সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, এই নামের সঙ্গে বাঙালি চলচ্চিত্রপ্রেমী এখনও পরিচিত না হলেও তাঁর মুখখানি ইতিমধ্যেই পরিচিত। কারণ তিনি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘শাহজাহান রিজেন্সি’-তে এক ঝলক মুখ দেখানোর পর সৃজিতেরই ‘ভিঞ্চিদা’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ইতিমধ্যে ছবিতে তাঁর একটি দৃশ্য নিয়ে ফেসবুকে তৈরি হয়েছে মিম। সৌভিক পেশায় মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর জেনারেল ও সিইও। পাশাপাশি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এবং মল্লিকা সেনগুপ্ত পুরস্কার প্রাপ্ত কবি। অর্থনিতীবিদ-কবি-অভিনেতা এতকিছু একসঙ্গে কীভাবে চলছে? সৌভিক বলছেন, ‘ঠিক জানি না, তবে হয়ে যাচ্ছে। চাকরির গুরুদায়িত্ব সামলেও আটটা কবিতার বই, একটা গদ্যের বই হয়ে গেল। কিছু ছবিতে টুকটাক অভিনয়ও করে ফেললাম, ভাবলে একটু অবাকই লাগে।’ আগে কৌস্তভ ভট্টাচার্যের শর্ট ফিল্ম ‘কিন্তসুকুরোই’-তে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি কান শর্ট ফিল্ম কর্নারে মনোনীত হয়েছিল। সৌভিক জানালেন, তিনি ইন্দ্রাশিস আচার্যের তৃতীয় ছায়াছবি ‘পার্সেল’-এর একটা দৃশ্যে নিজের কবিতা পাঠ করবার সুযোগ পেয়েছেন। ‘পার্সেল’-এর শ্যুটিং শেষ, পোস্ট-প্রোডাকশন চলছে।
তাঁর চিন্তায় তো দেশের অর্থনীতি। হঠাত্ অভিনয় এসে জায়গা করে নিল কীভাৱে? সৌভিক বলছেন,‘অভিনয়ের ইচ্ছে যে প্রবলভাবে ছিল, তা নয়। তবে এটা চিরকাল মনে হয়েছে বা হয় যে লেখালিখি, অভিনয় সবই তো কোনও না কোনও ভাবে ‘সেল্ফ এক্সপ্রেশন’-এর একটা মাধ্যম। শর্ট ফিল্মগুলোয় আমাকে পরিচালকরা নিজেরাই বলেছিলেন, সেটা লেখালিখির জগতে আমার কিঞ্চিত পরিচিতির কারণে হতে পারে বা চরিত্রের সঙ্গে আমি খাপ খাব, এটা ভেবেও হতে পারে। বড় পর্দার ক্ষেত্রে যখন দেখলাম বন্ধু-বান্ধবরা ছবি করছে তখন ভাবলাম দেখা যাক তাদের ছবিতে অভিনয় করি, তারাও সুযোগ দিল।’
সোহম কর