গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সোনাদার ফ্র্যাঞ্চাচাইজি তো দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। প্রথমে এই সাফল্য আঁচ করতে পেরেছিলেন?
আমাদের তিনটে গল্পের পরিকল্পনা ছিল। ছবির সাফল্য দেখে সিক্যুয়েল বানানোর কোনও পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু শুরুতে এতটা বুঝতে পারিনি।
ছবি হোক বা ওয়েব সিরিজ, বাঙালি এত গোয়েন্দা বা রহস্য গল্প দেখছে কেন বলুন তো? সম্পর্ক বা ড্রামা কি কেউ পছন্দ করছেন না?
না দেখছেন তো। ‘মুখার্জিদার বউ’ বা ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ভালো ব্যবসা করেছে। ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ রয়েছে। ‘বিজয়া’ শুরুতে ভালো ব্যবসা করেছে। বাঙালি থ্রিলার দেখতে পছন্দ করে। কিন্তু এখন এই দুরকম ছবিই মানুষ দেখছেন আর এটা তো ভালো লক্ষণ।
‘বিজয়া’র কথা বললেন। ছবির রিসেপশন নিয়ে আপনি কতটা খুশি?
আমি আগেও বলেছিলাম যে, আমি নিজে কিন্তু সিক্যুয়েল নিয়ে ততটা কনফিডেন্ট ছিলাম না। কৌশিকদা (গঙ্গোপাধ্যায়) আমাকে রাজি করান। অনেকে বলেছেন ‘বিসর্জন’-এর থেকে ভালো। আবার অনেকে ‘বিসর্জন’কেই এগিয়ে রেখেছেন। আবার অনেকেই বলেছেন এবারে নাসির আলিকে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। দুটোই আমার ছবি। তাই আমি খুশি।
সোনাদা এবারে আগেরবারের থেকে কতটা আলাদা?
আলাদা নয়। গতবার চরিত্রটাকে চেনানোটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এবারে সোনাদার অভিযানকে আরও বড় আকারে সাজানো হয়েছে। তার সঙ্গেই এই তিনজনের (আবির অর্থাৎ অর্জুন এবং ঝিনুক অর্থাৎ ঈশা) রসায়ন আরও জোরদার হয়েছে।
ব্যোমকেশ ও সোনাদা করছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি বা সিরিজকে কখনও রিপিটিটিভ মনে হয় না?
দেখুন, প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজির একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে। সবাই জানে ফেলুদা চারমিনার খায়। ব্যোমকেশ-সত্যবতীর ঝগড়ায় মধ্যস্থতা করে অজিত। এই জিনিসগুলো দেখার জন্যই তো হলে যাওয়া। তার সঙ্গে যোগ হয় নতুন রহস্যের সমাধান।
ট্রেলারে সোনাদা বলছে ‘কানেকশন ওই ছুড়ি’। গুপ্তধন উদ্ধারে দর্শকদের জন্য আবির চট্টোপাধ্যায় বাড়তি কোনও ক্লু দেবেন নাকি?
(হেসে) ক্লু একটাই। বাংলার ইতিহাসের কিছু ফেলে আসা সময় যেটা হয়তো মানুষ ভুলে গিয়েছেন সেটাই আবার পর্দায় দেখা যাবে। সোনাদার গল্পের সঙ্গে বাংলার ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার জুড়ে রয়েছে। নস্টালজিয়া জড়িয়ে রয়েছে। বাঙালিকে আরও একবার শিকড়ে ফেরার তাগিদ অনুভব করাবে এই ছবি।
আপনাকে এখনও ওয়েব সিরিজে দেখা গেল না কেন? এখনও কি এই মাধ্যমটাকে বিশ্বাস করে উঠতে পারেননি?
সেরকম নয়। শর্ট ফিল্ম করেছি। ভালো বিষয়ের অপেক্ষায় রয়েছি। এখন ছবি নিয়েই ব্যস্ত রয়েছি।
ফেলুদা, ব্যোমকেশ, সোনাদা। পর্দার বাইরে ব্যক্তিগত জীবনে কখনও গোয়েন্দা সুলভ আচরণ করেছেন?
না। তবে আমার মতে, তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা যে কোনও অভিনেতারই থাকা উচিত।
আবার শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরবেন কবে?
মাঝখানে দু মাসের বিরতি নিয়েছিলাম। এখন চারদিকে ভোটের ব্যস্ততা। তারপরেই নতুন ছবির কাজ শুরু হবে। তাছাড়া ‘বর্ণ পরিচয়’ মুক্তি পাবে।
এই দু মাস কীভাবে সময় কাটালেন?
ছবির প্রচারের কাজ ছিল। ডাবিং ছিল। বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা দিয়েছি। প্রচুর ছবিও দেখলাম।