যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
(অবাক চোখে) আমি তো এরকম শুনিনি! শুনতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু পুরোটাই গুজব। আমার হাতে এখন প্রচুর সময়। ‘সহবাসে’ ছাড়া হাতে আর কাজ কই? একটা ছবি চলার সময় যদি কোনও অফার আসে তখন হয়তো তাকে না বলতেই হবে।
তাহলে আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি সেই দিন আসছে না, যখন ঈশা আর ফোন ধরবেন না বা বলবেন পরে ফোন করতে। তাই তো?
(হেসে) না খুব তাড়াতাড়ি তো একদমই আসবে না।
কোন কোন পরিচালকদের থেকে কাজের অফার পাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন?
আমি অনেকদিন কৌশিকদার (গঙ্গোপাধ্যায়) থেকে ডাকের অপেক্ষায় রয়েছি। জানি না কবে সেটা সম্ভব হবে। শিবুদাও (শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়) বা সৃজিত মুখোপাধ্যায় রয়েছেন। অরিন্দমদা (শীল) রয়েছেন। আবার যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাঁদের সঙ্গেও কাজ করতে আমার কোনও আপত্তি নেই।
আপনি কি তাহলে মাটিতে পা রেখেই চলতে স্বচ্ছন্দ্য?
আরে মাত্র দু’বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে আমিও তো খুব বড় কেউকেটা হয়ে যাইনি। সবে মাত্র ইনিংস শুরু করেছি। তাই মাটিতে পা রেখে চলাই পছন্দ করি।
দেখতে দেখতে তো বেশ অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করে ফেললেন। এখন আপনার নাম লোকে জানে। কিন্তু একমাত্র এই ছবিতে আপনি পার্শ্বচরিত্রে। কেন রাজি হচ্ছেন?
ঝিনুকের চরিত্রটাকে পার্শ্বচরিত্র বলার ক্ষেত্রে আমার আপত্তি রয়েছে। কারণ আমি না থাকলে ঝিনুক, আবির ও সোনাদার ট্রায়োটা অসম্পূর্ণ থেকে যেত। মেনে নিলাম সোনাদা রহস্যের সমাধান করছে। আবির ও ঝিনুকও সোনাদাকে সাহায্য করছে। আমি ছাড়া ছবিতে কোনও নায়িকাও নেই।
তার মানে সোনাদা সিরিজের কথা ভেবে রাজি হচ্ছেন?
একদম নয়। আমাদের যখন প্রথম অফার করা হয় তখন কি আমরা জানতাম যে এটা সিরিজ হবে? না জেনেই তো রাজি হয়েছিলাম।
এবার গুপ্তধন উদ্ধার হবে কিনা সেইটা যেমন কৌতূহল, তেমনই ঝিনুক ও আবিরের সম্পর্ক কতটা এগোয় সেটাও একটা প্রশ্ন।
প্রেমটা আরও একটু গাঢ় হয়েছে। দু’জনের দায়িত্বজ্ঞান বেড়েছে।
কৌতূহলের শীর্ষে কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত জীবনও রয়েছে। তা নিয়ে চর্চাও হচ্ছে।
(মুচকি হেসে) আগ্রহ থাকলে তো ভালোই। বলে দিলে তো মজাটাই নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ ব্যক্তিগত সম্পর্ককে আমি ব্যক্তিগত রাখতেই পছন্দ করি। সেটা সামনে চলে এলে কাজের জায়গাটা ঢেকে দেয়।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে চর্চা হলে নিজেকে কী বলেন?
গুজবে কান দিই না। দেখুন মানুষ ধরেই নেয় যে কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সেই ব্যক্তির কথা বলার ‘অধিকার’ আছে। তাই আমার ব্যক্তিগত জীবনটা ব্যক্তিগতই থাক।
ফ্যানদের থেকে প্রেমের প্রস্তাব পাননি?
এই তো কালকেই লাইভে ছিলাম। দু’জন লিখল ‘ঈশাদি আই লাভ ইউ’। ইনস্টাগ্রামেও প্রচুর মেসেজ আসে। সময় পেলে দেখি। এটা বেশ মজার। আমি উপভোগ করি।
দিদিকে প্রেমের প্রস্তাব!
ভালো তো। ছোটবড় সবার থেকেই ভালোবাসা পেতে ভালো লাগে।
ভক্তদের মেসেজের রিপ্লাই দেন?
মাঝে মধ্যে। আবার রিপ্লাই করতে পারি না বলে অনেকে অভিমানও করেন। সেদিন দেখলাম ‘প্রজাপতি বিস্কুট’-এর ‘তোমাকে বুঝি না প্রিয়’র একটা ছবি দিয়ে স্টোরি করেছে। ভালো লাগল। তাই ওটা আমার স্টোরিতে জুড়ে দিলাম। দর্শকদের সঙ্গে এই ছোটছোট আদানপ্রদানগুলো খুব দরকার।
খুব বেছে বেছে ছবি করেন। বেশি কাজ করেন না। কিন্ত এটাই তো সময় ছবি করার।
আমাকে তো অন্য একজন সাংবাদিক বললেন, যে আমি নাকি খুব বেশি ছবি করছি। দেখুন অফার তো আসতেই থাকে। আবার প্রচুর অফারও নেই। হয়তো পাঁচটা থেকে বেছে একটা ছবি করছি। আমার তো মনে হয় আমি বেশ গতিতে এগচ্ছি।
মশলা বাণিজ্যিক ছবি করার ইচ্ছা আছে?
না। এখনই হয়তো করব না। আমি মশালা ছবির নায়িকাদের মতো দেখতেও নই। ওই ধরনের ছবি ক্ষেত্রে নাচ জানাটা জরুরি। আর আমি নাচ জানি না (হাসি)।
নিয়মিত কথা বলেন ইন্ডাস্টিতে এরকম বন্ধু আছে?
খুবই কম। কারণ সবাই ব্যস্ত। হয়তো সপ্তাহে একদিন কথা হল। বড়রাও রয়েছেন।
কারও নাম নিতে চান?
পাগল নাকি! আবার নাম নিলে তো বলবে প্রেম করছি! থাক।
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়