পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নীল-সাদা স্ট্রাইপ জামা। জংলা চেকের প্যান্ট। চোখে নীল চশমা। ফর্সা, গোলগাল চেহারার ছোট্ট ছেলেটা কিন্তু বেজায় চটপটে, স্মার্ট। ছেলেটা কয়েকটা ধারাবাহিকের কল্যাণে বাঙালি দর্শকদের কাছে পরিচিত। সৌম্যদীপ্ত সাহা। এই সৌম্যদীপ্তই পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের ছবি গুগলির নায়ক। এটাই তাঁর প্রথম ছবি।
সৌম্যদীপ্ত এখন ক্লাস ওয়ানে পড়ে। ২৯ মার্চ তাঁর রেজাল্ট আউট। আর সেদিনই মুক্তি পাচ্ছে গুগলি। তাহলে সেদিন কী করaবে? চটপটে ছেলের উত্তর,‘সকালে রেজাল্ট। তারপর বিকেলে চলে যাব প্রিমিয়ারে।’ ক্যামেরা নতুন দেখছে না সৌম্যদীপ্ত। কিন্তু বড় পর্দা তো নতুন। কেমন লাগল তোমার শ্যুটিং করতে? আবার ঝটপট উত্তর,‘দারুণ। খুব মজা করেছি। গেম খেলেছি। পার্কে গিয়েছি। খুব ভালো লেগেছে। তবে একটু স্যাড ব্যাপারও আছে।’ স্যাড! দুঃখের আবার কী ঘটেছিল? ‘আরে দেখো না, সবাই আমায় এত রাগাত।’ কে বেশি বিরক্ত করত তোমাকে? সোহমদা। এককথায় উত্তর। আর শ্রাবন্তীদি? ‘না, শ্রাবন্তীদি আমাকে বাঁচাত। বলত, ওরা যদি এরকম করে, তবে তুইও ওদের ওরকম করে দে।’ তাহলে তোমার শ্রাবন্তীদিকেই বেশি ভালোলাগত? হ্যাঁ, ওকেই আমার বেশি ভালো লাগত। তুমি তো এখন ক্লাস ওয়ানে পড়ছ। পড়াশোনা ভালো লাগে? প্রথমেই উত্তর না, তারপর অবশ্য একটু শুধরে নিয়ে বলল, মোটামুটি লাগে। আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা? সোজা উত্তর, ‘বিয়ে করব। বউকে নিয়ে ব্যাঙ্কক যাব। মাকে কিন্তু নিয়ে যাব না। তবে ভিডিও কলিংয়ে সব ছবি দেখাব। আমি কিন্তু বউকে ডিভোর্স দেব না। আই লাভ ইউ বউ।’ কিন্তু বউটা কে? ‘সে যে হবে, তাকেই আগে থেকে বলে দিলাম’, ঝটপট উত্তর গুগলির। এই ছবিতে সোহম-শ্রাবন্তী গুগলির বাবা-মা। তাঁরা তোতলা। ওদের অভিনয় দেখে তোতলামিটাও সুন্দর রপ্ত করেছে সৌম্যদীপ্ত। দেখাতে বলতেই ডাকল, ডা-আ-লি-য়া (ছবিতে শ্রাবন্তীর চরিত্রের নাম)।
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়