরা সেখানে পৌঁছবেন ১৫ জুন। সেখানেই বিয়ের আগে থেকে নানারকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে খুব বেশিদিনের জন্য বাইরে থাকছেন না তাঁরা। সূত্রের খবর ইন্ডাস্ট্রিতে নুসরতের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তুরস্কে যাওয়ার কথা থাকলেও কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই হয়তো শেষপর্যন্ত যেতে পারবেন না। বিয়ের কাজকর্ম মিটিয়েই নুসরত ২৫ জুন চলে যাবেন দিল্লি। সেদিনই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। প্রথম অধিবেশনে যোগ দেবেন নুসরত। এছাড়াও কলকাতার কাছের মানুষদের জন্য তাঁর রিসেপশন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ৪ জুলাই বাইপাস সংলগ্ন আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল হোটেলে। ইতিমধ্যেই নিমন্ত্রণ পত্র একটি কুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে বিলি করা শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর রিসেপশনের দিন ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সমস্ত অভিনেতা এবং কলাকুশলীদের এই অনুষ্ঠানে দেখা যাবে। এছাড়াও রাজনৈতিক জগতের অনেক রথি-মহারথীরাও সেদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে খবর।