যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এই দুই সোপ অপেরা নিয়ে কী বলছেন জিতেন্দ্র কন্যা? তাঁর বক্তব্য, ‘বেপনহা পেয়ার একটা রোম্যান্টিক থ্রিলার গোত্রের ধারাবাহিক। প্রতিটি পর্বেই থাকবে ট্যুইস্ট। গল্পে পরিবর্তন হতে থাকবে। যার জন্য দর্শক আলাদা আকর্ষণ অনুভব করবেন। অন্যদিকে, কবচ— মহাশিবরাত্রি মূলত প্রেমের গল্প হলেও এর মূল আধার অতিপ্রাকৃত ঘটনা।’
এর আগে ‘কবচ’ ধারাবাহিকটির টিআরপি রীতিমতো আকাশছোঁয়া ছিল। নতুন ‘কবচ’টি এর সিক্যুয়েল। এবার এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে মহাশিবরাত্রিকে। তবে, একতার কথায়, ‘এই ধারাবাহিকটি ধর্মীয় কম, অনেক বেশি সুপার ন্যাচারাল।’ প্রথম সিজনের সাফল্যের পর সিক্যুয়াল নিয়ে কতটা আশাবাদী তিনি? তাঁর জবাব,‘এর থেকে আমার কোনও এক্সপেকটেশন নেই। কারণ, আমি আমার কোনও প্রজেক্ট নিয়েই কোনও উচ্চাশা রাখি না। একটা লক্ষ্য থাকে, সৎভাবে কাজ করে যাও। আমি বা আমার টিম পরিশ্রম করা থেকে পিছপা হই না। এটুকু বলতে পারি, কোনও শো ভালো চললে ভালো লাগে। দর্শকের পছন্দ না হলে খারাপ লাগে। আগে থেকে কোনও কাল্পনিক আশা করে বসে থাকি না।’
অতিপ্রাকৃত বিষয়বস্তু গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রচার করা মানে তো এককথায় কুসংস্কারের প্রচার করা। যদিও বিষয়টিকে এভাবে দেখতে নারাজ হিন্দি টেলিভিশনের একচ্ছত্র সম্রাজ্ঞী। তাঁর বক্তব্য, ‘ধারাবাহিকের কনটেন্টগুলো তো বিনোদনের জন্য তৈরি। একে মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করবেন কেন? তাঁরা তো জানেন এটা এন্টারটেনমেন্টের জন্য একটা ফিকশন। আমি এর ব্যক্তিগত দায়িত্ব কেন নেব? ধরুন, কোনও একজন লোক বাজার থেকে একটা বন্দুক নিয়ে কাউকে গুলি করে দিল। এর দোষটা কি ওই বন্দুকটার উপর বর্তাবে? বন্দুকের ব্যবহার তো আসলে পুলিস, মিলিটারির জন্য।’
সিরিয়াল, ওয়েবসিরিজ এতকিছু কীভাবে সামলান? বললেন, ‘আমি তো সব একা করি না, আমার টিম রয়েছে। আমার টিম দারুণ। আর আমি কাজ করতে ভালোবাসি। খুব ছোট থেকে তো টেলিভিশনে কাজ করছি। তাই আমার তেমন কোনও হবি নেই। ছুটি থাকলে ভাবি, কী যে করব! অবশ্য, মাস তিনেক হল আমি মা (সিঙ্গল মাদার) হয়েছি। তাই বাচ্চার সঙ্গে সময় কাটে।’
একতা কাপুর সারা দেশকে এন্টারটেন করান। ফাঁকা সময়ে তাঁর নিজের বিনোদনের উপাদান কী? জানালেন, তাঁর পার্টিতে যাওয়ার অত শখ নেই। তাই ফাঁকা সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে আর ছবি দেখে মজা করেন। কমেডি ছবি দেখতে ভালোবাসেন তিনি। তবে, বাবা অর্থাৎ জিতেন্দ্র অভিনীত ছবিগুলির মধ্যে তাঁর সবচেয়ে পছন্দের ‘পরিচয়’।