কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কলকাতার পর সরাসরি মহেশ ভাট! কীভাবে সুযোগ এল? ‘বাংলার প্রতি একরকম হতাশা থেকেই আমার দলকে একসময় বলেছিলাম আমি আর বাংলা ছবির গান করতে চাই না। সত্যিই ভালো কাজ করতে পারলে একদিন শাহরুখ খান আমাদের ডাকবেন। সেটা না হলেও শেষে মহেশ ভাটের থেকে ফোন পাওয়াটাও বিশাল ব্যাপার।’ সত্যিই একদিন রাতে ভাট ক্যাম্পের চিত্রনাট্যকার সুরিতার থেকে নাম শুনে মহেশ ভাটের ফোন আসে সমিধের কাছে। বাকিটা অনেকেরই জানা। ‘নামকরণ’ ধারাবাহিকে সুযোগ পেলেন সমিধ। ‘তারপর বিভিন্ন ধারাবাবাহিকে কাজ করতে করতেই আমার সুর করা একটা গান পছন্দ হয় মহেশজির। তারপর আমাদের দু’জনকে তাঁর জুহুর বাড়িতে ডেকে পাঠান এবং গানটাকে সড়ক ২ এর জন্য নির্বাচন করেন’ জানালেন সমিধ। গানটা নাকি মহেশ ভাটের এতটাই পছন্দ হয় যে পরে ‘সড়ক ২’ এর চিত্রনাট্য বদলায়, এমনকী বদলায় ছবির কাস্টিংও।
কিন্তু কলকাতার সঙ্গে কেন দূরত্ব তৈরি করলেন সমিধ? ‘কিছুটা মনের দুঃখেই। আর একটা কথা বলে রাখি কলকাতায় থেকে কলকাতার সঙ্গে আমার দূরত্ব কমেছিল।’ কীরকম? একের পর এক আইটেম গানে সুর দিয়ে তখন সমিধের গায়ে ‘আইটেম কিং’ এর তকমা। কিন্তু সমিধের কথায় ‘দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছনোর জন্য সিনেমায় সুর করা শুরু। কিন্তু প্রযোজকদের তরফেও একইরকমের গানের অনুরোধ আসতে শুরু করে। নতুন কিছু করার চেষ্টা করতেই আমাকে আর কাজ করতে দেওয়া হল না!’ আর উরভি? বেশ কয়েক বছর দু’জনে একসঙ্গে কাজ করছেন। সমিধের হাত ধরেই উরভির মুম্বই যাত্রা। গায়িকা হলেও মহেশ ভাটের অনুরোধেই এখন সঙ্গীত পরিচালক উরভি। ‘আমারও গল্পটা একই রকমের। মফস্সল থেকে কলকাতায় এসেছিলাম গান ভালোবেসে। কিন্তু এখানেও ইন্ডাস্ট্রির স্বজনপোষন এবং লবির শিকার হয়েছিলাম!’ জানালেন বাঁকুড়ার মেয়ে উরভি। এতদিনে ‘সড়ক ২’ যে সমিধ ও উরভিকে পরোক্ষে অনেক অন্যায়ের জবাব দিতে সাহায্য করল তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। ভালো কাজের অফার থাকলে কলকাতায় ফিরতে বাধা নেই বলেও জানিয়ে রাখলেন এই নতুন জুটি।