পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
‘বেপনহা পেয়ার’-এ তাঁর চরিত্রের নাম প্রগতি। চরিত্রটা একজন আধুনিক যুবতীর। প্রগতি যেমন আধুনিক, তেমনই নিজের কাজের প্রতি যত্নশীল। ঈশিতার বিশ্বাস, এই চরিত্রটা দর্শকের মন জয় করতে সক্ষম হবে। এই ধারাবাহিকটিতে রয়েছে রহস্যের হাতছানি। আর এই বঙ্গ-তনয়ার প্রিয় ঘরানা সাসপেন্স।
‘বেপনহা পেয়ার’ ধারাবাহিকটি রোমান্স ও সাসপেন্সের মিশেল হলেও ঈশিতা বলছেন, ‘বাস্তব জীবনে বাবা-মায়ের মতো কেউ ভালোবাসতে পারবে না। আর আমার জীবনে আরও একটা ভালোবাসা আছে, সেটা আমার পোষ্য— হ্যাপি। ১২ বছরের একটি কুকুর হ্যাপি ।’ বছর দেড়েক হল সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন এই অভিনেত্রী। তাহলে স্বামীর ভালো নিয়ে কী বলবেন? ঈশিতার জবাব, ‘হ্যাপির প্রতি ভালোবাসার কথা তো বিয়ের আগে থেকেই আমার স্বামী জানেন। আমাদের ছ’-সাত মাসের পরিচয়ের মধ্যে হঠাৎই ও প্রপোজ করে। আমি অ্যাকসেপ্ট করি। মাস তিনেকের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়। আমাদের দু’জনের বোঝাপড়া অত্যন্ত ভালো।’ বাস্তব জীবনে কি বেপনহা পেয়ার সম্ভব? ঈশিতার বক্তব্য, ‘এটা মানুষ ভেদে নির্ভর করে। কারও ক্ষেত্রে সম্ভব, কারও ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে অন্ধ ভালোবাসায় বিশ্বাসী নই।’
গুজরাতি পরিবারে বিয়ে করেছেন ঈশিতা। মুসুর ডাল আর পোস্ত তাঁর প্রিয় খাবার। তাই বাড়িতে দু’ধরনেরই রান্না হয়— স্বামীর জন্য গুজরাতি আর তাঁর জন্য বাঙালি খাবার-দাবার। অবশ্য, কোনও রান্নাই তিনি নিজে করতে পারেন না।
ঈশিতার দিদি তনুশ্রী দত্ত বলিউড অভিনেত্রী। ‘আশিক বনায়া আপনে’ খ্যাত এই অভিনেত্রীকে এ দেশে ‘# মি টু’ আন্দোলনের প্রবক্তা বলা চলে। এ বিষয়ে বোন ঈশিতার বক্তব্য, ‘আমার দিদি মুখ খোলার পর থেকে অনেক মেয়েই কর্মক্ষেত্রে হয়রানি নিয়ে মুখ খুলতে সাহস পান। এর ফলে আর যাইহোক, যারা মহিলাদের হেনস্তা করত, তারা ভয় পেয়ে অনেকটা সাবধান হয়ে যায়।’