কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, বাচিকশিল্পী
যেই সরকার গড়তে আসুন না কেন, তিনি তো মানুষের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। কাজেই কোনও রকমের হিংসা, বিবাদ, বিভাজনের মধ্যে না গিয়ে তাঁকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানানো দরকার। আমাদের নানা রকমের পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। সেগুলোর গভীরে গিয়ে কাজ করা দরকার। একটা সুন্দর, সাংস্কৃতিক সমাজ গড়ার দিকে যেন তাঁরা মনোনিবেশ করেন। মানুষে মানুষে হিংসা আমায় খুব কষ্ট দেয়। আমি চাই সম্প্রীতির বার্তা তাঁরা বয়ে আনুন।
অর্পিতা (ঘোষ) তো আমার বহুদিনের চেনা। ওঁর বক্তব্য খুবই পরিষ্কার। ওঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। তবে আমি এঁদের বক্তব্য যে খুব একটা শুনেছি তা নয়। আমার নুসরত (জাহান)-এর বাচনভঙ্গি বেশ ভালো লেগেছে। মানুষের সামনে ও নিজেকে সুন্দরভাবে নিয়ে গিয়েছেন। আমার মনে হয়েছে এই মেয়েটি পরবর্তীকালে কিছু হতেও পারে। তবে এই নয় যে, আমি বাকিদের প্রতি আস্থা রাখছি না।
কুমার শানু, গায়ক
দেখুন মানুষ কিন্তু নিজের ভোটটা নিজে গিয়ে ইতিমধ্যে দিয়েই ফেলেছেন। কাজেই বুথ ফেরত সমীক্ষায় কী বলল সেটা নিয়ে শোরগোল করার কোনও মানে আমি খুঁজে পাচ্ছি না। রেজাল্ট এলে সবাই জানতে পারবেন কী হল। সুতরাং বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই। একটা স্থায়ী সরকার দরকার। আমি চাইব তাঁরা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য যেন ভাবেন। ভাবার মতো প্রচুর বিষয় রয়েছে।
সত্যি কথা বলছি, আমি কারওর বক্তৃতা খুব একটা শুনিনি। তবে একটা প্রবল লড়াই যে চলছে সেটা বুঝতে পারছি। আর কিছু বলব না।
সুদর্শন চক্রবর্তী, নৃত্যশিল্পী
প্রার্থীরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে দাঁড়ান, সেগুলো তাঁরা সম্পূর্ণ করতে পারেন না। উপর মহলের চাপে হয়তো বেশিরভাগ সময়েই সেই কাজ করতে পারেন না। প্রথমেই চাই পথে-ঘাটে নারী সুরক্ষা। বয়স্কদের জন্য চিকিত্সা ব্যবস্থা আরও উন্নত করা দরকার। আগেও অনেক শিল্পী সাংসদ-বিধায়ক হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা যে শিল্পের স্বার্থে অনেককিছু করেছেন, তা নয়।
আমি আমেরিকা থেকে ফিরে দেখলাম, চারদিকে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। তারমধ্যেই নুসরতকে আমার বেশ অন্যরকম লেগেছে।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, পরিচালক
তাঁদের থেকে সেরকম কোনও চাহিদা আমার নেই। আমি চাই বাংলার চলচ্চিত্র, সাহিত্য, নাট্যজগত্ এবং যা যা শিল্পের জগত্ আছে সেগুলো রাজনীতি মুক্ত হোক। তাঁরা যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।
যেই জিতুক না কেন আমার অভিনন্দন থাকবে। মা অসুস্থ থাকায় ভোটের বেশকিছু বিষয় খেয়াল করতে পারিনি। মা ভোট দিতে পারেননি। এটা আমার কাছে মন খারাপের। ছেলে উজান প্রথম ভোট দিয়েছে, সেটাও আনন্দের।
অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেতা, সাধারণ সম্পাদক, আর্টিস্ট ফোরাম
আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে অফিসিয়ালি ইন্ডাস্ট্রি ঘোষণা করা দরকার। সেটা করলে শিল্পী-কলাকুশলীরা অনেক সুবিধা পেতে পারেন। আমি আশা করব যাঁরা প্রতিনিধিত্ব করবেন, তাঁরা যেন এই বিষয়টা মাথায় রাখেন। এটাই আমার প্রধান চাহিদা।
সবকিছুর জন্যই তো একটা অনুশীলনের দরকার। সেই অনুশীলনের অভাব প্রত্যেকেরই আছে। যদিও এঁরা কেউই দুঁদে রাজনীতিবিদ নন। কিন্তু যদি মনে করি আমি রাজনীতি করতেই আসব, তাহলে প্রস্তুতি নিয়ে আসা উচিত।
শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা, নাট্যকর্মী
তাঁরা যেন তাঁদের এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেন। শিল্পী হিসেবে বলতে গেলে, শিল্পীরা তো আবেগপ্রবণ। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির, কার্যত এটা কোনও ইন্ডাস্ট্রি তকমা পায়নি, নানা রকমের সমস্যাগুলো যেন মেটানোর চেষ্টা করেন।
নির্বাচনের বেশিরভাগ সময়টাই আমি বাইরে ছিলাম। কিন্তু যা কানে এসেছে, আমার দেবকে খুব ভালো লেগেছে। ওঁর বক্তব্য খুব ম্যাচিওরড, ইম্প্রেসিভ।
অরিজিত্ দত্ত, অভিনেতা, কর্ণধার, প্রিয়া এন্টারটেইনমেন্ট
কারও কাছ থেকে আমার কোনও আকাঙ্খা নেই। কারণ আমি দেখেছি এর আগেও বলিউড থেকে প্রচুর বড় বড় অভিনেতা-অভিনেত্রী লোকসভায় গিয়েছেন। তাঁরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কিছু বলেননি এবং কোনও উদ্যোগও নেননি। ইতিহাস বলছে কেউ কিছু করেনি, এখন আমি কী আর আশা করব?